৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৫

কোরবানি কতটা আমরা করলাম

অন্য দৃষ্টি

জসিম উদ্দিন

ঈদের তিন দিনে ২০ জন খুন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার পাঁচজন। টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ঘটনার পর আমরা এ ঈদে ‘আরেকটু এগিয়ে গেলাম’। চালক ও এর সহকারীরা খালি যানবাহনের ভেতরে বারবার এমন পাশবিক কর্ম করার সুযোগ নেয়। তারা হয়তো ভাবে, চলন্ত যানবাহনে এমন কাজ করে ধর্ষিতাকে কোথাও ফেলে দিলেই চলবে; কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। তবে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালকেরাও এমন দুঃসাহস দেখাতে শুরু করল এবারের ঈদ মওসুমে। কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে এক কিশোরীকে।

এখনো বিশেষজ্ঞরা ধর্ষণের ঘটনা ‘গ্রহণযোগ্য’ নয় বলে মন্তব্য করে সামান্য অস্বস্তি প্রকাশ করছেন মাত্র। এমনটি ঘটতেই পারেÑ বিষয়টি এমন অসাধারণ কিছু নয়। ধর্ষণ কিছুটা বেড়েছে এই আর কি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে বাস্তবিক অর্থে পাঁচটি ধর্ষণ এমন কিছু নয়। মাত্র সোয়া তিন কোটিতে একজন মাত্র এই বর্বরতার শিকার হচ্ছে। এর দ্বারা পাশবিক উন্মাদনা ভোগ করছে একজন বা কয়েকজন, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়Ñ এমন মানসিকতা অমানবিক বটে। ক্ষমতার বিকৃতি থেকে জন্ম নেয়া নৈরাজ্য এর জন্য দায়ী। ক্ষমতার সীমাহীন অপব্যবহার এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। তার উদরে লালিতপালিত হচ্ছে একেকজন ধর্ষক নরপশু। বেপরোয়া ক্ষমতাচর্চা বন্ধ না হলে দিন দিন এসব অপরাধ আরো বাড়বেÑ এ কথাটি বলতে নারাজ ওইসব বিশেষজ্ঞ। সমস্যার মূল জায়গায় হাত না দিয়ে তারা সমস্যার সমাধান করতে চান। তাতে সমস্যাটি দিন দিন বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। জাতিকে অপেক্ষা করতে হবে আরো অসংখ্য পৈশাচিক লোমহর্ষক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জন্য। এটাই কি এ জাতির নিয়তি?

স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করছে, এই সন্দেহে কেটে টুকরো টুকরো করেছে বাল্যবন্ধুকে। সন্দেহ সঠিক কি না সেটি যাচাই করার চেষ্টা করা হয়নি। এমন অপরাধ হয়ে থাকলে এর বিচার পাওয়ার ইচ্ছাও তার মধ্যে ছিল না, নিজেই একটা বিহিত করতে চাইলো। ড্রামে ঢুকিয়ে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে বন্ধুর লাশ গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ঢালাই করে ওই ড্রাম পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। তবুও কাজ হয়নি; লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি এই ঈদের মওসুমে ঘটেছে তেমন বলা যাবে না। কারণ ইমনকে হত্যা করা হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে। তবে ঘটনার দুই পক্ষই ক্ষমতাবান। একজন যেমন পরকীয়ায় (অন্যায়ভাবে ভোগ করে) বেপরোয়া (আদৌ যদি করে থাকে) ক্ষমতাবান হওয়ার শক্তিতে। অন্যজন নিজের শক্তিতে হত্যা করেছে ‘অপরাধীকে’, মনে করেছে ক্ষমতার এই বল্গাহীন সময়ে সামাল দেয়া যাবে। কারণ যেখানে খুন ও হত্যার বিচার হয় না, সেখানে পরকীয়ার কি কোনো বিচার হবে? হত্যার শিকার ইমন চট্টগ্রাম নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি। আর সম্ভাব্য খুনি যুবলীগ নেতা অমিত মুহুরী। ঈদের ঠিক পরের দিন রাজধানীর আদাবরে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে, উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। উভয় গ্রুপই ক্ষমতাসীনদের লোক।

