২৩ আগস্ট ২০১৭, বুধবার, ১:১২

বিচারপতি খায়রুল হকের ‘দেবতাতুষ্ট তত্ত্ব’ ও কিছু কথা

সৈয়দ আবদাল আহমদ

‘যে দেবতা যে মন্ত্রে তুষ্ট থাকে তাকে সেই মন্ত্রই শোনাবা।’
গত ১৯ আগস্ট এই উক্তিটি শুনিয়েছেন ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি ১৯৬৯ সালে তাকে দেয়া তার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর এই উক্তির উদ্ধৃতি দিলেন।
অপরাধের বিষয়ে আমাদের দেশে একটি কথা বহুল চালু আছে যে, ‘অপরাধী অপরাধ করলে তার চিহ্ন রেখে যায়।’ বিচারপতি খায়রুল হকের এই উদ্ধৃতি যেন সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এবং বর্তমানে ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তার কর্মকাণ্ড এটাই প্রমাণ করছে, তিনি তার দেবতা বা মনিবকে তুষ্ট করার কাজটিই করে যাচ্ছেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার রায় যে বিচারপতিসুলভ ছিল না, ছিল কেবলই দেবতাকে তুষ্ট করা, তার বক্তব্যই প্রমাণ দিচ্ছে।
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় বের হওয়ার পর থেকে বিচারপতি খায়রুল হক ল’ কমিশনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে একের পর এক বক্তব্য দিচ্ছেন। অথচ তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না, এই অতি উৎসাহী বক্তব্যই হয়ে উঠছে তার বিতর্কিত অতীত কর্মকাণ্ডে একেকটি স্বীকারোক্তি।

সুপ্রিম কোর্টের ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিভক্ত রায় দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছে এবং একই সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। তখন সেই আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন খায়রুল হক। তার স্মরণ থাকার কথাÑ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে রায়, সেখানে তিনজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির লেখা রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন। তিনি একজন বাদে সব অ্যামিকাস কিউরির সুপারিশ উপেক্ষা করে এবং অপর তিনজন বিচারপতির ভিন্নমত এড়িয়ে গিয়ে কেবল কাস্টিং ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন।

দেশের জনগণের কাছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনা ভোটের নির্বাচন, গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানো, স্বেচ্ছাচারী শাসনকে প্রলম্বিত করাসহ বর্তমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সঙ্কটের জন্য মূল দায়ী হলেন বিচারপতি খায়রুল হক। তার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসংক্রান্ত রায় বর্তমান সরকারের ক্ষমতা দখলের নীলনকশা হিসেবে কাজ করেছে। তার রায়ের কারণেই নির্বাচনীব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
বিচারপতি খায়রুল হক আজ সুপ্রিম কোর্টের ষোড়শ সংশোধনীসংক্রান্ত রায় এবং প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করছেন। তিনি বলছেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের ফলে জনগণের নয়, বিচারকদের প্রজাতন্ত্রে আমরা বাস করছি।’ বলছেন, ‘মূল রায় ভ্রমাত্মক, পর্যবেক্ষণগুলো আরো বেশি ভ্রমাত্মক।’ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘বিরাগের বশবর্তী হয়ে রায় লিখলে শপথ ভঙ্গ হবে।’

