২১ আগস্ট ২০১৭, সোমবার, ৯:১৪

এক বছরেও নিয়োগ পাননি পিএসসির সুপারিশকৃত ৮৯৮ প্রধান শিক্ষক

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ ও নিয়োগের সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দিতে পারছেন না ৮৯৮ জন। ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও পদ না থাকায় তারা ক্যাডার পদে নিয়োগ পাননি। পরে পিএসসি তাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। গত বছর ১০ আগস্ট ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৮৯৮ জনকে ওই পদে (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) নিয়োগের সুপারিশ করে। এরই মধ্যে এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে সুপারিশকৃত ৮৯৮ জন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কবে নিয়োগ পাবেন বা তাদের নিয়োগ কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, তা জানেন না তারা। নিয়োগের প্রহর গুনতে গিয়ে নতুন কোথাও চাকরির আবেদনও করছেন না তারা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
পিএসসির সুপারিশকৃত এসব ভুক্তভোগী নয়া দিগন্তকে জানান, ২০১৪ সালে ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন তারা। তবে পদ না থাকায় তারা বিসিএসে ক্যাডার পদে চাকরি পাননি। পদ না থাকায় যারা বিসিএসে সুযোগ পাননি, উত্তীর্ণ এমন প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর নন-ক্যাডার চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদে তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। তারা আরো জানান, সুপারিশকৃতদের সবারই মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। তার পরও কেন নিয়োগ পাচ্ছেন না তা কেউ বলতে পারছেন না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না তারা।
এ ব্যাপারে গতকাল মন্ত্রণালয় ও ডিপিইর একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের পুনঃযাচাই প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে নিয়োগ বিলম্ব ঘটছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেশ গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেলেই নিয়োগপত্র ইস্যু হবে।
এ দিকে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় শ্রেণী নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করলেও জাতীয় বেতন স্কেলে ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতনভাতা তারা পাবেন না। এর দুই ধাপ নিচে ১১ হাজার ২০০ টাকার স্কেলে বেতন দেয়া হবে তাদের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতনভাতা পেয়ে থাকেন। প্রাথমিক স্কুলগুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বেতন প্রধান শিক্ষকের সমান হলে মাঠ পর্যায়ে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা ১০ম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকার স্কেলে বেতনভাতা পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করে সরকার। ওই সময় ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম (প্রশিক্ষণবিহীন) গ্রেডে প্রধান শিক্ষকের বেতন নির্ধারণ করা হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/245713