১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৮:৫৭

অস্থির চালের বাজার, বেপরোয়া সিন্ডিকেট

ঈদের পর কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের চালের বাজার। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেপরোয়া সিন্ডিকেটে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। তবে এই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কোনো উত্তর মিলছে না ব্যবসায়ী, আড়তদার ও মিল মালিকদের। সরকারের তরফে মজুতদারি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। মজুত থাকার পরও দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চালের দাম নয়া দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। মোটা চাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৩ টাকায়। এতে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন। পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা বলছেন, মিলমালিক ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে চালের দাম রাতারাতি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া এখন মোবাইলের মাধ্যমে ঘণ্টায়-ঘণ্টায় চালের দাম পরিবর্তন করছেন তারা। মিলমালিকরা স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণ নিয়ে বিপুল পরিমাণ মজুদ গড়ে তুলেছেন। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বাজার।

রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হতো ৫৫ টাকা কেজি দরে। এখন সে চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ বা তারও উপরে। মোটা চাল বিক্রি হতো ৪০ টাকা কেজি দরে, এখন সেই চাল কিনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে। একদিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা। আবার চালের দামের ক্ষেত্রে এক বাজারেই ভিন্ন ভিন্ন দাম পাওয়া গেছে। এর জন্য কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। চালের এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটা মিলার-আড়তদারদের কারসাজি। আবার কেউ বলেছেন, অতিবৃষ্টি ও বন্যা। বন্দরের জটিলতা ও কাস্টমসের জটিলতাকেও দায়ী করেছেন অনেকেই।

বিক্রেতারা জানান, আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছে, সে কারণে খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। মিলাররা চাল ছাড়ছে না, বাজারে চালের সরবরাহ কম। এসব কারণে নতুন করে চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

কাওরান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মঞ্জুর হোসেন বলেন, মোকামে চালের দর বেশি। আমরা যে দামে কিনি এর সঙ্গে কিছু মুনাফা যুক্ত করে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। এখানে কোনো কারসাজি নেই। কারসাজি যদি হয়ে থাকে তাহলে তা মিলাররা করে। তিনি বলেন, আমদানিকারক ও মিলারদের কারসাজিতে চালের দাম হু হু করে বাড়ছে। এরাই নিজস্ব গুদামে চালের অবৈধ মজুদ গড়ে রেখেছে। এগুলোতে অভিযান চালালেই চাল বেরিয়ে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চাল নিয়ে কেউ কারসাজি করলে ব্যবস্থা নেবো। সরকার চালের ইস্যুতে শক্ত অবস্থানে যাবে। মিলার ও ব্যবসায়ীদের অবৈধ মজুদ খুঁজে বের করতে সারা দেশে তল্লাশি চালানো হবে। কোথায় কোথায় চাল মজুদ আছে তা খুঁজে বের করবো। ইতিমধ্যেই ডিসিদের সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সরকারের বিপণন সংস্থা-টিসিবির হিসাবে গত এক মাসে শুধু মোটা চালের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি হারে। আর বছর ব্যবধানে বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। এক বছরে চিকন চাল ৫০ শতাংশ আর মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৪৫ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশে চালের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। সংস্থাটি বলেছে, গত তিন মাসে দেশে চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এই সময়ে দেশে খাদ্যের দাম, খাদ্যের সহজলভ্যতা ও খাদ্যের মান, এই তিন ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের জন্য এমন সতর্কবার্তা আসলো সংস্থাটির পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এফএও বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গত এক মাসে বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে, দামও কমেছে। তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮টি দেশের বাজারে প্রধান খাদ্য চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, দেশের বোরো উৎপাদনের ৩০ শতাংশ আসে হাওর অঞ্চল থেকে। এ বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ টন। কিন্তু আগাম বন্যায় হাওরে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ হিসাবে ঘাটতি ৪০-৪৫ লাখ টন। তবে সরকারি হিসাব অনুযায়ী হাওরে ক্ষতি হয়েছে ২০ লাখ টন।

এদিকে চালের দাম বাড়ায় নিম্নবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত অঞ্চল থেকে ঢাকায় আসা রিকশাচালক নূর হোসেন বলেন, এলাকায় ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। কাজ করার জায়গা নাই। তাই ঢাকায় এসে রিকশ চালাই। তিনি বলেন, দুইটা ছেলে। একটা পড়ে ক্লাস টেনে। আরেকটার বয়স ৫ বছর। ছেলের পড়াশুনা আর সংসারের খরচ মিটাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে আবার চালের দাম বেড়েছে। ফলে সংসারে খরচের যোগান দেয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই চালসহ সব ধরনের খাবার কম কম করে কিনি। সেগুনবাগিচা বাজারে আসা গার্মেন্টকর্মী আসমা আকতার জানান, কয়েকটি দোকান ঘুরলাম। কিন্তু চালের দর সাধ্যের মধ্যে না আসায় কিনতে পারছি না। মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে চাল কিনতে এসেছেন রিকশাচালক রতন মিয়া। পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল কিনতে চাইলেও কিনলেন ৭ কেজি চাল। রতন মিয়া ক্ষোভের সঙ্গে জানান, চালের দাম এত বেশি হলে বেঁচে থাকবো কি কিরে। চাল কিনতে যদি সব টাকা চলে যায় তবে শাক সবজি কি দিয়ে কিনবো?
এদিকে বেসামাল অবস্থা যশোরের চালের বাজার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। চাল নিয়ে এই চালবাজির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে।