আয়নায় তিনি যদি নিজের চেহারা একটিবারের জন্য দেখতেন, তাহলে কী দেখতেন? মুন সিনেমা হলের মামলার জের ধরে তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসরে যাওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে ২০১১ সালের ১০ মে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনীর বিতর্কিত রায় ঘোষণা করেন। তার প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত রায়ে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল, দশম ও একাদশ নির্বাচন বা পরবর্তী দু’টি সাধারণ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। অর্থাৎ দুই টার্মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতে পারবে। কিন্তু অবসরে যাওয়ার দীর্ঘ ১৬ মাস পর তিনি যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেন তাতে নিজের সংক্ষিপ্ত রায়ের এই বিষয়টি রাখেননি, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশটি বাদ দিয়ে দেন। এটা বড় ধরনের অনৈতিকতা। ওপেন কোর্টে দেয়া নিজের রায়কে অবসরে গিয়ে পরিবর্তন করার বিষয়ে অনেক খ্যাতিমান আইনজীবীই বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ‘জুডিশিয়াল ক্রাইম’ করা হয়েছে। ওই রায়ে তিনি আরো বলেছিলেন, মার্শাল ল’ অর্ডার দিয়ে সংবিধান সংশোধনী বেআইনি। অথচ তখন তিনি পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিজেই বহাল রেখেছেন। এখন তিনি আবার বলছেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল খারাপ।’ অবসরের পর ১৮ মাসের সময় তিনি কি শপথের আওতায় ছিলেন? না, ছিলেন না। এ কথা জেনেও তিনি তার উদ্দেশ্যমূলক রায়কে আইনসিদ্ধ করতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে রায়ে লেখেন যে, ‘একজন বিচারক সমগ্র জীবন, এমনকি অবসরে যাওয়ার পরেও শপথ দ্বারা বাধ্য।’ অথচ তিনি নিজের এই অবস্থানও লঙ্ঘন করেছেন অবসরে গিয়ে লাভজনক পদে আসীন হয়ে। ল’ কমিশনের এ পদে বসার ক্ষেত্রে তিনি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার প্রমাণ দিচ্ছেন।

বিচারপতি খায়রুল হক ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বলেছেন, ‘বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পরে কোনো সরকারি দায়িত্ব নেয়া উচিত নয়।’ অথচ তিনি নিজেই নিজের রায় ভঙ্গ করে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে সে পদে আছেন। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়ে কী করে তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন? তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার জন্য তিনি দেরিও করেননি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আগেই স্বউদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নৈতিকতাবিবর্জিত এমন কর্মকাণ্ড তা আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি আধা সাংবিধানিক পদে আছেন এবং এ পদ লাভজনক বলেই বিবেচিত। মোট কথা, তার বক্তব্য আইনি অবস্থান নয়, রাজনৈতিক অবস্থান হিসেবেই বিবেচ্য।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে (১২ আগস্ট ২০১৭, প্রথম আলো) স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হক সরকারি চাকুরে হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সরকারের কাছ থেকে তিনি বেতন পাচ্ছেন। আমার মতো তিনি যদি শুধু পেনশন পেতেন, তাহলে না হয় একটা কথা ছিল। তার পদ আধা বিচার বিভাগীয়। তিনি কেন সংবাদ সম্মেলন করবেন? এটা তার পক্ষে সমীচীন হয়নি।’ এর পরও তিনি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েই চলেছেন। সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মুখপাত্র ঘোষণা না করলেও তিনি নিজ থেকেই সরকারি মুখপাত্রের ভূমিকায় নেমেছেন বলা যায়। এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাচ্ছেন, সরকার যাতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নেতিবাচক অবস্থান নেয়ার সুযোগ পায়। ১৯ আগস্ট তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি, প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে মিস কন্ডাক্ট বা অসদাচরণের অভিযোগ আনারই ইঙ্গিত করছেন।
ত্রয়োদশ সংশোধনী রায়ের ২৫৩ অনুচ্ছেদে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক লিখেছেন, ‘যে সকল মোকদ্দমায় রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয় জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে একজন বিচারক শুধুমাত্র সংবিধান ও আইনের প্রতি একাগ্রদৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে বিতর্কিত বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। বিচারকগণ রাজনীতিবর্জিত বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। সাময়িক রাজনৈতিক উত্তেজনা বা আন্দোলন বিচারকগণকে আন্দোলিত করবে না। রাজনৈতিক কূটতর্ক বা আবেগে একজন বিচারক কখনোই মূল আইনগত ইস্যু হতে বিচ্যুত হবেন না।’

