২৭ আগস্ট ২০১৭, রবিবার, ১০:৫২

সহিংসতা অব্যাহত, রোহিঙ্গারা আসছেই

নাফ নদী পেরিয়ে গতকাল ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তবর্তী গ্রাম তুলাতলীতে ঢোকে এই রোহিঙ্গা পরিবার। অটোরিকশায় করে তারা যাচ্ছে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে। তাদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বলিবাজারে l প্রথম আলোমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন এসেছে গুলিবিদ্ধ ও দগ্ধ অবস্থায়। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন রাখাইনের গুলিবিদ্ধ যুবক মোহাম্মদ মুসা।

অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় গতকাল ৭৩ জনকে আটক করেছে বিজিবি। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে ওপার থেকে গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের একজন সাংবাদিকের বরাত দিয়ে জানায়, পলায়নরত রোহিঙ্গাদের ওপর মর্টার শেল নিক্ষপ এবং মেশিনগান দিয়ে গুলি ছুড়ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে গত শুক্রবার রাতে মংডু শহরের কাছে মারা গেছেন আরও তিনজন গ্রামবাসী। চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ একজন এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবারের সংঘর্ষে ৮৯সহ তিন দিনের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা এখন ৯৩।
রাখাইনের পরিস্থিতিতে ঢাকায় মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) অং মিন্টকে গতকাল শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া মিয়ানমার নিজেদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের পরিচয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বাঙালি’ শব্দ ব্যবহার করায় তারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার হামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে।
গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু চট্টগ্রামের হাসপাতালে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়ার বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, মোহাম্মদ মুসা (২২) ও মো. মোক্তার মিয়া (২৭) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুসা মারা যান। হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোক্তার।

গতকাল দুপুরে মোক্তার প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাখাইন রাজ্যের ঢেকিবুনিয়া এলাকার মেহেদি গ্রামের রাস্তা দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। গুলির শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর সময় একটি গুলি তাঁর বাঁ কাঁধে লাগে। আর মুসার বুকের পাশে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। মুসা, গুলিবিদ্ধ আরেক যুবকসহ তাঁরা তিনজন রাতে একটি জঙ্গলে আশ্রয় নেন। পরে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের একটি রোহিঙ্গা শিবিরে ওঠেন। গতকাল সকালে তাঁদের দুজনকে চট্টগ্রামে মেডিকেলে আনা হয়। তৃতীয়জন শিবিরেই আছেন।
সিডিএকে তলব করে প্রতিবাদ
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাখাইনে সহিংসতার কারণে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে ঢাকায় মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) অং মিন্টকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়) মাহবুব উজ জামান রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার নিন্দা জানান। পাশাপাশি রাথিডং ও বুথিডংয়ে সেনা মোতায়েনের পর নিরপরাধ লোকজনের প্রাণহানিতে উদ্বেগ জানান তিনি।

গত বছরের ৯ অক্টোবরের সন্ত্রাসী হামলার পর একই ধরনের সেনা অভিযানে মিয়ানমারের প্রায় ৮৫ হাজার নাগরিকের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা অং মিন্টকে মনে করিয়ে দিয়ে মাহবুব উজ জামান তাঁকে জানান, রাখাইন রাজ্যের কয়েক হাজার নারী, শিশু ও বয়স্ক নাগরিক এখন সীমান্তের কাছে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের কয়েক লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশ আবারও একই ধরনের অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তায় রাষ্ট্রের দায়িত্বের কথা মিয়ানমারকে মনে করিয়ে দিয়ে ঝুঁকিতে থাকা বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সেখানকার বিপুলসংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া অনানুষ্ঠানিক পত্রে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমারের নাগরিকেরা বাংলাদেশে এসেছে। এখনো নথিভুক্ত নয় এমন ৪ লাখের মতো মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে আছে। তাই তাদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে যাতে মিয়ানমারের লোকজনের বাংলাদেশে আসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তা রোধ করতে বলা হয়েছে।
৭৩ জন আটক
টেকনাফ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৯টা থেকে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও বিজিবির সদস্যরা নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৩ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেন। পরে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সোলেমান কবির বলেন, নাফ নদীতে টহল জোরদার রাখা হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নাফ নদী অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করা ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে (৪ শিশু, ৮ নারী, ৫ পুরুষ) তাঁরা আটক করেন। পরে আবার তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