আনন্দযাত্রায়ও আঘাত হেনেছে মৃত্যু। ঈদের চার দিনে রাস্তায় প্রাণ গেছে ৩৯ জনের। সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে বিগত দশ বছর বিরাট সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে সাফল্যের জয়গান গাওয়া হচ্ছে। যোগাযোগমন্ত্রী প্রায় সময়ই রাস্তায় থাকছেন। সেখান থেকে মিডিয়ায় তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন সবিস্তারে। তা হচ্ছে, রাস্তাঘাট অনেক ভালো ও উন্নতমানের হয়েছে। প্রশ্ন হলোÑ এতটা উন্নত হওয়ার পরও সড়কে গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ জনের মৃত্যু হচ্ছে দুর্ঘটনায়।
ধর্মীয় উৎসব ঈদ পর্যন্ত চাঁদাবাজির একটা বড় উপলক্ষ। প্রথমে রাজনৈতিক বখাটেরা এর চর্চাকারী হলেও এটি এখন ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাবান অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে। রমজানের ঈদে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনাকাটা করে থাকে। সেজন্য ওই ঈদে বহু উৎস থেকে চাঁদাবাজদের পকেটে টাকা আসে। কোরবানির ঈদ মূলত পশু কেনাবেচাসর্বস্ব। তাই এ মওসুমে চাঁদাবাজদের লক্ষ্য থাকে এই পশুর দিকে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করতে গেলে সবাই পশুর ওপর চাঁদাবাজি করে।
চাঁদাবাজদের পরিচয় কোথাও স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক, কোথাও ক্ষমতাসীন দল ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, আবার কোথাও খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশে কোরবানির পশু নিয়ে উচ্চহারে চাঁদাবাজির ব্যাপারটি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীও জেনে গেছে। তারাও এখন এ উপলক্ষে তাদের সাধারণ রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘পাসিং মানি’ নামে পশুপ্রতি বড় অঙ্কের অর্থ তারা আদায় করছে। সাতক্ষীরা সীমান্তে ট্রাকপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে আদায় করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। অন্যান্য সীমান্তও তাদের চাঁদাবাজির বাইরে থাকার কথা নয়। ভারত থেকে আসা গরু এ দেশে ঢুকতে এপারের কর্মকর্তারাও সরকারি রাজস্বের সাথে বাড়তি একটি অর্থ আদায় করে নেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম বা দেশের বিভিন্ন অংশে এই পশু পৌঁছাতে সারা দেশে চাঁদাবাজরা স্পট বসায়। এক জেলার গরু অন্য জেলায় নেয়ার সময় নির্ধারিত হারে ‘চাঁদা’ দিতে হয়। এ জন্য রাজশাহী-চাঁপাই সীমান্ত থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ১৩টি স্পটে চাঁদা দিতে হয়েছে। আড়াই শ’ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত একেকটি স্পটে চাঁদা গুনতে হয়। ব্যাপারীরা জানান, দেশের ভেতর থেকে কিনে ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে গরুপ্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। দেশের বিভিন্ন পশুর হাট সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, মাঝারি আকারের গরু, যা ৪৫ হাজার টাকায় কেনা যেত, শুধু চাঁদাবাজির কারণে সেটি ৫০ হাজারের কম দামে বিক্রি করা যায়নি।
কোরবানি একধরনের উৎসবে পরিণত হলেও এর একটি পবিত্র উদ্দেশ্য রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে একজন বিশ্বাসীর অত্যন্ত উঁচুমানের নিবেদন এটি। সৃষ্টিকর্তা সূরা হজের ৩৭ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না; তোমাদের আল্লাহভীতিই পৌঁছে।’ কেন এ কথা বললেন, সেই প্রেক্ষাপট জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আ: আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দাদের একজন। কেন তিনি এতটা প্রিয় হতে পেরেছেন, কোরবানির ইতিহাস থেকে সেটি জানা যায়। বৃদ্ধ বয়সে ইব্রাহিম আ: স্বপ্ন দেখছিলেন, ‘পুত্রকে কোরবানি করছেন।’ তখন পুত্র ইসমাইল সদ্য কিশোর। তিনি পুত্রকে জানালেন, ঘুমালেই আমি স্বপ্ন দেখিÑ তোমাকে জবাই করছি। এ ব্যাপারে তোমার মতামত কী, আমাকে জানাও।’ পুত্র আল্লাহর নবী ইসমাইল আ: জানালেন, ‘আব্বা এটা তো আপনার ওপর নির্দেশ। আপনি আমাকে জবাই করুন। ইনশাআল্লাহ আমাকে অবিচল পাবেন।’

