১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১:১৮

রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নিষেধাজ্ঞার ডাক

প্রস্তাব নিয়ে আজ আলোচনা

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য আহমেদ বশির মিয়ানমারের ওপর সমন্বিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ডাক দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি জরুরি প্রস্তাব আজ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা বন্ধে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনের কনজারভেটিভ এমপি বশির মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তিনটি আন্তর্জাতিক কৌশল অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। এগুলো হলো, জাতিসঙ্ঘের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে মিয়ানমারের ওপর ইতঃপূর্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে সব ধরনের ইউরোপ-মিয়ানমার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা স্থগিত করা, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে রাখাইন রাজ্য ও রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার আরোপিত সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ও বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধ তুলে নেয়া এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা, হত্যা ও জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া বন্ধে নোবেলজয়ী অং সান সু চিকে তার নেতৃত্বের ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানানো।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে ব্রিটিশ এমপি বশির সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রতিবেদন উত্থাপন করেছেন।
রাজনীতি থেকে বিরত থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিন : জাতিসঙ্ঘ
রাজনীতি থেকে বিরত থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিম উদ্বাস্তুদের সহায়তা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজেরিক গতকাল নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি মনে করি রাজনীতি নির্বিশেষে সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চলমান মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা উচিত। কেননা (বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া) মানুষগুলো দরিদ্র। ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে। তারা ক্ষুধার্ত ও অপুষ্টিতে ভুগছে। এই মানুষগুলো সহায়তা পাওয়ার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, যেসব খবর আমরা পাচ্ছি এবং যে চিত্রগুলো দেখছি, তা হৃদয়বিদারক। গত ২৫ আগস্ট থেকে তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা (মিয়ানমার থেকে) পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন আসা উদ্বাস্তুরা অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে অথবা বাংলাদেশের উদার মানুষদের সাথে ভাগাভাগি করে থাকছে। নতুন আসা উদ্বাস্তুদের জন্য শরণার্থী শিবির তৈরিতে জাতিসঙ্ঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এ দিকে রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে উদ্বাস্তুবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) একটি ফাইট বাংলাদেশে অবতরণ করেছে। দুই হাজার পরিবারের জন্য তাঁবু নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অপর একটি ফাইটও বাংলাদেশে এসেছে। এই দু’টি ফাইটে আসা ত্রাণসামগ্রী দিয়ে ২৫ হাজার উদ্বাস্তুকে সহায়তা দেয়া যাবে। আরো ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বেশ কয়েকটি ফাইট বাংলাদেশে যাবে, যা দিয়ে মোট এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে সহায়তা দেয়া সম্ভব হবে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/251630