১৭ অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:৪৯

তারিখ যত ঘনিয়ে আসছে সেনা মোতায়েনের দাবি জোরালো হচ্ছেসুশাসন

ইকতেদার আহমেদ

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী-পরবর্তী মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তিত হয়। এর আগে যে বিধান ছিল সে বিধান অনুযায়ী মেয়াদ অবসান বা মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল। পঞ্চদশ সংশোধন প্রবর্তন পরবর্তী ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন সংসদ বহাল ছিল। সে নির্বাচনটি ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। দশম সংসদ নির্বাচন দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বর্জন করে। এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হওয়ায় জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি প্রকৃত অর্থেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল কি না তা ধূম্রজালে আবদ্ধ। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এরশাদ তার দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং তিনি নিজে এবং তার ভাই জি এম কাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন এরশাদকে অসুস্থতার অজুহাতে জোর করে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে দেখা গেল, এরশাদ স্বয়ং মন্ত্রীপদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেত্রী, আবার এরশাদের দলের তিনজন সংসদ সদস্য মন্ত্রীপদমর্যাদায় আসীন। পৃথিবীর কোনো দেশে কখনো এ ধরনের সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল কি না তা এখন রাজনৈতিক গবেষকদের গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান পূর্ববর্তী পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এ চারটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রথমোক্তটি কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীনে এবং শেষোক্তটি অসাংবিধানিক পন্থায় গঠিত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যবর্তী দু’টি নির্বাচন সাংবিধানিক পন্থায় গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। এ চারটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আগমন পূর্ববর্তী যে দল ক্ষমতাসীন ছিল সে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হতে না পারায় সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছে। অপর দিকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও দশম এ ছয়টি সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিটি নির্র্বাচনেই ক্ষমতাসীন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। উপরিউক্ত ছয়টি নির্বাচনের মধ্যে প্রথমোক্ত পাঁচটির ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তির আগেই সরকারের পতন ঘটে। দশম সংসদের মেয়াদকাল ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ পূর্ণ হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলে সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পরবর্তী নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।

পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এ চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠান পূর্ববর্তী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সময় পূর্বে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এ চারটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেনাসদস্যদের অবদান প্রশংসার দাবি রাখে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাসদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছিল। নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগের কারণে এ ধরনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা নিয়োগ কার্যকর অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন বিধায় ইতোমধ্যে নবগঠিত দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসতে শুরু করেছে। দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে সংলাপ অনুষ্ঠান পূর্ববর্তী জাতীয় পার্টিসহ অপরাপর অধিকাংশ দলের সাথে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপির সাথেও সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে জাতীয় পার্টির সহযোগী ভাবা হয়। জাতীয় পার্টি নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপকালীন নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য সময় পূর্বে সেনা মোতায়েন এবং জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এমন সব দলের প্রতিনিধি সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপকালীন জাতীয় পার্টির ব্যক্ত অবস্থান এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান হতে যে ভিন্নধর্মী সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। অবশিষ্ট যেসব দল নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে এদের অধিকাংশের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েন ও নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

নির্বাচনকালীন কোন ধরনের সরকার ক্ষমতাসীন থাকবে এটি সরকার ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারণী বিষয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সরকারের অবস্থানের বিপরীতে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণের সুযোগ নেই। আমাদের দেশে নির্বাচন-পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে যে দু’টি দল সবচেয়ে বলিষ্ঠ অবদান রেখেছিল সে দু’টি দল হলো আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী। এ বিষয়ে বিএনপির মনোভাব ভিন্নধর্মী হলেও ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারই সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রণয়নের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিল। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস যে আওয়ামী লীগ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের মূল প্রবক্তা এ দলটির হাতেই এ ব্যবস্থাটির কবর রচিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ না হলেও আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীদের আলাপ-আলোচনা হতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ দলগতভাবে নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য সময় পূর্বে নির্ধারিত দায়িত্ব দিয়ে সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে; তবে নির্বাচনের এক বা দু’দিন আগে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনে দলটির আপত্তি নেই। পক্ষান্তরে বিএনপি বরাবরই নির্ধারিত দায়িত্ব দিয়ে সেনা মোতায়েনের পক্ষপাতি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপকালীন দলটি এ বিষয়ে তার ব্যক্ত অবস্থান থেকে বিচ্যুত হবে এমন ধারণা করার কোনো যৌক্তিক কারণ আপাতদৃষ্টিগ্রাহ্য নয়।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল থাকাবস্থায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এ সংশোধনী আনয়নপূর্বক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে দলটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্রবাহিনীকে বাদ দেয়। বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচনকালীন সময়ে সশস্ত্রবাহিনী অথবা সশস্ত্রবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত সেনাবাহিনী নিয়োগ কোনো বাধা নয় এ কারণে যে, সংবিধানে শৃঙ্খলাবাহিনীর যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনীর সাথে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১২০ ও ১২৬-এর প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ করলে দেখা যায় প্রথমোক্ত অনুচ্ছেদটিতে বলা হয়েছেÑ এ ভাগের অধীন নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারীর প্রয়োজন হবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সেরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করবেন। শেষোক্ত অনুচ্ছেদটিতে বলা হয়েছেÑ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্র্র্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে যেসব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলোÑ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা। এ দায়িত্বটি পালনের আগে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ এবং নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের কাজ সমাধা করে থাকে।

নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমাদের দেশে ইতঃপূর্বে কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকার, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন যেসব নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল এর প্রতিটির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তারা সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে সর্বতোভাবে জাতির সামনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমর্থ হয়েছেন।
দশম সংসদ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীন গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এ নির্বাচন কমিশনে যাদের ঠাঁই হয়েছিল ব্যক্তি হিসেবে জাতির সামনে তারা কেউই নিজেদের সৎ, দক্ষ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। বিগত নির্বাচন কমিশন যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক গঠন করা হয়েছিল বর্তমান দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসৃত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে যাদের ঠাঁই মিলেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের মধ্যে ন্যূনতম দু’জন যে ক্ষমতাসীন দলীয় মতাদর্শী এ বিষয়টি নিয়োগ-পরবর্তী বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়। নির্বাচন কমিশনে অবস্থানকালীন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হলে যে ব্যক্তিত্ব, সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, মেধা ও মানসিক শক্তির প্রয়োজন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাদের দায়িত্ব পালন ও আচরণে তা প্রতিফলিত হবে কি না এযাবৎকালীন তাদের পালিত দায়িত্বের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়নি।

আমাদের দেশে অতীতে অনুষ্ঠিত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য সময় আগে নির্ধারিত দায়িত্ব প্রদানপূর্বক সেনা মোতায়েন অপরিহার্য। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলে তা দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গণতন্ত্রের বিকাশ এবং দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। এ লক্ষ্য অর্জনে বাধাহীনভাবে এগিয়ে যেতে হলে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনই হলো একমাত্র বিকল্প। এ দেশের জনমানুষের কাছে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনা মোতায়েন ফলদায়ক বিবেচিত হওয়ায় বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের অবস্থান জনমানুষের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। আর তাই দলীয় ভাবধারায় প্রভাবান্বিত হয়ে সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তির কারণে সেনা মোতায়েন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান এ দেশের সাধারণ জনমানুষের অবস্থান থেকে ভিন্নতর হলে তা স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনায় অন্তরায় হিসেবে দেখা দেবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/260570