১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৮:৫০

মিয়ানমার হেলিকপ্টারের আবারো আকাশসীমা লঙ্ঘন

হুঁশিয়ারি ঢাকার

সরকারের বারবার প্রতিবাদ সত্ত্বেও মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ও ড্রোন বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চলেছে। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে মিয়ানমারকে হুঁশিয়ার করেছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবাদপত্র শুক্রবার হস্তান্তর করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুুবিভাগ) মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের কাছে সরকারের মনোভাব তুলে ধরেন।

গত ১০, ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের হেলিকপ্টার ও ড্রোন বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। ২৫ আগস্টের পর থেকে (রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু) মিয়ানমার এ পর্যন্ত ২০ বার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বাংলাদেশ এর আগেও একই কারণে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু রাখাইনের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোয় আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও মিয়ানমার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রাণে বাঁচতে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনকারী এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য মিয়ানমার সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছে। কেননা এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

হেলিকপ্টার ও ড্রোন দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মিয়ানমার। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেয়া যায়। তবে মিয়ানমারের উসকানির মুখেও বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ সংযম পালনের নীতি নিয়েছে। কেননা সরকারের ধারণা পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নিলে মিয়ানমার অস্থিতিশীলতার সুযোগে রাখাইনের বাদবাকি রোহিঙ্গাদেরও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার সুযোগ পাবে। নতুন-পুরনো মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ববাসীর সামনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/252140