২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৮:২৬

দ্রুত কমছে ধানের জমি

হুমকিতে খাদ্য নিরাপত্তা

দেশে দ্রুত কমছে ধান চাষের জমি। ধান চাষের পরিবর্তে কৃষকরা ক্রমে ধাবিত হচ্ছে মাছ, হাঁস-মুরগি চাষ, ফলের বাগানসহ নানা ধরনের বিকল্প ফসলের প্রতি। এ ছাড়া দ্রুত নগরায়ন, বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ, ইটভাটাসহ আরো অনেক কারণে কমছে ধানের জমি। ধান চাষ বাদ দিয়ে কেউ পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে। কেউ আবার আমড়া, আম, কলা, পেয়ারা, কুলসহ বিভিন্ন ধরনের ফল চাষের দিকে ঝুঁকছে। এর কারণ অধিক লাভ। কৃষকেরা জানান, ধান চাষ করে পোশায় না। যে খরচ হয় তা উঠে আসে না। অপর দিকে মাছ, হাঁস-মুরগি চাষ, ফলের বাগান এবং অন্যান্য ফসল উৎপাদনে লাভ অনেক বেশি।
দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যেসব এলাকায় এক সময় মাইলের পর মাইল ধানের জমি ছিল সেখানে এখন আর তেমন ধানের জমি নেই। এসব ধানের জমিতে এখন গড়ে উঠেছে সমন্বিত মাছ চাষ ও পোলট্রি ফার্ম প্রকল্প, ফলের বাগানসহ নানা ধরনের প্রকল্প। ধানের জমিতে পুকুর কাটাসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৈরির যেন প্রতিযোগিতা চলছে অনেক এলাকায়। ধান চাষের পরিবর্তে সেখানে পুকুর কেটে মাছ, হাঁস-মুরগি চাষ করে কেউ একজন সফল হলে তার দেখাদেখি এলাকার অন্যরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে একই ধরনের কাজে। ফলে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে ধানের জমি।

বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৭১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৪৪ বছরে দেশে ধান চাষের জমি ১৮ শতাংশ কমেছে। তবে ধান চাষের জমি কমলেও একই সময়ে চালের উৎপাদন বেড়েছে তিন দশমিক ১৬ গুণ।
ধানের জমি কমলেও বেড়েছে ধানের উৎপাদন। কিন্তু তাতেও দূর হচ্ছে না উদ্বেগ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা যেভাবে ধানের জমি কমছে তা অব্যাহত থাকলে একসময় কমতে থাকবে ধানের উৎপাদনও। তখন হুমকির মুখে পড়বে খাদ্য নিরাপত্তা। এ ছাড়া বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ সঙ্কট ভয়াবহ রকমের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ বছর এপ্রিলে সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হাওর বিপর্যয় এবং আগস্টে সমগ্র উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক মাত্রার বন্যার ফলে দেশে বিরাজমান চাল সঙ্কট এ আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করেছে ইতোমধ্যে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তর চাল উৎপাদনকারী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম চাল আমদানিকরক দেশে পরিণত হয়েছে। এ বছর জুন মাসে দেশে চালের মজুদ নেমে আসে এক লাখ ৯১ হাজার টনে যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছর যেখানে মাত্র ৭০ হাজার টন চাল আমদানি করতে হয়েছে সেখানে চলতি বছর সরকার ১৫ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চাল আমদানির জন্য দেশে দেশে ঘুরেও প্রয়োজনীয় চাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। তই ভবিষ্যৎ বিপর্যয় এড়াতে এখনই টেকসই উৎপাদনব্যবস্থার প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।

