১ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার, ১২:০৬

রোহিঙ্গা প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদের বিশাল অশ্বডিম্ব প্রসব

-অবগুণ্ঠন উন্মোচন ॥ আসিফ আরসালান
যা আশঙ্কা করা গিয়েছিল, অবশেষে সেটিই ঘটেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা মুসলমান ইস্যুতে একটি বিরাট অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে। এমনটি যে হবে সেটি নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক মহল প্রথম থেকেই ধারণা করছিলেন। কিন্তু সরকারপন্থী এক শ্রেণীর প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া এমনভাবে খবরটি প্রচার করছিল যেটি দেখে অনেকের মনেই এই মর্মে একটি বিভ্রান্ত আশাবাদ সৃষ্টি হচ্ছিল যে এবার হয়তো রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতিবাচক একটা কিছু ঘটবে। নিরাপত্তা পরিষদের ঐ সভার খবর এমন ঢঙ্গে এবং এমন গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছিল যে, যেন পরিষদের অধিবেশন বসাটাই একটি বিরাট ঘটনা। বলা হচ্ছিল যে সেদিনের সভাসহ রোহিঙ্গা মুসলমান ইস্যুতে এটি ছিল ১ মাসে নিরাপত্তা পরিষদের তৃতীয় অধিবেশন। এটি হ্যালা ফেলার বিষয় নয়। অধিবেশন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জনাব মোমেন তো বলেই ফেললেন যে একটি মাত্র ইস্যু অর্থাৎ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এক মাসে নিরাপত্তা পরিষদ তিন বার বৈঠকে মিলিত হলো। এটি সোজা কথা নয়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বিরাট সফলতা। তিনি এই সফলতাকে ইংরেজিতে ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, Second stage success বা দ্বিতীয় ধাপের সফলতা। শুধুমাত্র সভা অনুষ্ঠানই যদি সফলতা হয় তাহলে বাংলাদেশের জনগণের বলার কিছু নেই।

ইংরেজিতে একটি কথা আছে, Talk, talk and talk out. অর্থাৎ সকলেই কথা বলছেন, হয়তো সকলেই শুনছেন। কিন্তু ফলশ্রুতি হলো এই যে, এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে এই কথা বলার অর্থ কি দাঁড়ায়? সব কিছুই কি শূন্যগর্ভ হয় না? নিরাপত্তা পরিষদের একটি সভা হলো। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে সভার খবর প্রচার করা হলো। তারপর দেখা গেলো, স্থায়ী অস্থায়ী সদস্যরা সকলে মিলে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বক্তৃতা করলেন। সবশেষে দেখা গেলো, কোনো প্রস্তাব নেই। এমনকি কোনো প্রস্তাব উত্থাপনও করা হয়নি। শুধু তাই নয়, কোনো বিবৃতিও দেয়া হয়নি। সকলে মনে করেছিলেন যে আর কিছুই না হোক, অন্তত মুখ রক্ষার খাতিরে নরমে গরমে হলেও একটি বিবৃতি দেয়া হবে। কিন্তু হা হতাস্মি! কোনো বিবৃতি জারি করা তো দূরের কথা, কোন বিবৃতির মুসাবিদাও করা হয়নি। নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত দেশী বিদেশী, বিশেষ করে বিদেশী রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা জানালেন যে, কোনো বিবৃতিরও চেষ্টা করা হয়নি, কোনো প্রস্তাব উত্থাপনেরও চেষ্টা করা হয়নি। কারণ রাশিয়া এবং চীনের ভয়। যদি এই দুটি দেশ অথবা দুটি দেশের যে কোনো একটি দেশ সেই প্রস্তাবিত বিবৃতি বা প্রস্তাবে ভেটো দেয়। রাশিয়া এবং চীন ছাড়াও আরো তিনটি স্থায়ী সদস্য আছে। এরা হলো আমেরিকা, বৃটেন এবং ফ্রান্স। অবশ্য এরা সকলেই মিয়ানমার সরকারের বর্বরতাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা তাদের বক্তৃতায় বলেছেন যে, এই পাশবিকতা, বর্বরতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব সমাজের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই তিন শক্তির কেউ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধের সুপারিশ করেছেন, কেউ মিয়ানমারের সৈন্যদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া বন্ধ করতে বলেছেন, আবার কেউ সেখানে অস্ত্র রপ্তানি বা সরবরাহ বন্ধ করতে বলেছেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। সেসব বক্তব্যকে প্রস্তাব আকারে উত্থাপনের কেউ সাহস পায়নি, পাছে যদি চীন বা রাশিয়া ভেটো দেয়।

