৪ অক্টোবর ২০১৭, বুধবার, ৮:৪২

আমদানি পণ্যের দাম বাড়ছে

দেশের মানুষের নিত্যপণ্যের চাহিদা পূরণে সিংহভাগই আমদানির ওপর নির্ভর। আর এসব আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ফলমূল, কসমেটিকস, মসলাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ যেসব প্রধান প্রধান খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে সেগুলো হলো- হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, সুপারি, গুঁড়া মসলা, চাল, গম, ভুট্টা, ডাল. তেল, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় পণ্য, চিপস, সুগার এবং সুগার কনফেকশনারি, কোমল পানীয় ও ফলমূল। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৮ হাজার ৮১৯ মিলিয়ন ডলার। এ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৫ মিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানি আয় রয়েছে ৩৪ হাজার ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বাজারে বেশকিছু পণ্য উৎপাদন হওয়ায় বিদেশি পণ্যের আমদানির চাহিদা দিন দিন কমে এসেছে। তবে প্রতি বছর আমদানি পণ্যের দাম ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তারা জানান, আপেল আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম এবং মাল্টা আমদানিতে অষ্টম। সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি বিদেশি ফল দেশে ঢুকছে। বছরে বিদেশি ফলের বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা বিদেশি ফলের সবচেয়ে বড় বাজার ঢাকায়। বিদেশি ফলের ৩০ শতাংশ রাজধানীতেই বেচাকেনা হয়। চট্টগ্রামে হয় ১৫ শতাংশ। এ হিসাবে দেশের অন্য স্থানে বিদেশি ফল বেচাকেনা হয় ৫৫ শতাংশ।
বিদেশি ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় আপেল, আঙুর, কমলা, মাল্টা, ডালিম ও নাশপাতি। গত তিন অর্থবছরের ফল আমদানি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিদিন দেশে ১০ লাখ কেজি বিদেশি ফল আমদানি হয়। পরের বছর আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ ৭১ হাজার কেজিতে (প্রতিদিন)। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিদিন বিদেশি ফল আমদানি হয় ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে ওই ছয়টি ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে চীন, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ভুটান, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম। বিদেশি ফলের বাজারে বেশি আধিপত্য আপেলের। গত অর্থবছরে দেশে ২৩ কোটি ৯০ লাখ কেজি আপেল আমদানি হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, ঢাকা বিমানবন্দর, ভোমরা, সোনামসজিদ, হিলি ছাড়াও বেশক’টি সীমান্ত এলাকা হয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ফল আসে। এলসির বাইরেও হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি হয়।
বাজারে তিন ধরনের আপেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভালো মানের আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। এছাড়া সাধারণ মানের আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। বাজারে ডালিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে। ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপেল, আঙ্গুরসহ বেশিরভাগ ফলের দাম বেড়েছে। ফল আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সমিতি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেসব বিদেশি ফল আমদানি হচ্ছে, সেগুলো দেশে কার্যত উৎপাদন হয় না। তাই আমদানির বিকল্প নেই। সারা বছর বিদেশি ফলের চাহিদা রয়েছে। তবে ৫ মাস বিদেশি ফল বেশি বিক্রি হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচুর ফল আমদানি হচ্ছে। তবে ক্রেতা কম। ফলে সেই হিসাবে দাম খুব বেশি বাড়েনি। তিনি বলেন, ফল আমদানির প্রকৃত তথ্য সমিতির কাছে নেই। কারণ এর বাইরেও অনেক ব্যবসায়ী ফল আমদানি করে থাকেন।
