৩১ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৮:১০

১০ দিনে ৬ গুম

আবারো আতঙ্ক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

নিখোঁজ মানুষের তালিকা আবারো দীর্ঘ হচ্ছে। গত ১০ দিনে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিয়োগ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে তোলে নেয় হয়েছে। তবে র্যা ব ও পুলিশ বরাবরের মতো তা অস্বীকার করেছে। রাজধানীর ৭২ গুলশান এভিনিউ ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়কে ২৭ আগস্ট ধরে নেয়া হয়। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। ২২ আগস্ট তুলে নেয়া বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী সাদাত আহমেদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৩ আগস্ট পল্টন থেকে ধরে নেওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বাসায় ফিরেছেন তবে ঘটনার কোন রহস্যই উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ফিরে আসার পর থেকে তিনি চুপচাপ। এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। গত মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী শিল্পী আহমেদ পল্টন থানায় আরেকটি জিডি করেছেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, কারও বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে এত দিন শামীম কোথায় ছিলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে এনে শামীমকে মতিঝিল এলাকায় রেখে যায় অপহরণকারীরা। এর বেশি পরিবার পুলিশকে কিছু বলেনি। এদিকে নিখোঁজ হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও মাধবপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহŸায়ক হোসাইন আহমেদ রফিক। সোমবার রাত ১০টা থেকেই এই ছাত্রদল নেতার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গোয়াছনগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জজ মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে পিতা জজ মিয়া থানায় ছেলে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

ঢাকায় মা-বাবার সাথে ঈদ করতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন কানাডায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ইশরাক আহম্মেদ (২০)। গত শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এ বিষয়ে তাঁর পরিবার ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ২৭ আগস্ট গুলশান থেকে তুলে নেয়া ব্যবসায়ী (সিআইপি) ও বাংলাদেশে বেলারুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ কুমার রায়ের এখনো কোন সন্ধান মিলেনি।
গত ১০ দিনে প্রায় একইভাবে তিনজন প্রথিতযশা ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাজনীতিবিদ ও শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁদের পরিবারের অভিযোগ গোয়েন্দা পরিচয়ে তাদের সাদা পোশাকে তুলে নেয়া হয়েছে। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা থেকে প্রকাশ্যে গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে তাঁদের অপহরণ করা হয়। দুটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে আছে, কিন্তু কোনো কিনারা করতে পারছে না তারা।

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেছেন, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে কমপক্ষে ৫২ জন গুম ও অপহরণের শিকার হয়েছেন। দুই ব্যবসায়ী ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে অপহরণ করা পর এ ধরনের একের পর এক অপহরণের ঘটনা নিন্দনীয় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

