নাফ নদীতে রোহিঙ্গাদের লাশের মিছিল (বামে) মগ সেনাদের আগুনে জ্বলছে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর (ডানে)
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার, ৯:২৬

মৃত্যুঝুঁকিতে পাহাড়ে আটকা পড়া ৩০ হাজার রোহিঙ্গা

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের মুখে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম আটকা পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার, পানি, ওষুধ সংকটের কারণে তাদের প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

পুলিশ চেকপোস্টে বিদ্রোহীদের হামলা এবং সেখানকার সংঘর্ষে শতাধিক প্রাণহানির পর জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদারের ঘোষণা দেয় মিয়ানমার। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রত্যক্ষদর্শীর মতামত, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর স্যাটেলাইট ফুটেজ এবং স্থানীয় অ্যাকটিভিস্টদের তথ্য অনুযায়ী সেখান অভিযানের টার্গেট হচ্ছেন বেসামরিকরা। ইউএনএইচসিআর’র আঞ্চলিক মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান আল-জাজিরাকে দেওয়া সর্বশেষ আপডেটে বাংলাদেশে প্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা ৮৭ হাজার বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা অনেক গর্ভবতী নারী, সদ্যজাত শিশু ও বৃদ্ধদের বাংলাদেশ সীমান্তের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর দিকে ছুটতে দেখেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমরা তাদের অনেকের কাছ থেকে শুনেছি যে তারা না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন।

সিএনএন-এর খবরে মানবাধিকার কর্মীদের উদ্ধৃত করে আটকা পড়া ওই ৩০ হাজার রোহিঙ্গার ব্যাপারে বলা হয়েছে, পাহাড়ে আটকা এই রোহিঙ্গারা কোনো ধরনের খাবার, পানীয় এমনকি ওষুধ পাচ্ছেন না। তাদের প্রাণহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে এরা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারেননি। আবার পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামে ফেরার কোনও উপায় নাই। মংডু আর রাতারডাং শহর সংলগ্ন পাহাড়ে আটকে আছেন তারা। সিএনএন-কে সেখানকার একটি ভিডিও সরবরাহ করেছে অ্যাকটিভিস্টরা। ওই ভিডিওতে শত শত রোহিঙ্গাকে দেখা গেছে। লাঠি আর কাগজ ব্যবহার করে নিজেদের আবাস বানিয়েছেন তারা। মিয়ানমারের হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক এক মুহূর্ত দেরি না করে এই ভয়াবহ বিপন্ন অবস্থায় বাস করা মানুষগুলোকে উদ্ধারের তাগিদ দিয়েছে। রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান জোরদারের নামে রাখাইনে তা-ব শুরু করে সেনাবাহিনী। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে শূন্যে ছুঁড়ছেন সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হচ্ছে তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে মানুষকে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের অসহযোগিতা আর বাধার কারণে রাখাইনে ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করেছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ দেখছে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের অভিমত, মিয়ানমার আদতে রোহিঙ্গাদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পৃথক পৃথক প্রতিবেদনে উঠে আসছে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের করুণ আখ্যান’।
রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আসছে নবজীবনের ফিনিক্স
এবার রাখাইনের সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজ। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের উদ্ধারে নিয়োজিত দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন নামের সংস্থার পক্ষ থেকে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। গ্রিক পুরাণে বর্ণিত ফিনিক্স নামের এক ‘অগ্নিপাখি’র জীবনচক্র আবর্তিত হয় হাজার বছর ধরে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বরের প্রতিনিধি প্রাণ কাড়তে আসলেই ফিনিক্স নিজের বাসা নিজেই আগুন জ্বালিয়ে সেখান থেকেই আবার পুনর্জন্ম নিত। এবার যেন মৃত্যুপথযাত্রী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে সেই নবজীবন দিতে মিয়ানমার সীমান্তে আসছে তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে এতদিন সংস্থাটি অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে। দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন, ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করে আসছে, এবার তারা তাদের কাজের স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে। এতদিন তারা মূলত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসিদের বাঁচাতে কাজ করে এসেছে। মাল্টা থেকে সংস্থাটি তাদের উদ্ধারকারী জাহাজকে পাঠাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। উদ্দেশ্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাঁচানো। গত মাস থেকে আবারো মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠীর ওপর সেনা অভিযান শুরু করে। তার পরপরই গত দশদিনে জাতিসংঘের হিসেবে ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এমন পরিসংখ্যানই সংগঠনটিকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে এনেছে বলে জানানো হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজটির প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌঁছতে। আর সেখান গিয়ে তারা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে যতদূর সম্ভব মানবিক সহাযতা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে চায়। একইসাথে তাদের জন্যে অঞ্চলটিতে স্বচ্ছতা, সমর্থন ও জবাবদিহিতার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতেও ভূমিকা রাখতে চায়।
সু চির সমালোচনা এবং নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দুনিয়া
মিজ সু চি-কে তারা এমন একটি আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন, যেখানে খুব কম মানুষ স্থান পায়। কিন্তু অং সান সু চির সমালোচনা এবং নিন্দায় এখন সরব হয়েছে গোটাদুনিয়া। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে অং সান সু চি। তাঁকে অনেকেই বর্ণনা করতেন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। তিনি যখন দীর্ঘসময় গৃহবন্দী ছিলেন, তখন তাঁর মুক্তির জন্য অনেকেই সরব হয়েছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র কামী মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সম্মানীয় এবং পূজনীয় একজন ব্যক্তিত্ব। অনেকেই ভেবেছিলেন, সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে তাঁর দল ক্ষমতায় আসলে দেশের পরিস্থিতি আমূল বদলে যাবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রজাতী ও ধর্মীয় গোষ্ঠীতাদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবে। কিন্তু পরিস্থিতি এতোটাই উল্টোদিকে মোড় নেবে সেটা অনেকে ভাবতেই পারেন নি। পশ্চিমা দেশ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে অং সান সু চি ছিলেন একবিংশ শতাব্দীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। মিজ সু চি-কে তারা এমন একটি আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন, যেখানে খুব কম মানুষস্থানপায়। কিন্তু অং সান সু চির সমালোচনা এবং নিন্দায় এখন সরব হয়েছে গোটাদুনিয়া। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগের পর হাজার-হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘের হিসেবে গত আট মাসে প্রায় এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার রোহিঙ্গা নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে গত দশ দিনে এসেছে ৯০হাজার।বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন অং সান সুচি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে আছেন তিনি। তবে ঘরের চাপ এক ধরনের এবং বাইরের চাপ অন্য ধরনের। গত একমাস যাবত মিয়ানমারে অবস্থান করছেন ভারতের সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক। প্রায়ই তিনি মিয়ানমারে যাতায়াত করেন। সেখানকার রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহলে কথাবার্তা বলেছেন মি: ভৌমিক। তিনি বলছিলেন, এ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অং সান সু চি এবং তাঁর দল দুতরফ থেকে সমস্যায় পড়েছে। এদিকে পশ্চিমি দুনিয়া, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সবাই অং সান সূচিকে লক্ষ্য করে সমালোচনায় মুখর হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের ভেতরে রোহিঙ্গা বিরোধী তীব্র মনোভাব আছে বলে উল্লেখ করেন সুবীরভৌমিক। তারা মনে করে ‘ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে রাখাইনরা। তাদের একটা চাপ রয়েছে। কোনভাবেই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সাথে কথাবার্তা আলোচনা বা এমন কিছু করা যাবে না যাতে রোহিঙ্গাদের সুবিধা হয়। সেখানে স্বার্থ দেখতে হলে রাখাইনদের স্বার্থ দেখতে হবে, বলছিলেন সুবীর ভৌমিক। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগত ভাবে নির্মূল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাকিস্তানের নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজায়ী এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মিয়ানমার বিষয়ক দূত ইয়াংহি লি আহ্বান জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে অং সান সু চি যেন সরব হয়। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হবে বলে মনে হয় না। রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে মিজ সু চির সরব না হওয়ার কারণ কী? এটা কী তাঁর রাজনৈতিক দুর্বলতা নাকি রাজনৈতিক কৌশল?

পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন মুসলিমবিশ্বের নেতাদের ব্যর্থতা’/মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যা ও সহিংতার তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতাকে মুসলিমবিশ্বের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা বলে দাবি করেছেন। এক টুইট বার্তায় খাজা আসিফ বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন মানবাধিকারের বিরুদ্ধে চরম সীমালঙ্ঘন। তাদের এ অবস্থা বিশ্বের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে। পাকিস্তান তিন মিলিয়নেরও বেশি আফগান শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। হাজারো রোহিঙ্গা আজও পাকিস্তানের পাসপোর্ট ধারণ করে বিশ্বের নানা দেশে বাস করছে। পাকিস্তান কাশ্মীরসহ সারা বিশ্বে নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে রয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের আরও এক রাজনৈতিক নেতা সাইয়েদ খুরশিদ শাহ রোহিঙ্গা সমর্থনে বিশ্বের সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করেছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে এ নেতা বলেন, আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইস্যু বার্মার মুসলিমদের গণহত্যা। বিশ্বের সকল মুসলিম এক হয়ে গেলে বার্মার একজন মানুষও হত্যার শিকার হবে না। সৌদি আরবের সব ভেদাভেদ ভুলে এক হওয়া উচিত। সৌদি আরবের হাতে নেতৃত্বের ভার রয়েছে। তাদেরই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে।সূত্র : ডেইলি পাকিস্তান
রোহিঙ্গা ইস্যু সুচি ও সেনাপ্রধানকে বরখাস্তে ৬৮ হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন আন্তর্জাতিক আদালতে
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নিধনের অভিযোগে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী অং সান সুচি ও সেনাপ্রধান মিং অং হিলিঙ্গকে অপসারণের জন্য ৬৮ হাজার ব্যক্তি আন্তর্জাতিক আদালত বরাবর একটি আবেদন পাঠিয়েছেন। দরখাস্তে ৬৮ হাজার মানুষ সাক্ষর করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত ‘চিন অর্গ’ নামক সংস্থার সাইটে ৬৮ হাজার ৪৫৫ ব্যক্তি সাক্ষর করে। সংস্থাটির এক বার্তায় বলা হয়েছে, তাদের কাছে প্রচুর পরিমাণ ভিডিও আছে যেগুলোতে দেখা গেছে মিয়ানমার সরকার ও বিভিন্ন উগ্রবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশবিক নির্যাতনের করা হচ্ছে। সাইটে আরো বলা হয়, নারী ও শিশুদের গণধর্ষণসহ বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের গণহত্যা করা হচ্ছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যেব এরদোগান আজ বিশ্ব-নেতাদের সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের রিপোর্ট মোতাবেক, সেনা নির্যাতনের ভয়ে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র:আনাদোলুএজেন্সি

http://www.dailysangram.com/post/298554