পালংখালীতে পিতৃহারা এক রোহিঙ্গা শিশুর কান্না
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার, ৭:০৯

রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ থামছে না

আরো এসেছে ৫০ হাজার

কোনোমতেই থামছে না রোহিঙ্গাদের প্রবেশ। গতকাল সোমবারও নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫০ হাজারের বেশি নির্যাতিত নারী, শিশু ও পুরুষ। কক্সবাজার জেলার উখিয়া, টেকনাফসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করা এসব নির্যাতিত অনেকেই ফেলে এসেছেন আপনজনদের। তাদের বেশির ভাগই ১৫-১৬ দিন আগে মিয়ানমারের আর্মি, পুলিশ ও স্থানীয় মগদের ভয়ে পাহাড়ে-জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারা ধীরে ধীরে মিয়ানমার বাহিনীর নজর এড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে হেঁটেছেন। হাঁটতে হাঁটতে গত রোববার শেষ রাতে এবং গতকাল সোমবার সকালে নাফ নদী অতিক্রম করে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশে।

বুচিডংয়ের নজু মিয়ার স্ত্রী লালমতি (৫৫) এমনই একজন। ১১ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে গতকাল সকালে সাতজনকে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন নজু মিয়া ও লালমতি। নজু মিয়া জানান, মিলিটারিরা আসছিল আমি ও ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু লালমতি বুঝতে পারেনি। তাকে ঘর থেকে বের করে এনে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। আমরা দৌড়ে জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নেই। এটা ১৫ দিন আগের কথা। লালমতি মিলিটারির মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলে তারা চলে যায়। পরে আমরা তাকে ধরাধরি করে নিয়ে আসি জঙ্গলে। গত ১৫ দিন ধরে লালমতি ব্যথায় কাতরাচ্ছে। কোনো ওষুধ নেই। সেখানে তো প্রাণই বাঁচে না ওষুধ কোথা থেকে আসবে? নজু মিয়া আরো জানালেন, সাত ছেলেমেয়েকে নিয়ে আমরা এসেছি। অবশিষ্টরা কোথায় বলতে পারব না। তারা বেঁচে আছে, না মিলিটারিরা মেরে ফেলেছে তা-ও আমরা জানি না। লালমতি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। ব্যথায় তিনি কেঁদেই যাচ্ছিলেন। দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়া পানি থামছিল না। উখিয়ার পালংখালীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। এখানে ডাক্তার আছে ও তারা বিনামূল্যে ওষুধও দেয় জানানো হলে নজু মিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন। কোথায় ডাক্তার বা ওষুধ পাবেন তিনি জানেন না। পরে তাদের দু’জনকে গাড়িতে করে বালুখালীর একটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে বসে নজু মিয়া বলছিলেন, সেখানে তারা খারাপ ছিলেন না। একটি দোকান ছিল এবং কিছু ধানী জমি ছিল, ছিল অনেক গরু, পুকুরে মাছ ছিল। তাদের দিন ভালোই কাটছিল। কিন্তু মিলিটারিরা বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ এসে তাদের সাজানো সংসার শেষ করে দিয়ে গেল।

নাজমা বেগম (১৯) গতকাল শেষ রাতে এসেছেন স্বামীর সাথে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের মংডুর নয়াপাড়া থেকে। স্বামীর সাথে তিন সন্তান নিয়ে প্রবেশ করেছেন। নাজমা বেগম আবারো সন্তান সম্ভবা। তিনি এ প্রতিবেদককে জানালেন, স্বামী সংসার নিয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। মিলিটারিরা হত্যা-নির্যাতন না করলে তারা এখানে আসতেন না।
হাফেজ যাকারিয়া (২৭) প্রাণ ভয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চলে এসেছেন। তিনি জানান, একদিন এশার নামাজের পর আমাদের এলাকার প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা আহমদ কবির ও মাওলানা জয়নাল আবেদীনকে মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যায় মিলিটারি। দুই দিন পর তাদের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। হাফেজ যাকারিয়া জানালেন, ওই প্রসিদ্ধ দুই মাওলানাকে মেরে ফেলার পর আমরা আর সেখানে থাকা নিরাপদ মনে করিনি। প্রাণভয়ে হাতের কাছে যা পেয়েছি তাই নিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছি। বন-জঙ্গল দিয়ে এসেছি। মিলিটারির দিকে নজর রেখেছি, একই সাথে রাখাইনদের থেকে দূরে থেকেছি। এই দুইটা জাত আমাদের মেরে ফেলতে চায়।
বুচিডং থাকতেন অন্ধ আবুল হোসেন (৩০)। তিনি জানান, আমি চোখে দেখতে পাই না। মিলিটারির অত্যাচারে আমার স্ত্রী বলল আমরা এখানে থাকব না। সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবো। আমি বাংলাদেশের পথে হাঁটা দিলাম স্ত্রীর সাথে। পথে আমার দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে মিলিটারিরা গুলি করে মেরে ফেলে। আমাকে ওরা কেন যেন মারেনি, হয়তো অন্ধ বলেই। আমি একটি সন্তান নিয়ে অন্যদের সাথে বাংলাদেশে চলে এসেছি।