তার এই মন্তব্য তার দ্বিচারিতা এক জলজ্যান্ত উদাহরণ। এই রায়েই তিনি বর্তমান সরকারকে অন্যায্য সুবিধা দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়ের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। সবচেয়ে বিতর্কিত এই রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই রায়ের ফলেই ৫ জানুয়ারি বিনা ভোটের নির্বাচন হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এই নির্বাচনে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি ‘নির্বাচিত’ ঘোষণা করা হয় এবং বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনে ৫ শতাংশও ভোট পড়েনি। সংবিধানসম্মতভাবে সংসদই গঠিত হয়নি। তাই বলা চলে, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে।
ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ে খায়রুল হক বিচারকদের সততা, মর্যাদা ও স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন। অপর দিকে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং তার দেয়া রায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে পরিগণিত ও সমালোচিত হয়েছে।

বিচারকদের উচ্চ মানদণ্ড তিনি নিজেই অনুসরণ করেননি। তার বক্তব্য স্ববিরোধিতার দোষে দুষ্ট।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের ৮৭৯ অনুচ্ছেদে বিচারপতি খায়রুল হক গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান বাতিল করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিতর্কিত সংশোধনী গণতন্ত্র এবং প্রজাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সঙ্কুচিত করে ফেলেছে। সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো আমদানি করার পর থেকে সংবিধানে একটি প্রতিনিধিত্বহীন সরকার জনপ্রতিনিধিত্বকারী সরকারের স্থলবর্তী হয়েছে, যা সংবিধানের গণতন্ত্র এবং প্রজাতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য দু’টির সাথে সাংঘর্ষিক। ৮৮৭ অনুচ্ছেদে তিনি লিখেছেন, ‘তর্কিত আইন তিন মাসের জন্য রাজতন্ত্র না হইলেও গোষ্ঠীতন্ত্র স্থাপন করে। এই সংশোধনী আইনের কারণে জনগণ তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ও নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব তিন মাসের জন্য হলেও হারায়।’

এভাবে গণতন্ত্র রক্ষার নামে তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছেন। অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, যাতে গণতন্ত্র ও সংবিধান সচল থাকে। সেই রায়ে বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া লিখেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের সহায়ক, যা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়া যথার্থই বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অপরিহার্য। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র চর্চা তথা অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নিজেদের জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ সংসদ সদস্য বাছাইয়ের সুযোগ না পেলে এ কথা বলা উপহাসের শামিল হবে যে, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ের পর বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, রায়ে অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক আলোচনা রয়েছে। কিন্তু ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ে তিনি নিজেই অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন এবং শহীদ জিয়াউর রহমান সরকারের সমালোচনা করেছেন। তার পুরো রায়টিতে তিনি ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যন্ত আলোচনা করেছেন।

বিচারপতি খায়রুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উপদেষ্টারা রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জনগণের ভোটে সরাসরি নির্বাচিত নন; এটা কুযুক্তি। বাস্তবতা হলো রাষ্ট্রপতিকে যারা নির্বাচিত করেন, সেই সংসদ সদস্যরা তো জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। তার রায়ে প্রেসিডেন্টের জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। অথচ জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের অনেক মৌলিক কাঠামো, যেমন মৌলিক অধিকার সঙ্কুচিত হয়। একই যুক্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হলেও একে বহাল রাখা যেত।
সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন সঠিকভাবেই বলেছেন, ‘বিচারপতি খায়রুল হকের রায় ভ্রান্তিমূলক। এমন একটি ভুল রায় যত শিগগিরই সম্ভব বাতিল হওয়া দরকার। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিজেকে এমন কদর্যভাবে উপস্থাপিত করেছেন যে, তিনি জনগণের নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না এবং বিচারকদের প্রতি তার কোনো শ্রদ্ধা নেই।’
লেখক : সাংবাদিক

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/246265