১৮ অক্টোবর ২০১৭, বুধবার, ৭:৪৯

জীবন বাজি রাখা মুসলমানদের এবার হাটবাজার বন্ধের নির্দেশ মগ প্রশাসনের


সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের পর জীবন বাজি রাখা মুসলমানদের এবার সেদেশের মগ প্রশাসন হাট বাজার বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দিলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশ ত্যাগে বাধ্য হবে এমন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তারা। সেক্ষেত্রে জ্বালাও-পোড়াও থেকে শুরু করে আগের কোন প্রক্রিয়া বাদ যাচ্ছেনা মুসলমান নিধন কর্মযজ্ঞে।

সূত্র জানিয়েছে, আরাকানে সেনা বর্বরতার অন্যতম স্থান বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উপজেলা মংডু ও বুথিদংয়ে অবস্থিত মুসলমানদের সকল হাট-বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত সোমবার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

সেনা বর্ববরতার শিকার হয়ে প্রাণে বাঁচতে এতদাঞ্চলের রোহিঙ্গারা দলে দলে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালিয়ে গেলেও, অনেক রোহিঙ্গা জীবন বাজি রেখে রয়ে যায়। এখন তাদের বিতাড়ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। আগেকার মতো গণহত্যা না চালালেও, গুপ্ত হত্যা, আটক বাণিজ্য, নিজ ঘরে আগুন দিতে বাধ্য করা, চাঁদাবাজি ও অবরুদ্ধ রেখে রোহিঙ্গাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে নীপিড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সেনা সদস্যরা।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বী উগ্রপন্থী রাখাইনরা প্রতিনিয়িত রোহিঙ্গাদের সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধাতে চাইছে। রোহিঙ্গা গ্রামে ঢুকে তাদের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, ধান-চাল, শষ্য, নারিকেল-সুপারি ইত্যাদি লুট করে নিচ্ছে। রোহিঙ্গারা বুঝতে পারছে, এর প্রতিবাদ করলে বর্তমানে সংখ্যাগুরু রাখাইনরা সদলবলে আবার হামলা করবে।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে হাট-বাজার বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়ায় বিপাকে পড়েছে রোহিঙ্গারা। একে একে রোহিঙ্গাদের রুজি-রোজগারের সকল পথ বন্ধ করছে। হাট-বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অচিরেই খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে। তখন রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগ ছাড়া বিকল্প রাস্তা থাকবেনা।

জানা গেছে, মুসলমানদের হাট-বাজার বন্ধ করার নির্দেশনা দিলেও রাখাইন অধ্যুষিত এলাকার হাট-বাজার সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।

অন্যদিকে এনভিসি নামের অভিবাসন কার্ড প্রত্যাখ্যান করায় আকিয়াবের রোহিঙ্গা জেলেদের নৌকা জব্দ করেছে সৈন্যরা। ফলে রাজ্যের রাজধানীতে জীবিকার সন্ধানে বের হতে পারছেনা জেলেরা। মংডু, বুথিদং, রাথিদংয়ের পর সেখানেও মুসলমানদের নীপিড়ন শুরু করেছে। অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে আবারো দলে দলে বাংলাদেশে চলে যেতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা।

http://www.dailysangram.com/post/303953