২৬ আগস্ট ২০১৭, শনিবার, ৯:৪৬

চালের দামে এখনও অস্বস্তি

বন্যার কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ প্রায় সব পণ্য। তবে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে চালের দামে এখনও অস্বস্তি রয়েছে। এর মধ্যে নাজিরশাইল চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এছাড়া অন্য চালের দাম রয়েছে আগের মতোই। ব্যবসায়ীরা জানান, টানা বৃষ্টি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে চাহিদা মতো পণ্য সরবরাহ হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রাজধানীর কাওরান বাজার, হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চালপ্রতি কেজি ৪২-৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৫ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৩ টাকা, বিআর-২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নতমানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরাতন) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৭০০ থেকে ২৮৫০ টাকা, নাজিরশাইল ২৭৫০ থেকে ৩০০০ টাকা, আটাশ ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা চালের বস্তা ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল বিক্রেতা আতিক জানান, চালের যোগান ঠিক থাকলেও বন্যার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাবু বাজারের বসুন্ধরা রাইস এজেন্সির ম্যানেজার বাবুল মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন ধরে একই দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, মিনিকেট ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকা; স্বর্ণা, গুটি ও পাইজাম চাল ২০০০ থেকে ২০৫০ টাকা এবং নাজিরশাইল ২৭০০ থেকে ২৮৫০ টাকা, মিনিকেট ২৮০০ থেকে ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারগুলোতে ধরনভেদে মিনিকেট চাল ৫৪ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালেও আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধিতে আবার দাম কমছে। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দর প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। তবে গত মাসে পেঁয়াজের যে দর ছিল তার চেয়ে এখনও কেজিতে ২০ টাকা বেশি আছে। খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়। আর ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোরবানির আগে এই দর বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। তবে এখন দাম কমতে থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এছাড়া কেজি প্রতি দেশি রসুন ১১০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় রসুন ১৩০ টাকা, আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা দরে। গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বেগুন। বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা দরে। এছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হরে বেড়েছে। শিম ১৪০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১৬০ টাকা; দেশি টমেটো ১০০ টাকা; শশা ৬০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা; কচুরলতি ৬০-৬৫ টাকা; পটল ৬০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙা ৬০ টাকা; চিঁচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা; করলা ৬০ টাকা; কাকরোল ৫৫ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৬০ টাকা; আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=80522