১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১০:২৫

মানবকল্যাণ সঙ্ঘের মানববন্ধন

মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপ করতে হবে : আলমগীর মহিউদ্দিন

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, বড় বড় দেশগুলো এগিয়ে এলেই এর সমাধান সহজ হবে। প্রয়োজনে জাতিসঙ্ঘকে মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে হবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের সামনে মানবকল্যাণ সঙ্ঘ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ট্রেজারার অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (মওসুস) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, মহিউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুস সাত্তার সুমন।

আলমগীর মহিউদ্দিন বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আরাকান রাজ্যে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় চলছে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসঙ্ঘে আলোচনা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর পদপে গ্রহণসহ সব মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার করতে হবে। বিশিষ্ট এ সাংবাদিক বলেন, মিয়ানমারে এবারই মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়নি। অতীতেও কয়েকবার তারা রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়নের উদ্যোগ নিয়েছে। সেসব সমস্যাও কূটনীতিকভাবে সমাধান করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, অং সান সু চি শান্তির জন্য যে নোবেল অর্জন করেছেন তার সম্মান তিনি রক্ষা করতে পারেননি।

ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া বলেন, আরাকানের মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান করে তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠন করে পুনর্বাসন করতে হবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যা নিয়ে সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও সু চির কানে তা পৌঁছাচ্ছে না। এ রোহিঙ্গারা আরাকান রাজ্যে ৩০০ বছর স্বাধীনতা ভোগ করেছে। কিন্তু আজ তাদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়ন করা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা পাহাড়ি দুর্গম পথ দিয়ে আসার সময় রাস্তায় তারা সন্তান প্রসব করছে। এর চেয়ে মানবিক বিপর্যয় আর কী হতে পারে। তিনি এ নির্যাতনের প্রতিবাদে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/252718