ইব্রাহিম আ: প্রাণপ্রিয় পুত্রকে উপুড় করে শোয়ালেন। তিনি এ কথা চিন্তা করেননি যে, বুড়ো বয়সে পুত্রের ওপর নির্ভর করে তাকে চলতে হবে। পুত্রের মায়াও তাকে কাবু করতে পারেনি। তিনি স্বপ্নের বিষয়টি শুধু আল্লাহর নির্দেশ কি না সেটি বুঝতে চেয়েছিলেন। ছুরি চালিয়ে দিলেন পুত্রের গলায়। আল্লাহ বলে উঠলেনÑ ‘ইব্রাহিম, তুমি তো স্বপ্নকে সত্যি করে দেখালে।’ কুরআনে আল্লাহ আরো বলছেন, ‘এর বিনিময় আমরা একটা বড় কোরবানি দিলাম। আর এ ঘটনাটিকে রেখে দিলাম পরবর্তীদের মধ্যে।’ আল্লাহর ভালোবাসা ও ভীতির প্রমাণ ইব্রাহিম আ: ছোটবেলা থেকে রেখে এসেছেন। নমরুদের অগ্নিকুণ্ডকে উপেক্ষা, সন্তানকে মক্কার মতো ধু ধু মরুভূমির মধ্যে রেখে যাওয়া, আল্লাহর ঘর পুনর্নির্মাণসহ এ ধরনের বেশ কিছু চরম আত্মত্যাগ তিনি প্রদর্শন করেছেন। তারই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত ছিল নিজের পুত্রসন্তান কোরবানি। সন্তানটি তিনি পেয়েছিলেন একেবারে বুড়ো বয়সে। আর সে জন্যই সৃষ্টিকর্তা তাকে একটি বড় কোরবানি পুরস্কার হিসেবে দান করলেন। আর মন্তব্য করলেন, ‘তুমি তো আল্লাহর রাহে স্বপ্নকেও সত্যে পরিণত করে দেখালে।’ কোরবানির নিয়মটি বাবা আদম আ:-এর সময় থেকে শুরু হলেও ইব্রাহিমের সময় থেকে পুনর্জীবন লাভ করে এই স্মরণজাগানিয়া ঘটনার মাধ্যমে।
সবচেয়ে উত্তম পশুটি এর জন্য বাছাই করে বিশ্বাসীরা। এটি সংগ্রহ করার পদ্ধতির মধ্যেও কোনো অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি থাকা প্রত্যাশিত নয়। দেশে কয়েক বছর ধরে কোরবানির পশুকে ঘিরে চাঁদাবাজির যে ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে তা কোরবানির মূল উদ্দেশ্যের সাথে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এবার কোরবানির জন্য এক কোটি ১৫ লাখ পশু দেশেই খামারিরা তৈরি করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ ছিল ষাঁড়। একটি গরুতে ছয়-সাত মণ গোশত হয়। গড়ে সাধারণত দু-তিন মণ গোশত পাওয়া যায়। এরপরই কোরবানির জন্য বাংলাদেশে ছাগলের চাহিদা। একটি ছাগলে কম-বেশি দশ কেজি গোশত হয়। মহিষ, ভেড়া এবং আরব থেকে আসা উটও কোরবানি হয়। কী পরিমাণ গোশত কোরবানির সময় পাওয়া যায় তার হিসাব কেউই হয়তো সেভাবে করেনি। তবে এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়। এর পরিমাণ বিপুল এবং এক ব্যক্তির বিপরীতে কম করে হলেও দশ কেজি হবে। জনসংখ্যার ১০ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীকে হিসাবের বাইরে রাখা হলো। সঠিকভাবে এ গোশত বণ্টন হলে প্রত্যেক মানুষ বেশ কয়েক দিন তৃপ্তিসহ গোশত খেতে পারে। অন্তত ইব্রাহিম আ: থেকে যে স্পিরিটে কোরবানিকে মুসলিমরা পেয়েছে, সেই স্পিরিটের কিছুটা হলেও ধারণ করা উচিত।
বাস্তবে কোরবানি একটা প্রদর্শনের উপলক্ষ হয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যমে আগেই খবর প্রকাশিত হয়েছে, সামনে নির্বাচন তাই এবার কোরবানির সংখ্যা হবে বেশি। কোরবানির পশুর আকৃতি, সংখ্যা ও এর দামই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের আয়-উপার্জন কতটা বেশি, এর মাধ্যমে তা প্রদর্শন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হচ্ছে। বড় গরুটা কোরবানি দিয়ে এর দাতা সেটাই বোঝাতে চান। কেউ এক গণ্ডা বা তারও বেশি কোরবানি দিয়ে থাকেন। বিশেষ উদ্দেশ্যে ডজন ডজন পশুও কোরবানি হয়ে থাকতে পারে। অনেকে আবার শখ করে কোরবানির পশু কিনে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পশুর আকার-আকৃতি বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হচ্ছে এর দাম। সাধারণত বড় গরু ও উট কেনার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে। প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে পশু কেনেন অনেক ধনকুবের। এর মাধ্যমে তারা তাদের জৌলুশ প্রকাশ করতে চান। আমাদের দেশে কোরবানির প্রকৃতি মোটামুটি এমনটিই দাঁড়িয়েছে। এর সাথে ইব্রাহিম আ: ও ইসমাইল আ:-এর সেই উৎসর্গ ও পবিত্র কোরবানির কতটা সম্পর্ক থাকতে পারে? খুব কম মানুষই কোরবানির মূল চেতনার সাথে পরিচিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা গোশত ভক্ষণের উৎসব হয়ে গেছে। বেশি করে গোশত পাওয়া যাবে, এমন পশু জবাই করা হয়। সেটিকে আবার দীর্ঘ দিন রেখে কিভাবে মজা করে খাওয়া যাবে তার নানা ফন্দিফিকির চলে। কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করার জন্য বাজারে ফ্রিজের বিক্রি বেড়ে যায়। আমাদের দেশে ফ্রিজ বিক্রেতারা সারা বছরের আয় এই মওসুমেই করে নেন।

