১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১১:০২

বাংলাদেশ সীমানায় মাইন পুঁতছে বর্মি বাহিনী

বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে মাইন পুঁতে যাচ্ছে বর্মি বাহিনী। এই মাইন বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশী নাগরিকেরাও এখন সেসব এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছেন। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ওই মাইন অতিক্রম করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে সীমান্ত অতিক্রম করে এখনো রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। তবে বাংলাদেশে ঢুকে বর্মি বাহিনীর মাইন পুঁতে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের সিও লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম।
অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের মধ্যেও যারা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে পেরেছেন সেসব রোহিঙ্গা এখন আর জীবন নিয়ে শঙ্কিত নন। তারা যে বেঁচে আছেন এটাই তাদের সান্ত্বনা। চোখের সামনে তাদের বাবা-মা, ভাইকে হত্যা ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্তানকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছে। পালিয়ে এসে নিজেদের জীবন বাঁচাতে পারলেও পরিবার পরিজনের অনেককেই হারিয়ে তারা শোকাচ্ছন্ন। আর পরিবার বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এখনো যারা ওপারে আটকে আছেন তাদের জন্য দুশ্চিন্তায় কেবলই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।

গতকাল মঙ্গলবার বরশনখোলা ক্যাম্পে গেলে সেখানকার রোহিঙ্গারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, হয়তো এখন আর কেউ বেঁচে নেই। আর বেঁচে থাকলেও পাহাড় ও জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে থাকতে না খেয়ে হয়তো একদিন তারা এমনিতেই মারা যাবেন। এ দিকে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মংডুর রোহিঙ্গাদের অনেকে জীবন নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারলেও বুচিডংয়ের বেশির ভাগ রোহিঙ্গাই সেখানে আটকে পড়ে আছেন বলে জানা গেছে। সীমান্ত এলাকায় এখনো বর্মি বাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে মাইন পুঁতে যাচ্ছে : গত সোমবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা বরশনখোলা সীমান্তে বর্মি বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন মুক্তার নামে এক রোহিঙ্গা। ওই স্থানের পাশেই মাইন বিস্ফোরণে মারা গেছে তিনটি মহিষ। মহিষগুলোর মালিক বাংলাদেশী নাগরিক বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সীমানার প্রায় এক শ’ গজ ভেতরে এই মাইন বিস্ফোরিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নাইক্ষংছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা আলম বলেন, যখন মাইন বিস্ফোরণ হয় তখন তিনি ওই ক্যাম্পেই রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছিলেন। তিনি বরশনখোলা অস্থায়ী ক্যাম্পের উঁচু পাহাড়ে উঠে দেখেন এক লোক তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু ভয়ে কেউ যাচ্ছেন না। পরে তিনি জানতে পারেন ওই ব্যক্তির নাম মুক্তার এবং তিনি একসময় মারা যান। মুক্তার যে স্থানে মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন ওই স্থানটি বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে। বর্মি বাহিনী যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে তা থেকে অন্তত এক শ’ গজ বাংলাদেশের ভেতরে। স্থানটি বাংলাদেশের মধ্যেই পড়েছে।

ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা আবু তাহেরসহ অনেকেই বলেছেন, মাইনটি ফুটেছে বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে। এর খানিক দূরে বিকেলে মাইন বিস্ফোরণে তিনটি মহিষ মারা যায়। এ ঘটনাও ঘটেছে বাংলাদেশ সীমানায়। তবে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বরশনখোলা অস্থায়ী ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অসিত। গতকাল দুপুরে ওই ক্যাম্পে গিয়ে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলব না। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’ বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় বজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়নের সিও লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে। বাংলাদেশ সীমানায় বর্মি বাহিনীর মাইন পুঁতে রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের মধ্যে। মুক্তার নিহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্তার মিয়ানমারের মধ্যেই নিহত হয়েছে। বিষয়টি তিনি চেক করবেন বলে জানান।
মাইন বিস্ফোরণের ভয়ে এখন অনেকেই আসছেন না : স্থানীয় সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে এসেছিলেন মাইন বিস্ফোরণের ভয়ে তাদের অনেকেই এখন সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হচ্ছেন না। তারা ওপারের পাহাড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে লুকিয়ে আছেন। গতকাল সকাল থেকে অল্প কয়েকজন এপারে এসেছেন। তারা বলেছেন, এখনো কাঁটাতারের ওপারে জঙ্গলে অনেকে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে আছেন।