গতকাল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের একটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২১ জন রোহিঙ্গা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। মংডুর দংখালী গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা দুই নারী প্রথম আলোকে জানান, মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ঘরে আগুন দিয়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে শুক্রবার রাতের আঁধারে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করেন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং বাজারে কথা হয় রাখাইনের মংডু বলি বাজার এলাকার রমিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার ভোরে তাঁদের বাড়িতে সেনাবাহিনী হামলা চালালে তাঁর স্বামী নুর আহমেদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে সেনারা ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি নৌকায় নাফ নদী পার হয়ে তাঁরা ২৫ জন টেকনাফের হোয়াইক্যং তুলাতুলী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।

এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গতকাল দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রধান অতিথি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বান্দরবান থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম-তুমব্রু সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল ঘুনধুম সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের ভূখণ্ডে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বিকেলে শত শত রোহিঙ্গা নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছিল।

 

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত রাতে সংঘর্ষে মংডুতে অন্তত তিনজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর বেশ কিছু গ্রামবাসী প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় প্রশাসনের দপ্তরে আশ্রয় নিলে জঙ্গিরা সেখানে হামলা চালায়। মিন্ট কিয়াং নামের স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মংডুতে রীতিমতো জরুরি অবস্থা বিরাজ করছে। ২০১২ সালের জুনে জাতিগত সহিংসতার কেন্দ্রে থাকা মংডুতে গতকাল বৌদ্ধধর্মালম্বীদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। জঙ্গিরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার বেশ কিছু হিন্দু গ্রামবাসী প্রাণ বাঁচাতে পাশের গ্রামে চলে গেছে। শুক্রবারের হামলার লক্ষ্যস্থল রাথিডং হলেও এখন তা মংডুতে অন্য মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে।
পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই এমন হামলাকে কাকতালীয় বলা হলেও, রাখাইনে ১১ আগস্ট সেনা মোতায়েনের পর থেকেই আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে। গত রাতে ইয়াঙ্গুনের কূটনৈতিক সূত্রগুলোতে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায়, শুধু আনান কমিশন নয়, রাখাইনের সাম্প্রতিক সংঘর্ষ বিশ্লেষণ করতে গেলে এ মাসের শুরুতে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সিউর নেতৃত্বাধীন সরকারি কমিশনের প্রতিবেদনকেও বিবেচনায় নেওয়াটা জরুরি। ওই প্রতিবেদনে গত অক্টোবরে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করা হয়। আগস্টের ৬ তারিখ প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র পাঁচ দিন পর ১ হাজারের বেশি সৈন্যের সমাবেশ ঘটে রাখাইনে। ধারণা করা হয়, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সম্মতিতে মুসলিম জঙ্গি নিধনের নামে রাখাইনে বড় ধরনের অভিযান শুরু হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ১১ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই ধীরে ধীরে সেখানকার লোকজনের খাবারসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনী সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে চলতে থাকে বেছে বেছে হত্যা ও নির্যাতন। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার তল্লশিচৌকিতে সমন্বিত হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মির (এআরএসএ) জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জঙ্গিদের এবারের হামলাকে গত বছরের ৯ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে। গত অক্টোবরে একধরনের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। আর এবার অবরুদ্ধ পরিবেশে একের পর এক হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে জঙ্গিরা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সেনা অভিযান অব্যাহত থাকলে আগামী দিনগুলোতে রাখাইনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ গতকাল বিকেলেও অসমর্থিত সূত্রে সেখানে বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
হামলা ও অভিযানের কঠোর নিন্দা

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি সহিংসতার মূলে গিয়ে বিশেষ করে পরিচয় ও নাগরিকত্বের বিষয়টি সুরাহা করা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন। দুষ্কৃতকারীদের হামলা প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন মেনে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে নিশ্চিত করার বিষয়টি তিনি আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এবং আন্তর্জাতিক মন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট পৃথক বিবৃতিতে সংঘর্ষের কঠোর নিন্দা জানিয়ে সব পক্ষকে সংযত থাকতে এবং উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অ্যালিস্টার বার্ট আনান কমিশনের দেওয়া সুপারিশ মেনে সব নাগরিকের চলাফেরার স্বাধীনতার পাশাপাশি রাখাইনের সব জনগোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্টও এক বিবৃতিতে রাখাইনে হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1303996