ভূমি জরিপ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ১৯৭১ সালে দেশে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১৭ লাখ হেক্টর। ১৯৮৬ সালে তা দাঁড়ায় ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টরে এবং ২০০৩ সালে আরো কমে দাঁড়ায় মাত্র ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে বল হয়েছে, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ আবাদি জমিতে ধান ও গমের আবাদ হয়।
২০১১-১২ অর্থবছরে দেশে মোট তিন কোটি ৩৭ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। পাঁচ বছরের মাথায় চালের উৎপাদন সামান্য বেড়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চাল উৎপাদিত হয় তিন কোটি ৪৫ লাখ টন।
গত পাঁচ বছরে এক লাখ ২৫ হাজার হেক্টর ধান চাষের জমি অন্য খাতে চলে গেছে। অপর দিকে গত ১১ বছরে ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ একর কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে গেছে। ফলে প্রযুক্তির সহায়তায় সীমিত জমিতে ধানের উৎপাদন বাড়িয়েও সামগ্রিক উৎপাদন কাক্সিক্ষত পর্যায়ে আনা যাচ্ছে না। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট ভূমির পরিমাণ প্রায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন হেক্টর। এর মধ্যে ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষক দল এশিয়ার ধান উৎপাদনকারী ছয়টি দেশের ৩২০টি খামারে গবেষণা চালিয়ে জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গবেষকদের আশঙ্কা, আগামীতে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। তারা জানান, ধানের উৎপাদন বাড়লেও যে হারে জমি কমছে, তাতে একপর্যায়ে উৎপাদন থেমে যাবে। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করবে। ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএস)’ সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
এ দিকে ফসলের উৎপাদন বাড়ার সাথে জমিতে ব্যাপকহারে সার ও কীটনাশক ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ এর ফলে মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ টন রাসায়নকি সার ব্যবহার করা হয়।
অপর দিকে জমি কমা সত্ত্বেও ধানের উৎপাদন বাড়লেও হারিয়ে যাচ্ছে অনেক উন্নত জাতের দেশীয় ধান। এ ছাড়া এবার হাওরের পানিতে ধানগাছ তলিয়ে যাওয়ার একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ছোট হাইব্রিড ধানগাছকে।
সরেজমিন সোহাগদল : যেভাবে উজাড় হচ্ছে ধানের জমি
কবির হোসেনের বাড়ি আলকীরহাট বাজার। এটি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নে অবস্থিত। সোহাগদল ইউনিয়নের সর্ব পূর্বে রয়েছে ইন্দেরহাট বন্দর যা উপজেলা সদরের কাছে অবস্থিত। ইউনিয়নের সর্ব পশ্চিমে রয়েছে আলকীরহাট বাজার। ইন্দেরহাট থেকে আলকীরহাটের দূরত্ব সাড়ে চার কিলোমিটার। কবির হোসেনের বয়স ৬০ বছর। কবির হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি ইন্দেরহাট বন্দরে যাতায়াত করি। ইন্দেরহাট থেকে আলকীরহাট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের বেশির ভাগ স্থানে ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ধানক্ষেত আর ধানক্ষেত। রাস্তার পাশে বাকি জায়গায় ছিল কিছু ঘরবাড়ি, নারকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি। কিন্তু এখন ইন্দেরহাট থেকে আমার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে আর কোনো ধানক্ষেত নেই। ধানক্ষেতের জায়গায় এখন চোখে পড়ে শুধু পালট্রি ফার্ম, মাছ চাষের পুকুর, আমড়া গাছ, মেহগনি গাছ আর নার্সারি। এ ছাড়া ধানের জমিতে গড়ে উঠেছে অনেক ঘরবাড়ি।

সোহাগদল ইউনিয়নের আলকারীট থেকে কলবাড়ি, বড়–ইবাড়ি, ভাইজোরা, চৌকিদার বাড়ি, যদ্দুরভিড়া, আমড়াভিড়া, পঞ্চায়েতবাড়ি, একতারহাট, বেপারিবাড়ি, পেয়াদাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখার সময় রাস্তার পাশে তেমন কোনো ধানের জমি চোখে পড়েনি। একটু পরপর রাস্তার পাশে দেখা গেছে পোলট্রি ফার্ম, মাছ চাষ প্রকল্প, আমড়া, পেয়ারা, কলা ও কুলসহ বিভিন্ন ফলের বাগান, নার্সারি আর সারি সারি মেহগনি গাছ। এসব এলাকার লোকজন জানিয়েছেন যেসব জায়গায় এখন পোলট্রি ফার্ম, মাছ চাষ, আমড়া, পেয়ারা, মেহগনি গাছ দেখেছেন সেসব জায়গায় এক সময় ধানের জমি ছিল। ১০-১৫ বছর আগেও রাস্তার পাশে অনেক ধানের জমি ছিল। এখন গ্রামের অনেক ভেতরে কিছু কিছু ধানের জমি রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, পোলট্রি ফার্ম আর মাছ চাষের হিড়িক পড়েছে পুরো এলাকায়। এতে অনেক লাভ। অনেকেই দ্রুত ধনী হয়ে যাচ্ছে। ধান চাষ করে কোনো লাভ নেই। তাই যাদের হাতেই টাকা আছে তারাই ধানের জমিতে এসব প্রকল্প গড়ে তুলছে। যারা মাছ, পোলট্রি ফার্ম করে লাভ করছে তারা ক্রমে বৃদ্ধি করছে তাদের প্রকল্প। যাদের টাকা নেই, তারা জমি ভাড়া দিচ্ছে প্রকল্পের জন্য। এভাবে এলাকা থেকে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে ধান চাষ।