গতকাল সকালে অথবা গত রোববার যারা বাংলাদেশে নতুন করে প্রবেশ করেছেন তাদের সবারই একই ধরনের অবস্থা। পথে আসতে আসতে এবং বন-জঙ্গলে, পাহাড়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকেই নানাভাবে জখম হয়েছেন। এখানকার রাস্তা-ঘাট না চিনার কারণে এবং ভাষাগত সমস্যার কারণে তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তারা শুধু কক্সবাজারের স্থানীয় ভাষাটাই বোঝেন। তারা শুদ্ধ বাংলা একেবারেই বুঝতে পারেন না। ফলে চিকিৎসা নিতে গেলে সুচিকিৎসাটাও পাচ্ছেন না। অনেক সময় স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত ১৫ দিন উখিয়ার বালুখালীর পানবাজারে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, ভাষাগত একটা সমস্যা আছে। স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। ভাষাটা বুঝতে পারলে রোগী সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন বনে-জঙ্গলে অবস্থান করে তারা সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা, রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন, ডায়রিয়া, আমায়শয়ে ভুগছেন।
মংডুর ফকিরা বাজারে গর্ত থেকে ২৮ লাশ উদ্ধার
মিয়ানমারে আরাকান রাজ্যে মংডুতে দুইটি গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে শিশুসহ ২৮ রোহিঙ্গার গলিত লাশ। গত রোববার বিকেলে মংডুর ফকিরা বাজারে একটি পাহাড়ি পাদদেশে দুইটি গর্ত থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। রোহিঙ্গাদের হত্যা করে এ গর্ত দুইটিতে মাটি চাপা দিয়েছিল সেনারা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পাহাড়ি ঢালুতে ও নদী কিনারায় গণকবর দিয়েছে শত শত রোহিঙ্গাকে। ইতঃপূর্বে মংডুতে দুইটি গণকবরের খোঁজ পেয়েছিল রোহিঙ্গারা।
সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে একদল রোহিঙ্গা পাহাড়ি পথে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সময় দুইটি গর্তে মানুষের দেহাবশেষ দেখতে পায়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে তারা গর্ত দুইটি খুঁড়তে থাকে। গর্তের ভেতর একের পর এক লাশ দেখে ভড়কে যায় তারা। বাংলাদেশগামী রোহিঙ্গারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং নিকটবর্তী গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানায়।
সূত্র আরো জানিয়েছে, খবরটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সেনা কর্তৃপক্ষকে অবগত করে। পরে সেনাসদস্যরা গিয়ে গলিত লাশগুলো উত্তোলন করে এবং ছবি তোলে। পরে তড়িঘড়ি করে একটি ভ্যানে উঠিয়ে লাশগুলো নিয়ে যায় সেনারা।
অপর দিকে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও সারা বিশ্বের প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও তা তোয়াক্কা না করে মিয়ানমার সরকারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, দমন-নিপীড়ন ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এক দিকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ ও আহ্বানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে, আর অন্য দিকে আরাকানে সামরিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে সহিংসতার এক মাসেও শান্তি ফেরেনি। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকায় রোহিঙ্গাদের নানানভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা।
সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে বুচিডংয়ের মাম্ব্রার হত্তিপাড়ায় সেনাদের পরিকল্পিত স্থল মাইন বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মাম্ব্রার ছেত্তা পাড়া ও হত্তিপাড়ায় গতকাল সোমবার সকালেও রোহিঙ্গাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে সেনাসদস্যরা। এ সময় ঘরের আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে। মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। নারীদের শ্লীলতাহানি করে। সেনাদের সহায়তা করে স্থানীয় অতি উৎসাহী রোহিঙ্গাবিদ্বেষী রাখাইনরা। এর আগে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বিস্ফোরণের ঘটনায় রোহিঙ্গারা জড়িত নয় বলে সেনা সদস্যদের বর্ণনা দেন। তারপরও রোহিঙ্গাদের হয়রানি করে যাচ্ছে সেনারা। মংডু, বুথিদং ও রাথিদংয়ের মতো রোহিঙ্গাদের দমন-নিপীড়ন চালানোর জন্য অজুহাত সৃষ্টি করছে সেনাবাহিনী সদস্যরা। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে উত্তেজনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। গত দুই দিনে ওপার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এমন খবর দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, সহিংসতার শুরু থেকে অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পরিবর্তে নিজ দেশে লুকিয়েছিল। তারা আশা করেছিল, রাখাইনে পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানে নতুন করে বসবাস শুরু করবে। কিন্তু বেলা যতই গড়িয়েছে আরাকানে পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের জন্য তেমন একটা সুবার্তা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।