তাহলে ব্যাপারটি কি দাঁড়ালো? বাংলাদেশের এত বড় দুঃসময়ে সক্রিয়ভাবে কেউই বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। রাশিয়া এবং চীন তো খাড়া বিরোধিতা করেছে। যারা সমর্থন করলো সেই আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সও সরাসরি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালো না। যে অষ্ট্রেলিয়া সাধারণত বিশ্ব রাজনীতির সাতে পাঁচে থাকে না, যাদের ট্র্যাডিশন হলো আমেরিকা ও বৃটেনের ধামাধরা, সেই অষ্ট্রেলিয়াও এমন একটি বক্তব্য দিলো যেটি রক্ত পিপাসু, দানবী অং সাং সু চির পক্ষে গেল। অষ্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি বলেন, এই সময়ে বার্মার কড়া সমালোচনা করে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করলে অথবা কোনো বিবৃতি দিলে অং সাং সু চি বিব্রত হবেন এবং সামরিক বাহিনী কর্তৃক সর্বময় ক্ষমতা গ্রহণের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। অষ্ট্রেলিয়ার এই বক্তব্য সরাসরি সু চির পক্ষে গেছে। এর আগে, অর্থাৎ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্য বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী টিলারসনও একই সুরে গান গেয়েছিলেন। তিনিও বলেছেন যে, এখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সু চি বিড়ম্বনায় পড়বেন এবং বর্মী সামরিক বাহিনীর হাত শক্তিশালী হবে।

॥দুই॥
প্রশ্ন হলো, সু চি ক্ষমতায় থাকলেই কি আর না থাকলেই বা কি? এতে বাংলাদেশের কি এসে যায়? প্রশ্ন উঠেছে, সু চি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা মুসলিম বিরোধী সমগ্র অপারেশন বা গণহত্যা বা জাতিগত নিধন চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। সু চি সেখানে সামরিক বাহিনীর কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ সু চির এই তথাকথিত অসহয়ত্বের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এভাবে, “বার্মার সংবিধানে সামরিক বাহিনীকে এমন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যেখানে এই ধরনের অপারেশনে সামরিক বাহিনীর কথাই শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং সাংবিধানিকভাবেও এখানে সু চির কিছু করার নেই”। অন্যদিকে সু চি স্টেট এ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বা প্রধান। বেসামরিক ক্ষমতা কেন্দ্রের তিনিই প্রধান। তাই অনেক পশ্চিমা মিডিয়া সু চিকে বার্মার ডি ফ্যাক্টো শাসক বলেন। তাহলে সেই ডি ফ্যাক্টো শাসক তার ক্ষমতার বিন্দুমাত্র প্রয়োগও করছেন না, অন্তত রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে। তাহলে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কোন নেতা বেশি ক্ষমতা পেলেন, আর কোন নেতা কম ক্ষমতা পেলেন সেটি বাইরের দুনিয়ার কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তো নয়ই। বাংলাদেশের দেখার বিষয় হলো এই যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে ৯ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান অবস্থান করছেন তাদেরকে নিরাপদে, সসম্মানে অর্থাৎ নাগরিকত্ব দিয়ে স্বদেশে ফেরৎ পাঠানো। সেটি সু চি করুন, কি সামরিক জান্তা করুন, তাতে বাংলাদেশের কিছু এসে যায় না। সেটি করতে গেলে সু চির ক্ষমতার ভিত্তি শক্ত হোক বা দুর্বল হোক, সেটিও বাংলাদেশের ধর্তব্য নয়।
তাহলে এই ১ মাস ৬ দিন, অর্থাৎ ৩৬ দিন পর দেখা গেলো বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পূর্ণ একা। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রথম দিকে বৃটেনের প্রধান মন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিল অত্যন্ত অসহায় বোধ করেন। তিনি নিজেকে অর্থাৎ বৃটেনকে বন্ধুহীন অবস্থায় দেখতে পান। তখন তিনি বিলাপ করে যা বলেছিলেন, বাংলা করলে সেটি দাঁড়ায় এরকম, “এই বিশাল সমুদ্র তটে আমি একেবারেই একা। আমাকে এই নির্জন তীরে একা ফেলে রাখা হয়েছে”। রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ অবস্থা হলো এই যে, বাংলাদেশ বঙ্গপোসাগরের থৈ থৈ নীল জল রাশিতে একা একা ভাসছে। ইংরেজিতে প্লেয়ারকে বলা হয় খেলোয়াড়। বঙ্গপোসাগরের মালিকানা এবং প্রভুত্ব নিয়ে মাঠে দেখা যায় চার খেলোয়াড়কে। এরা হলো চীন, ভারত, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ। এর মধ্যে মিয়ানমার, ভারত এবং চীন এখন একাট্টা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ একা। এটি বাংলাদেশের কূটনীতির চরম ব্যর্থতা। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির চরম অন্তঃসার শূন্যতা।
॥তিন॥
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আজ এই সরকারের নিকট থেকে জানতে চায়, এই মুহূর্তে গণচীনের কথা বাদ দিলেও ভারত কেনো বাংলাদেশকে মাঝ দরিয়ায় ফেলে দিলো? দেশ বিদেশে এখন একই রব, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ইন্দো সেন্ট্রিক। অর্থাৎ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ভারত কেন্দ্রিক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারত নির্ভরতা শুধুমাত্র প্রাধান্যই পায়নি, বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে এবং এককভাবে ভারত নির্ভর হয়ে পড়েছে। ভারতকে খুশি করার জন্য বাংলাদেশের যে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, সেটি এখন আর আড়ালে নেই। এখন সেটি প্রকটভাবে দৃশ্যমান। বর্তমান সরকারের বিগত ৯ বছরে ভারত বাংলাদেশের নিকট খেকে যা কিছুই চেয়েছে তার সব কিছুই বাংলাদেশ দিয়েছে। এখন আর তার দেওয়ার মত কিছু নেই। মনে হয় ভারতও বাংলাদেশের নিকট থেকে এত কিছু পেয়েছে যে ভারতেরও সম্ভবত আর চাওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের অবস্থা রবীন্দ্রনাথের ঐ কবিতার মতই।
রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি
দেবার কিছু নেই,
আছে শুধু ভালবাসা
দিলাম আমি তাই।
আসলে বাংলাদেশ দিতে দিতে একেবারে রিক্ত এবং নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই ভারতের প্রতি এই সরকারের বুক ভরা ভালবাসা ছাড়া আর দেয়ার কিছু নেই। দিতে দিতে উর্বরা, সুফলা বাংলাদেশ এখন ছোবড়ায় পরিণত। সম্ভবত সে কারণেই ভারত বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে মিয়ানমারের প্রতি নজর দিয়েছে। সকলেই বলছেন, দেশটি ভৌগোলিক আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বড়, প্রায় ৫ গুন বড়। পক্ষান্তরে জনসংখ্যা মাত্র ৫ কোটি ১৫ লক্ষ। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ। অন্যদিকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে মিয়ানমার নাকি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এছাড়াও এই দেশটি বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী দেশ। অপর দুটি দেশ হলো ভারত এবং বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা একথাও বলছেন যে ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ টি রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত) সাথে যোগাযোগের জন্য মিয়ানমারের মাধ্যমেও কোরিডোর বা ট্রানজিট চায়। তাই নতুন বন্ধুর সাথে ভাব জমাতে রোহিঙ্গা মুসলমান ইস্যুতে তারা বাংলাদেশকে পরিত্যাগ করেছে।

সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এই যে তারা এখন বাংলাদেশকে যেটা দিচ্ছে সেটা হলো বাংলাদেশের জন্য সান্ত¦না পুরস্কার। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার টেলিভিশনে দেখলাম, কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে চীনের একটি কার্গো বিমান ঢাকা বিমান বন্দরে ল্যান্ড করেছে। ভারতেরও একাধিক ত্রাণ বহনকারী বিমান কক্সবাজার বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে। ঐসব ত্রাণ সামগ্রী বুঝে নিচ্ছেন বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। রাশিয়াও নাকি ত্রাণ পাঠাচ্ছে। এই তিনটি দেশের কথা আর কি বলব? এ যেন গরু মেরে জুতা দান।

কিন্তু বাংলাদেশ এমন বন্ধুহীন হলো কেন? বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং কূটনীতি এমন শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলো কেন? এমনকি রোহিঙ্গা মুসলমান ইস্যুতে ভারতও কেন বাংলাদেশকে বর্জ্যপত্রের মত ছুঁড়ে ফেলে দিল কেন? উত্তরটি অত্যন্ত সোজা। ভারতের সাথে খেলার মত কোনো কার্ড বা তাস আর বাংলাদেশের হাতে অবশিষ্ট নেই। আগেই অনেক তাস পড়ে গেছে। হাতে ছিল দুইটি তাস। একটি হলো বাংলাদেশের বুক চিরে উত্তর-পূর্ব ভারত বা সেভেন সিস্টার্সের জন্য ট্রানজিট বা করিডোর। আরেকটি হলো চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ভারত কর্তৃক ব্যবহার। ৬০ বছর ধরে এগুলোর জন্য ভারত প্রথমে পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশের পেছনে ঘুরেছে। কিন্তু পায়নি। এই সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্ত হাতে সবকিছু ভারতকে দিয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে বার্গেইনিং কাউন্টার বা দর কষাকষির জানালা শক্ত রাখতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের কাছে তার বার্গেইনিং পাওয়ার হারিয়ে ফেলেছে। তাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে শূন্য হাতে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারের উপায় কি? সম্ভব হলে সেটি আগামী কলামে আলোচনা করতে পারি, যদি এর মধ্যে আরো নতুন কোনো ঘটনার উদ্ভব না ঘটে।

http://www.dailysangram.com/post/301792