বুচিডংয়ের বেশির ভাগই আটকে আছেন : বরশনখোলা ক্যাম্পে গতকাল রোহিঙ্গাদের অনেকের সাথে কথা হয়। তাদের বেশির ভাগই পাশের মংডু থেকে এসেছেন। এই ক্যাম্পে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছয় হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে মংডুর পালিঙ্গাজিরির হাফেজ সৈয়দ হোসেন বলেন, মংডুর বেঁচে যাওয়া অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বুচিডংয়ের বেশির ভাগই আটকে পড়ে আছেন। তাদের অনেককে হত্যা করা হচ্ছে বলে তাদের কাছে খবর আছে। তিনি বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর বুচিডংয়ের ৭০টি পরিবারের সব সদস্যকে বর্মি বাহিনী ও মগরা হত্যা করেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। বুচিডং টংবাজার গোলঙ্গিহাড়ি বোগরি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর প্রতিটি পরিবারে সাত-আটজন করে সদস্য ছিল বলে তাদের কাছে খবর আছে। এপারে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর ট্রাক ভরে বাংলাদেশ সীমানায় আসার পথে গোলঙ্গি পাহাড় ্েলাকায় চার-পাঁচশ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়।

লাশ পুকুরে ফেলে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট : মংডুর হাইছ সুরতার শামসুল আলম জানান, ২৪ আগস্ট গুলি করতে করতে বর্মি বাহিনী তাদের পাড়ায় প্রবেশ করে। এ সময় তারা ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান। এরই মধ্যে তার ভাই আশরাফ আলম এবং চাচা মো: জামান গুলিতে নিহত হন। ওই পাড়ায় ওই সময় অনেকেই নিহত হন। নিহতদের সবাইকে একটি পুকুরের মধ্যে ফেলে বর্মি বাহিনী ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করে ফেলে। এবজো রহমান নামের অপর একজন বলেন, ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বর্মি বাহিনী। এ সময় মগরা বাড়ির মালামাল লুট করে। নারীদের তারা ধর্ষণ করে। তারা বলেন, হাইছ সুরতার তিন শ’ রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে প্রায় এক শ’ পরিবারের সদস্যকে বর্মি বাহিনী ও মগরা হত্যা করেছে।
বাকি যারা ছিল তারা সাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। শামসুল আলম এবং এবজো রহমান বলেন, তারা পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে টেকনাফ হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বরশনখোলা ক্যাম্পে এসে হাজির হন। বাকিদের কী অবস্থা হয়েছে, কোথায় আছেন সে সম্পর্কে তারা কিছুই বলতে পারেন না। আদৌ তারা বেঁচে আছেন কি না তারও কোনো খবর নেই তাদের কাছে।

কোনোমতে বেঁচে এসেছেন : মংডুর পালিঙ্গা জিরির হাফেজ সৈয়দ হোসেন বলেন, কোনোমতে পরিবারের ৯ সদস্যকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তার চোখের সামনে মুসলমানদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে মগ নারীরাও অংশ নিয়েছে। তাদের হাতেও সে দিন অস্ত্র দেখেছেন। ঘটনার দিন তিন দিক থেকে তারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ওপর থেকে বর্মি বাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি চালিয়েছে, আর নিচ থেকে গুলি করেছে মগ আর বর্মি বাহিনী মিলে। মংডুর তৈজ্যংপাড়ার শহিদুল আলম বলেন, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাদের পাড়ায় আড়াই শ’ ঘর ছিল। এর কোনো বাড়িই অবশিষ্ট নেই। জীবন বাঁচাতে তারা পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে আট দিন পরে তারা বাংলাদেশে আসতে পারেন। পোড়া মাইজ্যার আবু তাহের বলেন, সেনা ও মগদের হামলার সময় যে যেভাবে পেরেছেন জীবন বাঁচিয়েছেন। এর আগেও মগ ও বুর্মি বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ করেছে। কিন্তু এমন নৃশংসতা আর কোনো দিন দেখেননি।
তৈজ্যংপাড়ার হাফেজ আহম্মেদ বলেন, তারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মগ বা বর্মি বাহিনীর কেউ পাহাড়ে তাদেরকে খোঁজেনি। যে কারণে তাদের জীবন বেঁচেছে। তিনি বলেন, বর্মি বাহিনী গণহত্যার কোনো চিহ্ন রাখেনি। যেখানে যাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানেই পুঁতে ফেলা হয়েছে। বাড়িঘর পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। এরপর পোড়া ছাই তারা ট্রাকে ভরে অন্যত্র নিয়ে ফেলে দেয়, যাতে ধংসস্তূপের কোনো চিহ্নই না থাকে।