একমাস ধরে চালের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও গত দুইদিনে বেড়েছে কেজিতে কমপক্ষে ৫ টাকা। যা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে অস্বাভাবিক। ভারত ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে-এমন একটি খবরে চালের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন। আবার কোনো কোনো ব্যবসায়ীর দাবি, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম বৃদ্ধির পিছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে ব্যবসায়ী নেতারা ধারণা করছেন।
গত দুইদিনে এক রকম আকস্মিকভাবে বিভিন্ন প্রকারের চালে কেজি প্রতি কমপক্ষে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা। এমন দাম বৃদ্ধির কারণে বিস্মিত হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ভারত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে। যার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালকের নাম সম্বলিত ওই পত্রে কারোর স্বাক্ষর না থাকায় এ নিয়ে সৃষ্ট ধূম্রজাল তৈরির পাশাপাশি এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চালের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। যার সুযোগ নিচ্ছেন ভারতীয় চাল রপ্তানিকারক ও দেশিয় আমদানিকারকরা। ভারতীয় বাজারে চালের দাম যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে পরিবহন খরচ। এ ছাড়া ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। ফলে এক ট্রাক চাল বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে আগের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ খরচ বাড়ছে। একইসঙ্গে চালের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধানের দামও। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সাড়ে ১৩০০ টাকা দরে ধান কিনে প্রতিকেজি চালের দাম পড়ছে ৫৬ টাকারও বেশি। এ কারণে বাজারে চালের দামও বেড়েছে।

যশোরের চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, গত একমাস ধরে চালের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা চরম আকার ধারণ করেছে। এর পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের। নেতাদের ধারণা, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার দিনভর যশোরের চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন চালের পাশাপাশি মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গতকাল যশোরের বাজারে মোটা স্বর্ণা চাল ৪৭-৫০, আঠাশ চাল ৫২-৫৩, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ ও বাসমতী ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। যা দুইদিন আগেও প্রতিকেজি ৫ থেকে ৬ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, অন্যান্য সময় চালের দাম বাড়লে বিক্রিও বেড়ে যায়। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। দাম বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি বাড়েনি।

যশোর চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মেসার্স পিংকি স্টোরের মালিক সুশীল চন্দ্র বলেন, ধানের দাম অনেক বেড়েছে। এ কারণে চালের দামের অবস্থা এ রকম। তাছাড়া, পূজার কারণে ভারত এক দুই সপ্তাহ চাল ঠিকমতো দিতে পারছে না। পরিবহন সংকট বিরাজ করছে। এটিও কাজে লাগায় অনেকেই। তবে, এবার যেটি হচ্ছে তা হলো, উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত এলাকার ব্যবসায়ীরা বেনাপোল বন্দরে এসে পড়ে আছেন। ভারত থেকে চাল আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা তা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে ভারতীয় চাল খুব একটা ঢুকতে পারছে না। এটিও দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে জানান, চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক যশোরের একমাত্র চালের আড়ত সোনালী স্টোরের মালিক রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চান বলেন, গত একমাস ধরে চালের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর পেছনে আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মিলগুলোতে যে চাল রয়েছে সরকার যদি সেগুলো ঠিকমতো বাজারে ছাড়তে পারে তাহলে আমন ওঠা পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। তার দাবি, মিলগুলোতে চালের যে চাহিদা দেয়া হচ্ছে তার পাঁচভাগের একভাগও তারা সরবরাহ করতে পারছে না। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সরকারের কার্যকর তদারকি দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নেতা রফিকুল ইসলাম।

এদিকে সরকারি ছুটির দিন সত্ত্বেও গতকাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে শতাধিক চাল বোঝাই ট্রাক। ব্যসায়ীরা বলছেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে এই চাল বোঝাই ট্রাকগুলো পেট্রাপোল বন্দরে ঢোকে। সিরিয়াল না পাওয়ার কারণে তারা প্রবেশ করতে পারছিল না। গতকাল কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর বিকাল ৩টা থেকে চাল বোঝাই ট্রাকের লম্বা লাইন পড়ে সীমান্তের ওপারে পেট্রাপোলের যশোর রোডে। এর পর লম্বা লাইনে সারি সারি চালের ট্রাক ঢোকে বেনাপোল বন্দরে। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর ওয়ার্ডে ৮৫ ট্রাক চাল বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করেছে। বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে আরো প্রায় ৩০ ট্রাক।
এদিকে বেনাপোল বন্দরের অন্যতম চাল আমদানিকারক মেসার্স ওসমান ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী উসমান আলী বলেন, গতকাল দিনভরও ভারতীয় ওই স্বাক্ষরবিহীন চিঠি নিয়ে তোলপাড় চলে বেনাপোলে। দফায় দফায় সিএন্ডএফ এজেন্টের পক্ষ থেকে পেট্রাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও চিন্তিত ছিল। তবে বিকেলের দিকে চাল বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করায় শংকা কিছুটা দূর হয়েছে। তিনি বলেন, চালের দাম ভারতেও বাড়তি। তাছাড়া পরিবহন খরচ প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে। নানা কারণে ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট মালিকরা পরিবহন খরচ বাড়াচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে। এদিকে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বন্দরে চালের আমদানি স্বাভাবিক আছে। চাল বোঝাই ট্রাক ঢুকছে।

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=83197