সরেজমিন দেখা যায়, নাফ নদ পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো রোহিঙ্গাদের আগমন বন্ধ হয়নি। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আগের মতো না এলেও প্রতিদিন-রাতে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ এপারে আশ্রয় নিতে পালিয়ে আসছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানায়, রাখাইন এখনো অশান্ত ও উত্তপ্ত। তাই মৃত্যুভয়ে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন।
গতকাল দুপুরে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের মংডুর খুইন্যাপাড়া এলাকা থেকে আসে ১৮ জন রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা। ওই নৌকার রোহিঙ্গা নারী ছলিমা খাতুন (৩৮) জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাদের গ্রামটি গত চার দিন আগে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল। গ্রামটি এখন জনমানবশূন্য, সেখানে শুধু ধ্বংসস্তূপ আর পোড়া গন্ধ। গ্রামের সবাই আগেই চলে এসেছে, তারা সর্বশেষ এসেছেন।
ছলিমা জানায়, মিয়ানমারের বর্বর সেনারা তাদের গ্রামের একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে অন্যদের মতো তারাও গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের গ্রামের অন্যরা আগে থেকে বাংলাদেশে চলে এলেও তারা গত চার দিন ধরে মিয়ানমার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়। নাইক্ষ্যংদিয়ায় তাদের সাথে অবস্থান করা অন্য রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এলে তারা সেখানে পড়শিহারা হয়ে আরো দুই দিন অপেক্ষা করে।
ওই রোহিঙ্গা নারী আরো জানান, তারা নাইক্ষ্যংদিয়ায় অবস্থান করে আবার তাদের পোড়া গ্রামে ফিরে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ বেলায় এসে দেখে তাদের সেই পোড়া গ্রামে এখনো সেনারা দিনরাত টহল দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ওই গ্রামের সবাই এখন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাই তারাও বাংলাদেশ আসতে বাধ্য হয়েছে।
মংডুর গর্জনদিয়া থেকে আসা অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারী মদিনা বেগম (৩৫) জানিয়েছেন, নৌকা ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে না পারায় তারা এতদিন বাংলাদেশ আসতে পারেনি। ওপারের সেনাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ঝোপঝাড়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো মতে পালিয়ে দিন কাটছিল তাদের। কিন্তু এতদিনে রাখাইনের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় দিনমজুর স্বামী রহিম উল্লাহ আত্মীয়স্বজন থেকে ধার করা টাকায় নৌকা ভাড়া দিয়ে তাদের বাংলাদেশ নিয়ে এসেছেন। নৌকার মাঝি তাদের প্রতিজন থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার আরাকানে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আগমন এখনো থামেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওপার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অভিযোগ আরাকান এখনো পুড়ছে। তাই অশান্ত রাখাইনে তাদের জীবন অনিরাপদ।
নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ হারুন (২৮) জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তারা জীবনের নিরাপত্তা, খাদ্য, চিকিৎসাসহ শরণার্থী হিসেবে প্রয়োজনীয় সাহায্যও পাচ্ছে। তার মতে, বিশ্ব সম্প্রদায় মিয়ানমারকে চাপ দিলে আরাকান শান্ত হবে, তখন তারা শান্ত রাখাইনেই ফিরে যাবে।
এইডস আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা নারী চমেকে ভর্তি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এইডস আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা নারীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার রাতে তাদের কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, এইডস আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা নারী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছেন। এইচআইভি ভাইরাস আক্রান্ত একজনের বয়স ৫০ বছর, অন্য জনের ৬০ বছর। সাপের কামড় খাওয়া এক বৃদ্ধকেও কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/254925