নুরুল ইসলাম নামে অপর এক রোহিঙ্গা বলেন, তার সাথে দুই বছরের শিশুও ছিল। হামলার পরপরই তারা পাশের পাহাড়ে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা দু’দিন কিছুই খাননি। ১৩ দিন হেঁটে তারা নাইক্ষ্যংছড়ি পৌঁছেন। তিনি বলেন, এখনো অনেকে পাহাড়ে জঙ্গলে লুকিয়ে আছেন। হরিনাপ্পির আব্দুর রশিদ বলেন, তার পাড়ায় দেড় শ’ ঘর ছিল। সব পুড়িয়ে দেয় বর্মি বাহিনী ও মগরা।
মংডুর আকাশে হেলিকপ্টারের টহল : রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই মংডু দিয়ে আসতে হয়। এই পথে যাতে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্য মংডুর আকাশে সার্বক্ষণিক হেলিকপ্টার মহড়া চলছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বলেন, কোনো রোহিঙ্গার এখন রাস্তা দিয়ে আসার কোনোই সুযোগ নেই। পাহাড় বেয়ে বেয়ে কেউ যদি আসতে পারেন তাহলে কেবল এ দেশে আসা সম্ভব হবে। তারা বলেন, ওপর দিয়ে টহল দিয়ে দেখে কেউ রাস্তায় আছে কি না। কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়, না হলে তাৎক্ষণিক তা জানিয়ে দেয়া হয় স্থলবাহিনীকে। তাদের চিহ্নিত করা স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গাদের।

মুসলমানদের জন্য চিকিৎসাসেবা নেই মিয়ানমারে : গতকাল বরশনখোলা ক্যাম্পে কথা হয় ডা: সৈয়দ আহমেদের সঙ্গে। মংডুর টংশ এলাকায় তার বাড়ি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের চিকিৎসার জন্য কোনো ডাক্তার নেই মিয়ানমারে। কোনো মগ ডাক্তার মুসলমানদের চিকিৎসাসেবা দিত না। এমনকি মৃত্যুশয্যায়ও কেউ কোনো দিন চিকিৎসা পাননি। সৈয়দ আহমেদ একজন গ্রাম্য ডাক্তার। সাধ্যমতো তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানের সেবা দিতেন। পরিবারপরিজন নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসে বরশনখোলা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, এখানে এসে এখন তারা শঙ্কামুক্ত। রোহিঙ্গা মুসলমান যারা এখানে এসেছেন তাদের জীবনটা এখন বাঁচবে।

সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই : গতকালও দেখা গেছে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি হাত বাড়িয়েছেন। তারা টাকা, খাবার, পানীয়, অস্থায়ী ঘর তৈরির জন্য পলিথিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম, ওষুধ ইত্যাদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে দিচ্ছেন। এমনকি দুর্গম পার্বত্য এলাকা চাকঢালার বরশনখোলা ক্যাম্পে মানুষ মাথায় করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কর্দমাক্ত পাহাড়ি দুর্গম পথ বেয়ে সাহায্যকারীরা যাচ্ছেন সেখানে। ক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে, ওই ক্যাম্পে বর্তমানে ছয় হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে একেকটি গ্রুপে একজনকে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে ৫০টি পরিবারের। ফলে ত্রাণ বণ্টনেও এখানে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
রাস্তায় এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা : গতকালও কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িসহ এই এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে অবস্থান করতে দেখা যায়। পাহাড়, জঙ্গল, রাস্তাঘাট সর্বত্র কেবল রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা।

মাইন বিস্ফোরণে আরো ২ জন নিহত : নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে গতকাল মঙ্গলবার আরো দুইজন মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। এর আগের দিন একই জায়গায় মাইন বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। নিহত দুইজন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে, কিন্তু নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/251329