৩ অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:০০

প্রধান বিচারপতিকে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে : খন্দকার মাহবুব হোসেন

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীণ আইনবিদ খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, হঠাৎ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটিতে যাওয়া অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। আমার মনে হচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে চাপের মুখে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হঠাৎ করে ছুটিতে যাওয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার খন্দকার মাহবুব হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান পার্লামেন্টের ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সংক্রান্ত একটি আপিল মামলা রয়েছে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বিষয়ে একটি রিট আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হয়। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে একটি আপিল আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যাতে তিনি ওই আপিল নিষ্পত্তি করতে না পারেন সে জন্য চাপের মুখে তাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো কুচক্রী মহলের চাপের মুখে যদি প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যান তা হলে তা স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনের ওপর মারাত্মক আঘাত।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরো বলেন, প্রধান বিচারপতি সুস্থ অবস্থায় কয়েকদিন আগে জাপান সফর শেষে দেশে এসেছেন। এর মধ্যে তিনি কখন অসুস্থ হলেন। অসুস্থ হলে কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। আমাদের জানা মতে প্রধান বিচারপতির সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। গতকাল সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বাসভবনে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে চাইলেও দেখা করতে পারেননি। এভাবে চাপের মুখে প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়া বিচার বিভাগের ওপর চরম আঘাত।

আমি মনে করি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার তার (প্রধান বিচারপতি) ওপর ুব্ধ হয় এবং বিভিন্নভাবে তার ভাবমর্যাদা ুণœ করার চেষ্টায় ছিল। সেই কারণে এবং ১৫৪ জন এমপি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সংক্রান্ত আপিল তার আদালতে শুনানির অপেক্ষায় থাকায় তাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/256707