১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৯:৩৯

দ্বিগুণ হলো ওএমএসের চালের দাম

ওএমএসের (খোলাবাজারে বিক্রি) চালের দামও দ্বিগুণ করলো সরকার। গত মে মাসে সংগ্রহ অভিযানের কারণ দেখিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় যখন ওএমএসে বিক্রি স্থগিত করে তখন কেজি প্রতি চালের মূল্য ছিল ১৫ টাকা। এবার তা ৩০ টাকা করা হলো। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, বাস্তবতার আলোকে চালের মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। এটা ওএমএস চালুর দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে আটার মূল্য বাড়ছে না। খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীতে ১২০ ও সারা দেশে ৫৭০টি পয়েন্টে ওএমএসের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হবে। ডিলার প্রতি দুই টনের বদলে এক টন চাল সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চালের বাজার বশে আনতে সরকার একের পর এক দেশের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করছে। এমন অবস্থার মধ্যেই গত কয়েক দিনে কেজিপ্রতি চালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় মনে করে, হাওরে আগাম বন্যায় ফসলহানির পর দুই দফা বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে করে বেশ কয়েক মাস আগে বেড়ে যাওয়া চালের দাম গত কয়েকদিনে আরো বেড়েছে। এদিকে গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজারে সবজি, মাছ এবং মুরগির দাম আগের মতো স্থিতিশীল থাকলেও নতুন করে আবারো বেড়েছে চালের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করবো- এটাই স্বাভাবিক। দাম বাড়ার জন্য বরাবরই মিল মালিক ও আড়তদারদের দায়ী করছেন তারা। তবে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। চালের খুচরা ব্যবসায়ী মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম জানান, মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। এ ছাড়া মিনিকেট কেজি প্রতি ৯ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে (ভালো মানের) ৬৪ টাকা দরে, মিনিকেট (সাধারণ) ৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৫৮ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৭০ টাকা, পাইজাম চাল ৫৫ টাকা, বাসমতি ৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাওরান বাজারের খুচরা ব্যবসাীয় হাফিজুর রহমান বলেন, বাড়তি দামে কিনছি, ওই অনুযায়ীই বিক্রি করছি। আড়তদাররাই বাড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের কিছুই করার নেই। একই বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, চালের দাম বাড়ছে, আরো বাড়বে। বন্যার সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠেতে পারেনি মিল মালিকেরা। ফলে দাম বাড়ছে।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=83364