৩ অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:০৬

কাঁচামরিচের দামে ঝাল

দুর্গাপূজা এবং বৃষ্টির ধাক্কা লেগেছে কাঁচামরিচে। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে অতিপ্রয়োজনীয় এই খাদ্য পণ্যটির দাম। সোমবার কারওয়ান বাজার, কলমীলতা কাঁচা বাজার ও শেওড়াপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০-১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শনি ও রোববার বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০০-২৫০ টাকা। অথচ এর আগে শুক্রবার বিক্রি হয় ১২০ টাকা কেজি।

জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হায়দার আলী শেখ যুগান্তরকে বলেন, দুর্গাপূজার কারণে ভারতের কৃষকরা ক্ষেত থেকে মরিচ ওঠায়নি। ফলে ভারত থেকে কোনো মরিচ আসেনি। অন্যদিকে দেশে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ ব্যবস্থা কিছুটা ভেঙে পড়েছিল। তাই হঠাৎ করেই দাম বেড়ে যায়। তবে আজ (সোমবার) আবার সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাই দামও কমছে।

সোমবার পাইকারি বাজারে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে। মরিচের পাইকার তোতা মিয়া জানান, শনি রোববার সরবরাহ কম ছিল আবার চাহিদাও ছিল বেশি। ফলে দামটা বেড়ে যায়। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলে দামও কমছে। এটাই বাজারের স্বাভাবিক ধর্ম।

কলমীলতা কাঁচা বাজারে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবু তাহেরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজার সবসময়ই উত্তপ্ত থাকে। কোনো কোনো জিনিসের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। কিন্তু যে হারে বাড়ে সেই হারে আর কমে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’

শেওড়াপাড়া বাজারের ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের হাতে আমরা বন্দি। তারা যেভাবে পারে আমাদের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। কোনো অজুহাত পেলে সুযোগ নিতে তারা ভুল করে না। তাই সরকারিভাবে বাজারে কঠোর মনিটরিং দরকার।’

খুচরা মরিচ ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মরিচ তুলতে পারছেন না। ফলে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনেছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি।’

সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার পর থেকেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। ঈদের আগে কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ঈদের পরেই হঠাৎ করে দাম ২০০ টাকায় উঠে যায়। এরপর দাম কিছুটা কমলেও তা ১২০ টাকার ওপরেই রয়ে যায়।

https://www.jugantor.com/industry-trade/2017/10/03/160287