বাংলাদেশ ইম্পোর্টার্স ফুডস্টোক অ্যাসোসিয়েশন (প্রস্তাবিত)-এর নেতা স্বপন দে বলেন, আমরা মূলত চকলেট আমদানি করে থাকি। এখন সিজন ভালো না। এই পণ্যটি ভালো চলে ঠাণ্ডা মৌসুমে। কিন্তু গত তিন বছরে চকলেটের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। প্রায় প্রতি বছর জাতীয় বাজেটেও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ সময় পণ্যটির দাম প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ২.৫ ডলার। তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চকলেটের কেজি ছিল ১.৫ ডলার। ২০১৬-১৭ সময়ে দাম বেড়ে হয়েছে ২ ডলার। এরপর গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয় কেজিতে ২.৫ ডলার। তিনি বলেন, যে হারে চাহিদা বাড়ার কথা, সে হারে আমদানি ততটা বাড়েনি। সবমিলিয়ে দাম বাড়ার ফলে চাহিদা কমেছে বলে তিনি মনে করেন।
মসলা সাধারণত ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম হারে বিক্রি হয়। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা প্রতি ১০০ গ্রাম জিরা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, এলাচি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, দারুচিনি ৪০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং লবঙ্গ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে ২২ হাজার টন জিরা আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৬ হাজার টন বেশি। ২ হাজার টন বেড়ে দারুচিনি আমদানি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার টনে। অবশ্য এলাচি আমদানি কমে ১ হাজার টনে নেমেছে, যা গত বছর ৪ হাজার টন ছিল।
বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের আগে শুধু জিরার দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও এলাচির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য মসলার দাম স্থিতিশীল আছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা ঈদের সুযোগ নেন।
এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু পণ্য ও সেবা আমদানিতে শুল্ক (সিডি), সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়ানোর কথা বলা হয়। ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ব্যাটারি, ইমিটেশন জুয়েলারি, কিচেনওয়্যার, বিড়ি-সিগারেট, টুথব্রাশ। এছাড়া জর্দা-গুল, জামা-কাপড়, জানালার পর্দা, জুতা, সিরামিকের তৈরি ইট, কম্বল, রেজার, ব্লেড, রঙিন টেলিভিশন, টিভি কার্ড, আসবাবপত্র, স্যানিটারি টাওয়াল, শ্যাম্পু, প্রসাধনসামগ্রী, ডিউডরেন্ট প্রভৃতি পণ্যের দাম বাড়ে। গুশলানের একটি অভিজাত মার্কেট ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আমদানি হয় এমন সব প্রসাধনীর দামও বেড়েছে অনেক। প্রতি বছরই বাড়তি দামে এসব পণ্য আমদানি করতে হয় বলে জানিয়েছেন তারা।
কসমেটিকস আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাস্টমসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট-এর কারণে ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। কারণ আগে পণ্য অনুযায়ী ডিউটি আরোপ করা হতো। আর এখন গড়ে মোড়কের ওপর বা কেজি দরে ডিউটি আরোপ করা হচ্ছে। এটি এনবিআর জানতেই পারছে না। ফলে সরকার বিশাল অর্থের রাজস্ব হারাচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা অসৎ উপায়ে পণ্য দেশের বাজারে ঢুকাচ্ছে। ফলে আসল সৎ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আমদানিকারকরাই দাম নিয়ন্ত্রণ করে: দেশে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণে আমদানি করতে হয় সিংহভাগই। যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ। প্রধানতম পণ্য হচ্ছে- চাল, ডাল, গম, চিনি, লবণ, ছোলা, সয়াবিন, পিয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচামরিচ, ফলমূল ও মসল্লা জাতীয় পণ্য। সবমিলিয়ে ৫৫ থেকে ৫৬ রকমের ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যা বছরে ৬০-৬২ লাখ টনেরও বেশি। মাঝে-মধ্যে এ পরিমাণ আরো বাড়ে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা পরিষদের সদস্য (প্রশাসন ও যোগাযোগ) মো. জাফর আলম বলেন, দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের বিপরীতে পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি সত্ত্বেও বাজারে কোনো না কোনো সময় সংকট সৃষ্টি হয়। অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে চালের মূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওরে বন্যার পর বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ লাখ টন কম হওয়ায় সরকার দেশে ১৫ লাখ টন চাল ও ৫ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেই সঙ্গে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রথমে ১০ শতাংশ; পরে তা কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনে। ফলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪ লাখ টনেরও বেশি চাল আমদানি হয়েছে। এরমধ্যে শুধু বেসরকারিভাবে চাল আমদানি হয়েছে ৩ লাখ টনেরও বেশি। এরপরও চালের মূল্য তেমন কমেনি। তিনি বলেন, রমজান আসলে ছোলা, চিনি, কাঁচামরিচ, পিয়াজের দাম বেড়ে যায়। কোনো কোনো সময় সয়াবিন, আদা, রসুন, ডালের দাম বাড়ে। এর একটিই কারণ আমদানিকারকদের অতি মুনাফার ফাঁদ। যারা সরকারের শুল্ক সুবিধা নিয়ে কমমূল্যে ভোগ্যপণ্য আমদানি করে মজুত গড়ে তোলে। পরে দাম বাড়িয়ে গরিবের থলের টাকা কেড়ে নেয়। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আমদানি করা এসব পণ্য সরকারি শুল্ক ও পরিবহন খরচসহ যে মূল্যে কেনা পড়ে তার চেয়ে দ্বিগুণ এমনকি তিন-চারগুণ বেশি দামেও বাজারে বিক্রয় হয়। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রমতে, দেশের ১০-১২ জন প্রভাবশালী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিংহভাগ ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। তাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী। যারা পরস্পর যোগসাজশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্র জানায়, প্রভাবশালী একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ এক সময় চিনি, সয়াবিন তেল আমদানি করতো। সাম্প্রতিক সময়ে চাল, গম, পিয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচসহ নানা ভোগ্যপণ্য আমদানি করছে। এসব পণ্য পাইকারি পর্যায়ে মজুত গড়ে তোলে বাজারে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রামের পুরনো চাল আমদানিকারক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও চালমিল মালিকরাও এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এক সময়ের চিনি ও তেল ব্যবসায়ীর হাতে চলে যাচ্ছে চালের বাজারের নিয়ন্ত্রণ। ফলে তাদের পক্ষে সম্ভব নয় চালের দাম কমানো। একইভাবে ছোলার বাজারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৬-৮ জন ব্যবসায়ী। ৭-৮ জন ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে মটর ডালের বাজার, ১০ জন ব্যবসায়ীর হাতে মসুর ডালের বাজার জিম্মি। ভোজ্যতেলের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক ১২ ব্যবসায়ী। যাদের হাতে গত ১০ মাসে আমদানি করা পণ্যের ৮০ শতাংশই এখনো মজুত। এসব অসৎ ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বিশাল মজুত গড়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অল্প অল্প করে পণ্য ছাড়ছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি সরবরাহকারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও বরাবরই তারা ব্যর্থ হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এএফএম আবদুল্লাহ খান বলেন, দুই দফা বন্যায় খাদ্য সংকট এড়াতে সরকার শুল্ক কমিয়ে আনার পর চাল আমদানি বেড়েই চলেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চাল আমদানির জন্য ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। জুলাই মাসে চাল আমদানির এলসি নিষপত্তি হয়েছে ৭ কোটি ১২ লাখ ডলারের। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পিয়াজের আড়তদার শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক মোজাফ্ফর বলেন, ভারতীয় এলসির পিয়াজ এখন ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর দেশি পিয়াজ একটা ৫০ টাকা, আরেকটা ৫৪ টাকা করে চলছে। কিন্তু আমদানি ক্রয়মূল্য ১৭ টাকার নিচে। দাম এত বাড়লো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো বড় বড় ব্যবসায়ী ও সরকারের চিন্তার বিষয়। আমরা যে দামে কিনি তার সঙ্গে ২-৪ টাকা ব্যবসা করে মাল ছেড়ে দেই।

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=85807&cat=10/