১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১১:০৮

বনানী ওভারপাস-এয়ারপোর্ট

সৌন্দর্যবর্ধনের খরচ ৯০ কোটি টাকা

বনানী ওভারপাস থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সৌন্দর্যবর্ধন করতে ৯০ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার টাকা খরচ হবে। এর পুরোটাই বহন করবে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড সাইন’ নামে একটি কোম্পানি। মোটা অঙ্কের এ অর্থের বিপরীতে দশ বছরে কোম্পানিটি আয় করবে ৯৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ পরিমাণ বিনিয়োগ করে তাদের দশ বছরের লাভ হবে নয় কোটির কিছু বেশি টাকা। এভাবে খরচ সংক্রান্ত একটি প্রাক্কলন ও আর্থিক সুবিধাদি গ্রহণ সংক্রান্ত আলাদা প্রাক্কলন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে জমা দিয়েছে তারা। এরই ভিত্তিতে ভিনাইলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সার সংক্ষেপ সূত্রে জানা গেছে, এলইডি ডিসপ্লে বোর্ড, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, ওভারহ্যাড ব্রান্ডিং এবং ডিজিটাল বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব অর্থ আয় করা হবে। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জুলাইতে বনানী ওভারপাস থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিউটিফিকেশন (সৌন্দর্যবর্ধন) করতে বেসরকারি প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এ জন্য তিনটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। একই বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর বেসরকারি প্রস্তাব খোলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড সাইন’ তাদের প্রস্তাব দাখিল করে। অন্য কোনো কোম্পানি তাদের প্রস্তাব জমা দেয়নি। সাত সদস্যের মূল্যায়ন কমিটি ও তিন সদস্যের দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি একটি কোম্পানির প্রস্তাব খোলে। একই সঙ্গে তারা ভিনাইলের প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বনানী রেলওয়ে ওভারপাস থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চত্বর পর্যন্ত এয়ারপোর্ট মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশি- বিদেশি ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সাধারণ বিমান যাত্রীরা যাতায়াত করেন। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে দেশের মহাসড়কের এ অংশের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য্যের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে আরবরি কালচার নামে একটি ইউনিট হয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণে সৌন্দর্য্য বর্ধনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পাইলট প্রকল্প হিসেবে বেসরকারিভাবে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হাতে নেয়া হয়। যার ভিত্তিতে ভিনাইলকে নিয়োগ করা হয়েছে।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=82404