গতকাল বুধবার দুপুরে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, আমার দলের মহাসচিব আমিনুর রহমান তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আমরা বিষয়টি টের পেয়েছি। ইব্রাহীম আরও বলেন, আমিনুরের নিখোঁজের বিষয়ে তারা পরিবার মতিঝিল ও পল্টন থানায় একটি জিডি করতে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহীম বলেন, ‘কে বা কারা আমিনুরকে নিয়ে গেছেন, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য এটি হতে পারে। কারণ ২০ দলীয় জোটে আমরা বরাবরই গণতন্ত্রের ব্যাপারে উচ্চসরে কথা বলি।
তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে আমিনুর রহমান স্বচ্ছ। তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার দ্রæত সন্ধান দাবি করছি।’ এদিকে মহাসচিব আমিনুর রহমানের সন্ধানের দাবিতে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এসময় দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীমসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ অপহরণ হয়েছেন গুলশান থেকে। গুলশানে ইউনিয়ন ব্যাংকের কার্যালয় থেকে ৯০ মিটার দূরেই গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বর। গুলশান-১-এ সিগন্যাল পড়লেই এই রাস্তার গাড়ির সারি ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত চলে আসে। ব্যাংকের সামনে দাঁড়ানো নিরাপত্তাকর্মী ফকরুল বলেন, তিনি দেখেননি তবে শুনেছেন এখান থেকে এক সাহেবকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধকে ওই দিন ধরে নেয়ার পর থানায় দায়ের করা ডায়েরীতে বলা হয়েছে, বিকেল ৪টা ১৯ মিনিটে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে বের হওয়ার সময় গুলশান-১-এ দাঁড়িয়ে থাকা রুপালি রঙের একটি মাইক্রোবাসে থাকা তিনজন লোক তাকে তুলে নেন। অনিরুদ্ধর গাড়িচালক শাহ আলমসহ অন্যরা পুরো বিষয়টি দেখেছেন এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের সিসি টিভি ক্যামেরায় এই ফুটেজ ধরা পড়েছে।
অনিরুদ্ধর স্ত্রী শাশ্বতী রায় এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন, একটি ঋণের বিষয়ে কথা বলতে ওই সময় ব্যাংকে গিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ। কাউকে সন্দেহ করেন কি-না, জানতে চাইলে শাশ্বতী কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না। আমাদের ওপর দিয়ে যা যাচ্ছে...। আপনারা কাইন্ডলি আমার ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও কিছু করুন। আমি পুলিশ ভাইদেরও সে কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ধানমন্ডি থেকে নিখোঁজ হন কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইশরাক আহম্মেদ (২০)। এ বিষয়ে গত রোববার তাঁর বাবা তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী জামালউদ্দীন আহম্মেদ ধানমন্ডি থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ইশরাক বন্ধুদের নিয়ে স্টার কাবাব এলাকায় খেতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। পারিবারিক সূত্রগুলো জানায়, ঢাকার ম্যাপল লিফ স্কুল থেকে এ লেভেল পাস করে গত বছর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহরের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ইশরাক। চলতি বছরের জুন মাসে ছুটিতে বাড়ি আসেন। ঈদের পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর তাঁর কানাডায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্যবসায়ী জামালউদ্দীনের তিন ছেলের মধ্যে ইশরাক বড়।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেছেন, আমরা বিভিন্ন আঙ্গিকে চেষ্টা করছি ইশরাকের খোঁজ পেতে। ওর আত্মীয় -বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে হবিগঞ্জের ঘটনার সাধারণ ডায়েরি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত প্রায় ৮টার দিকে হোসাইন আহমেদ রফিক পাওনাদারের টাকা পরিশোধের জন্য বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। রাত ১০টার পর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের উত্তর সুরমার কাছে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলে পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার গোয়াছনগর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে হোসাইন আহমেদ রফিক ৬ মাস পূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হাজী জাহেদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মাসুদ খান ও সাংবাদিক অলিদ মিয়ার সাথে মিলে সুরমা চা বাগানের ২০নং সেকশনে ২ কোটি টাকার গাছের মহাল ক্রয় করেন। পরে মাসুদ খান ও অলিদ মিয়ার কাছ থেকে তিনি একাই পুরো ব্যবসা ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে কিনে নেন। মাসুদ খান ও অলিদ মিয়াকে জামানত হিসাবে একটি ৪০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন রফিক।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহম্মেদ জানান, রফিককে উদ্ধারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে। তিনি উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকৃত কারণ বলা যাবে না।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান এক বিবৃতিতে নিখোঁজ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ রফিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাবার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
পল্টনের খানা বাসমতি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়েছিল ব্যাংক কর্মকর্তা শামীমকে। রেস্তোরাঁর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই দৃশ্য। ২৩ আগস্ট দিন দুপুরে ঘটে যাওয়া এই অপহরণের ঘটনা মানুষকে অবাক ও আতঙ্কিত করেছে। কিন্তু এ নিয়ে বলার মতো কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে।
এভাবে বিনা অভিযোগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে কেউ গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি। এমনকি ধরে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারও কথা বলতে চায় না। সবাই চাপের মুখে আছেন।
২২ আগস্ট বিকেলে বিমানবন্দর সড়কের বনানী ফ্লাইওভারের নিচে সাদা পোশাকের কয়েকজন একটি ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে এর আরোহী বিএনপির নেতা ও এবিএন গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাদাত আহমেদকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন। ধরে নিয়ে যাওয়া সাদাত আহমেদ এবিএন গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ শাহাবুদ্দীন। সাদাত আহমেদ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি। তিনি রাউজান থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন।

২৩ আগস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা শামীম আহমেদকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বায়তুল মোকাররমের উল্টো দিকে বাসমতি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে। এই রেস্তোরাঁ থেকে কয়েকটি ভবন পরেই আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। ২৩ আগস্ট দুপুরে অফিস থেকে বেরিয়ে ওই রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে তাঁকে ধরে নিয়ে যান সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ লোকেরা।
হোটেলটির সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, একজন আকাশি ফুল শার্ট, আরেকজন আকাশি পোলো টিশার্ট পরে খাচ্ছেন। তাঁরা স্বাভাবিক গল্পগুজবও করছেন। অন্য সাতজন আরেক টেবিলে বসেন। রেস্তোরাঁর ভেতরের আরেকটি সিসি ক্যামেরায় ১টা ৪২ মিনিটে সামনের রাস্তা থেকে শামীমকে তুলে নেয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। কাঁচের ভেতরে ক্যামেরার কিছুটা অস্পষ্ট দৃশ্যে দেখা যায় কয়েকজন লোক মিলে একজনকে টানাটানি করে মাইক্রোবাসে তুলে দরজা লাগিয়ে দেন। আর কয়েকজন লোক দেখছেন। এর মধ্যে টুপি মাথায় দেয়া রেস্তোরাঁর নিরাপত্তাকর্মী খান বাহাদুরকেও দেখা যাচ্ছে।

খান বাহাদুর বলেন, স্যুট-টাই পরা একটা লোককে (শামীম) কিছু লোক টানাহ্যাঁচড়া করছিলেন। একপর্যায়ে সেই লোকটির একটি পা নালায় পড়ে যায়। এতে করে সেখানে লোকজন জমে যায়। কেউ এগোতে গেলে অপহরণকারীরা বলেন, ‘এ আমাদের আসামি।’ পরে ধরে লোকগুলো টেনে তাঁকে মাইক্রোবাসে তোলেন।

https://www.dailyinqilab.com/article/94124