৩১ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৭:২৯

২৫ দফা সময় নিয়েছে সরকার

শৃঙ্খলাবিধির গেজেট কবে

সব সংকট ঘুরপাক খাচ্ছে এখানেই * অধস্তন বিচারকদের নিয়োগ-বদলিতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাতিল চেয়েছিলেন অনেক বিচারপতি * মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি আজও

নথিপত্রে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়েছে। কিন্তু আজও সরকারের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়নি। অথচ এ পৃথকীকরণের মূল স্পিরিট ছিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের তদারকির ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের হাতে ন্যস্ত হবে। মাসদার হোসেন মামলার রায়েই এমন নির্দেশনাই ছিল। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, প্রায় দুই দশক ধরে বিষয়টি ঝুলে আছে। এখনও সুরাহা হয়নি। এ সময়ের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকসহ সুপ্রিমকোর্টের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বিভিন্ন সময় দেয়া রায়ে বলেছেন এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে থাকা উচিত নয়। কিন্তু বিচারপতিদের দেয়া একটিও রায়ও বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাও উপেক্ষিত হয়েছে।

সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে প্রধান বিচারপতি অধস্তন আদালতের বিচারকের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত ১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মত দিয়েছেন। এদিকে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচারকের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণসংক্রান্ত বিধিমালা না করায় গত এক বছর ধরে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন চলে আসছে। এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ নিয়ে সরকার ২৫ দফা সময় নিয়েছে।

অধস্তন আদালতের বিচারকের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের মতো দেশে সরকার আদালতের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে চায় না। এ কারণেই সরকার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে বারবার সময় নিচ্ছে। কারণ এ রুলস হলে সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে না। তিনি এ রুলসটা হওয়া দরকার বলে মনে করেন। কিন্তু সরকার পক্ষ যেভাবে সময়ক্ষেপণ চলছে তাতে কবে নাগাদ গেজেট প্রকাশ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী নই। মনে হচ্ছে সরকার বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করবেই।’

বিশিষ্ট আইনজীবীদের মতে, অধস্তন বিচারকদের তদারকির ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের কাছে ন্যস্ত করার বিষয় হঠাৎ করে আসেনি। ১৯৭২ সালের সংবিধানে এ ক্ষমতা উচ্চ আদালতের হাতেই ছিল। কিন্তু পরে রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত হয়েছে। সংবিধানের ১১৪ অনুচ্ছেদ থেকে ১১৬-ক অনুচ্ছেদ এ চারটিতে অধস্তন আদালত পরিচালনার পদ্ধতি বলা আছে। ১১৪ তে বলা হয়েছে, আইনের দ্বারা নিন্ম আদালত গঠিত হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে ১১৫ ও ১১৬ তে রাষ্ট্রপতির কোনো উল্লেখ ছিল না, যা ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থায় যুক্ত করা হয়। বাহাত্তরে বিচারক নিয়ন্ত্রণের পুরো দায়িত্ব সুপ্রিমকোর্টর ওপর ছিল। এরপর জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে এক ফরমান দিয়ে ১১৬ তে সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শের বিধান যুক্ত করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটান। বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অধস্তন বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শে রাষ্ট্রপতি করবেন। ১১৬(ক)তে বলা হয়েছে, ‘বিচারকরা বিচারকার্য পালনে স্বাধীন থাকবেন।’ এর বাইরে ১০৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নিন্ম আদালতের বিচারকদের তদারকি করবেন হাইকোর্ট।’

৩১ জুলাই দেয়া ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বিদ্যমান ১১৬ অনুচ্ছেদকে সংবিধানপরিপন্থী হিসেবে মত দেন। এটি রায়ের অংশ নয়। তার এই মতের বিষয়ে অন্য চারজন বিচারক অবশ্য বলেন, এ মামলায় এ বিষয়টি প্রাসঙ্গিক নয়।

উপেক্ষিত মাসদার হোসেন মামলার রায় : মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়। ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন সর্বোচ্চ আদালত। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়। সরকারের খসড়াটি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার অনুরূপ হওয়ায় তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী বলে গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিতে জানায় আপিল বিভাগ। এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিমকোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেই সঙ্গে তা চূড়ান্ত করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। এরপর দফায় দফায় সময় দেয়া হলেও সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। দুই সচিবের হাজিরার আগে ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি নোটিশে বলা হয়, নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতি ‘সিদ্ধান্ত’ দিয়েছেন। দুই সচিব আদালতের তলবে হাজির হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিধিমালা নিয়ে ‘রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে।’

