৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৪:০২

আবার বেড়েছে চালের দাম

কোরবানির ঈদের আগে যখন মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করে তখনই পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মোটা ও চিকন চালে মানভেদে এক-দুই টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে ঈদের আগে খুচরা বাজারে এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব না পড়লেও এখন পড়ছে।

তথ্য মতে, ২০-২৫ দিন আগে পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম (স্বর্ণা/গুটি) কেজিতে ৪০-৪১ টাকা থেকে কমে ৩৯ টাকায় নেমে আসে। ঈদের আগে আগে তা আবার বেড়ে ৪১ টাকায় পৌঁছায়। আটাশ চালের পাইকারি দাম ছিল ৪৬ টাকা কেজি। সেটি এখন বস্তায় (৫০ কেজি) কেউ ৫০, কেউ বা ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছে। অর্থাৎ কেজিতে দাম পড়ছে ৪৭-৪৮ টাকা। আটাশের মধ্যে ভালো মানের চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫১ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৯-৫০ টাকা। একইভাবে মানভেদে নাজিরশাইল পাইকারিতেই সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আবার ভালো মানের নাজির বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকায়।
মিনিকেট চালও পাইকারি বাজারে সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর ভালো মানেরটার দাম ৫৭ টাকা। প্রতি কেজিতে এক টাকা করে দাম বেড়েছে।

বাড্ডা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা আমিনুল হক খোকন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের আগেই দাম বেড়েছে। কিন্তু আমরা আজ থেকে (বৃহস্পতিবার) বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছি। ’ তিনি বলেন, দেশে এখন ধান-চালের সংকট রয়েছে। তাই দাম বাড়তি।
কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী সামনে চালের দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান।
তথ্য মতে, পাইকারি বাজারে যে দামে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হয় তার থেকে চার-ছয় টাকা বেশি দাম রাখে খুচরা বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৫৮-৬২ ও নাজির ৬৫-৬৮ টাকায়।

পূর্ব রাজাবাজারের মুদি দোকানি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা যে দামে চাল কিনি তার ওপরই লাভ রেখে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আমাদের তো কিছু করার থাকে না। ’
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে চালের দাম নিয়ে চাপে রয়েছে ক্রেতারা। এর ওপর চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। কেউ কেউ সবজির বিকল্প হিসেবে তরকারিতে পেঁয়াজের ব্যবহার করলেও এখন সে রাস্তাও অনেকটা বন্ধ। কারণ দেশি পেঁয়াজ কিনতে হলে ক্রেতাকে এখন ৫৫-৬০ টাকা গুনতে হয়। আলু আর পেঁপে ছাড়া কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না ৬০ টাকার নিচে। কেউ যদি শখ করে নতুন শিম দিয়ে তরকারি খেতে চায় তাহলে তাকে কেজিতে ১০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। বেগুন অনেক আগে থেকেই ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল, লতি, করলা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা বা এরও বেশি দামে।

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2017/09/08/540216