৯ অক্টোবর ২০১৭, সোমবার, ৯:৪৩

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

প্রশ্নফাঁসের কারণে নার্সিং পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। গত রাত সাড়ে ৮টায় পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়। রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। বাংলা ট্রিবিউন।
গত শুক্রবার নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদফতরের অধীনে পিএসসির মাধ্যমে নার্স নিয়োগে এ পরীক্ষা নেয়া হয়। এ দিনই প্রশ্নফাঁসের সংবাদটি শুক্রবার বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর অন্তত দেড়ঘণ্টা আগে চার সেট প্রশ্নপত্র বাংলা ট্রিবিউনের হাতে আসে।

তখন ফোন করা হলে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছিলেন, এগুলো আমরা জানি না, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো ইনফরমেশন নেই। তবে সব পরীক্ষার আগেই কিছু কালপ্রিট রয়েছে যারা এ ধরনের গুজব সৃষ্টি করে এবং কিছু মানুষ রয়েছে এগুলো দিয়ে পয়সা বানায়। আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা প্রশ্নপত্র এক সেট তৈরি করি না, একাধিক সেট করি এবং লটারি করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেয়া হয় পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে। আমি নিজেও আজ সারা দিন অফিসে ছিলাম, এটাকে কেবলই গুজব বলে আমরা মনে করছি।
শনিবার রাতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর পিএসসি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তিনি এর উত্তর দেননি।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পরীক্ষার্থী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সামনে থেকে কাজ করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন নেতা।’ তারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এসব নেতা ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে এসব প্রশ্ন বিক্রি করেছেন’।
শনিবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমীন স্বারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত শুক্রবার অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ পদে পরীক্ষার তারিখ ও সময় জানানো হবে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/258150