সেদিন শুনানি করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মাধ্যমে সরকারকে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় নেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। তার ধারাবাহিকতায় তিনি ২৭ জুলাই সুপ্রিমকোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চাকরিবিধির খসড়া দিয়ে এলেও সর্বোচ্চ আদালত তা গ্রহণ করেননি। বিশিষ্ট আইনজীবী মনজিল মোরশেদ যুগান্তরকে বলেন, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায়ে নিন্ম আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে সময় নিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, এটা শুধু বর্তমান সরকার না, অন্যরাও সময় নিয়েছে। কর্তৃত্ব রক্ষার জন্য সরকারগুলো আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে। এজন্য সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। না হলে এর সমাধান হবে না বলে মনে করেন তিনি।

১১৬ অনুচ্ছেদ সাংঘর্ষিক : বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায়ে নিন্ম আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে সময় নিচ্ছে সরকার। সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, নিন্ম আদালতের বিচারকদের কর্মস্থল নির্ধারণ, পদন্নোতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ শৃঙ্খলা বিধানের বিষয়টি ‘সুপ্রিমকোর্ট’-এর পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতির’ ওপর ন্যস্ত করার বিষয়টি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি তার অভিমতে বলেন, চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই অনুচ্ছেদে সুপ্রিমকোর্ট শব্দটির পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রপতি’ প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হাইকোর্টের ওপর ন্যস্ত। ফলে ১১৬ ও ১০৯ অনুচ্ছেদ এক সঙ্গে মিলিয়ে ‘রাষ্ট্রপতি’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ২০০৭ সালের ৫ জুন শাহদীন মালিক বনাম সরকার মামলায় তার দেয়া রায়ে লিখেছেন ১১৪, ১১৫, ১১৬ ও ১১৬ (ক) অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের প্রতিষ্ঠা, নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা এবং বিচার বিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে যে স্বাধীন, তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিচারপতি খায়রুল হক ১৯৯৯ সালের মাসদার হোসেন মামলার রায়ের উল্লেখ করে ২০০৭ সালের ওই রায়ে বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ অধস্তন আদালতের বিধিবিধান কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিচার বিভাগের প্রতি ঔপনিবেশিক রীতিনীতি ও মনমানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে সংসদ ও সরকার।’ এছাড়া ২০১২ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসংক্রান্ত ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ে বিচারপতি খায়রুল হক মাসদার হোসেন মামলার রায়ের বরাতে লিখেছেন, ‘বিচারক নিয়োগের বিধি তৈরিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা ন্যস্ত আছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, রাষ্ট্রপতি কিংবা সংসদ কোনো অধীনস্ত আইন বা বিধি দিয়ে তারা নিন্ম আদালতের স্বাধীনতা খর্ব বা হ্রাস করতে পারবে, যা প্রত্যক্ষভাবে করা যায় না, তা পরোক্ষভাবেও করা যায় না।’ পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দেন আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতি। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন মো. তাফাজ্জল ইসলাম। তার নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি মো. ফজলুল করিম, বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বিচারপতি বিজন কুমার দাস, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এসকে সিনহা। আপিল বিভাগ তার রায়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি, সংবিধানের ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হবে না।’ ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংশোধনীর রায় প্রদানকারী ওই ছয় বিচারকের মধ্যে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ছাড়া পাঁচজনই অবসরে গেছেন। সেই পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই বর্তমান সরকারের আমলে প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মো. ফজলুল করিম, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সন্তোষ সাহার মামলায় ষোড়শ সংশোধনীর সাত বিচারকের ছয়জনই সর্বসম্মতভাবে বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করছি যে ভবিষ্যতে কোনো বিতর্ক এড়াতে মূল সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পুনরুজ্জীবিত করা সমীচীন হবে। যথাযথভাবে বিচার প্রশাসন পরিচালনার জন্য এটাই হবে স্বাস্থ্যকর।’ তারা প্রত্যেকে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ফিরে পাওয়ার কথাই বলেছিলেন, যেখানে রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা ছিল না। এই বিচারকরা হলেন- বিচারপতি এসকে সিনহা, বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্?হাব মিয়া, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকী।

২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বনাম আফতাব উদ্দীন মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মত দেন, বিচার বিভাগ পৃথককরণের নীতি অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতে হবে। এর অর্থ ১১৫ ও ১১৬ বাহাত্তরে ফিরিয়ে নেয়া। রায়ে বিচারপতি এমএ মতিন লিখেছেন, ১১৫ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে বিধি তৈরির যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, তার আওতায় সংসদ কখনও বিধি বা আইন করতে পারবে না। সে সময়ে সাত সদস্যের আপিল বিভাগে বিচারপতি খায়রুল হকও ছিলেন এবং তিনি ওই মত সমর্থন করেন।

http://www.jugantor.com/first-page/2017/08/30/152198