কোরবানি থেকে পাওয়া চামড়া প্রধানত দানের খাতায় যায়। স্থানীয় মাদরাসাকে সামনে রেখে এ চামড়া সংগ্রহ করা হয়। মাদরাসার আড়ালে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ক্ষমতাসীনদের একটি সিন্ডিকেট এর দাম নির্ধারণ করে। জাতীয়ভাবে রয়েছে আরেকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট, তারা সস্তায় এই চামড়া কিনে নেয়। যারা কোরবানি দেন চামড়ার দাম নিয়ে তাদের তেমন একটা আগ্রহ থাকে না, কারণ এই দাম তারা আদৌ গ্রহণ করেন না। সে জন্য ক্রেতা সিন্ডিকেট ইচ্ছেমতো কম দাম বা নামমাত্র দামে মাদরাসাগুলো থেকে কিনে নেয়। কোরবানি উপলক্ষে সংগ্রহ করা সব চামড়া একাই যদি বাংলাদেশ প্রক্রিয়াজাত করে ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরি করত, তাহলে অনেক বেশি লাভবান হতো। প্রকৃতপক্ষে এর একটা বিশাল অংশ সীমান্তে পেরিয়ে ভারতে চলে যায়। তারাও কম দামের সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে।হ
jjshim146@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/249635