এলাকার লোকজন জানান, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পোলট্রি ফার্ম বড়ুইবাড়িতে অবস্থিত। এর নাম নিঝুম পোলট্রি ফার্ম। প্রায় এক বর্গমাইলজুড়ে চলছে এ ফার্ম। ফার্মের কর্মকর্তারা জানান, এখানে এক লাখের ওপরে মুরগি রয়েছে। পানির ওপরে ঘর বানিয়ে পালন করা হয় মুরগি। নিচে মাছ। আর সমগ্র প্রকল্প এলাকাজুড়ে আম, লিচু, পেঁপে, নারকেল, সুপারির অগণিত গাছ। মাছ মুরগির খাবারসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সবকিছু ফার্মের ভেতরেই তৈরি করা হয়।
নিঝুম পোলট্রি ফার্ম এখন যেখানে অবস্থিত তার পুরোটাই কিছুদিন আগেও ছিল ধানের জমি।
এলাকার লোকজন জানান, এখানে যত পোলট্রি ফার্ম রয়েছে সবগুলোই গড়ে উঠছে ধামের জমিতে। ১০-১২ বছর ধরে এলাকা থেকে খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে ধানের জমি।

বিপ্লবের বাড়ি আলকীরহাটের কাছে। তিনি জানান, এক সময় তাদের পরিবারে ৩০০ মণ পর্যন্ত আমন ধান হতো। কিন্তু এখন আর তারা কোনো ধান চাষ করেন না। কিছু জমি বর্গা দিয়েছেন। কিছু জমি বিক্রি হয়েছে। বাকি জমিতে কয়েকটি পোলট্রি ফার্ম গড়ে তুলেছেন তিনি এবং তার ভাইয়েরা মিলে। এটা বেশ লাভজনক বলে জানান বিপ্লব।
অনেক এলাকা ঘুরে আবার দেখা গেছে একসময় ধান চাষ হতো এ রকম অনেক জমি বর্তমানে পরিত্যক্ত পড়ে আছে। লোকজন জানান, ধান চাষ লাভজনক না হওয়ায় এসব জমি খালি পড়ে আছে।
স্বরূপকাঠি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিফাত শিকদার জানান, বর্তমানে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৪৯৫ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। চলতি বছর এখানে ছয় হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ১৫ বছর আগেও আমন ধানের চাষ হতো ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।

স্বরূপকাঠি উপজেলায় মোট ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। কুড়িয়ানা ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন হরিপদ বিশ্বাস। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৫৫০ হেক্টর। এর মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ জমিতে এখন ধান চাষ হয়। বাকি জমিতে পেয়ারা, আমড়া, নার্সারি এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়।
হরিপদ বিশ্বাস বলেন, গত ১০ বছরে ধানের জমি তিন ভাগের এক ভাগ কমে গেছে। তিনি বলেন, স্বরূপকাঠির কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পেয়ারার জন্য সারা বাংলাদেশে অনেক আগে থেকে খুবই নামকরা। তবে এখন এ এলাকায় দ্রুত বেড়ে চলেছে আমড়া, নার্সারি এবং সবজি চাষ। সে কারনেও ধানের জমি দ্রুত কমে যাচ্ছে।
সোহগদল ইউনিয়নের পূর্ব সোহাগদলের দায়িত্বে রয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাদশা মিয়া। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে তার এলাকায় প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ ধানের জমি কমে গেছে। ধানের জমিতে গড়ে উঠেছে পোলট্রি ফার্ম, মাছ চাষ, আমড়াসহ নানা ধরনের প্রকল্প।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়েছে পুরো সোহাগদল ইউনিয়নে আবাদি জমির পরিমাণ ৪৬৯ হেক্টর। ১৫ বছর আগেও এ পরিমাণ ছিল প্রায় ৮০০ হেক্টর। বর্তমানে ৩০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়।
জলাবাড়ি ইউনিয়নে আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় এক হাজার হেক্টর। ১৫ বছর আগেও এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬৭৩ হেক্টর। বর্তমানে ধান চাষ হয় মাত্র ৩৫০ হেক্টর জমিতে। সটিয়াকাঠি ইউনিয়নে বর্তমানে ধান চাষ হয় মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে। ১৫ বছর আগেও এ পরিমাণ ছিল ৯০০ হেক্টরের বেশি।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজলোর ন্যায় পুরো দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে দ্রুত কমছে ধানের জমি। দক্ষিণাঞ্চলে ধানের জমি কমছে এবং আমড়া, কলা, পেয়ারা. নার্সারি, কাঠের গাছ, হাঁস-মুরগি ও মাছ চাষ চলছে খুব জোরেশোরে। আবার রাজশাহীতে অনেক দিন ধরে শুরু হয়েছে ধানের জমিতে আমের চাষ। রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় গত পাঁচ বছরে ১১ শতাংশ ধানের জমি কমে গেছে আম বাগান সম্প্রসারণের কারণে। উত্তরাঞ্চলে শুরু হয়েছে চা চাষ। এভাবে সারা দেশে কৃষকেরা ধানের পরিবর্তে দ্রুত ধাববান হচ্ছেন কৃষির অন্যান্য শাখায়। এতে বিভিন্ন ধরনের ফল, মাছ- মুরগির উৎপাদন বাড়লেও আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধানের উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত টেকসই নীতি গ্রহণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তা বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/253967