১৮ আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার, ৭:৪২

ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় বারবার পড়তে হবে

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনেই ছিল ফেডারেল কোর্টের রায় হাইকোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক। আমাদের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে ওই বিধানটি লেখার সময় দুটো জিনিস বদলানো হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় লেখা, সেখানে আনা হয়েছে রায়টাই ‘ঘোষিত আইন’। আর সেখানে যতদূর সম্ভব বাস্তবায়ন করার একটা কথা ছিল, সেটা বিলোপ করা হয়েছে।

মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জাতি লক্ষ্য করলো, নিজেদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কেও তারাই প্রণয়ন করে আইন। অবশ্য তাদেরই তা করার কথা। তবে আমাদের সংবিধানের প্রদত্ত অধিকারগুলো ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারেনি-এমন কথা এখন অনেকেই বলছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করে পরদিন অস্থায়ী সংবিধান অর্ডিন্যান্স জারি করেন। সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য তিনি ২৩ বছর সংগ্রাম করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে তিনি সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন করেন এবং ওই দিনই তিনি গঠন করেন তাঁর মন্ত্রিসভা। তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরা হলেন-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, খোন্দকার মোশতাক আহমদ, আবদুস সামাদ আজাদ, কামারুজ্জামান, শেখ আবদুল আজিজ, ইউসুফ আলী, জহুর আহমদ চৌধুরী, ফণি মজুমদার ও ড. কামাল হোসেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটি ছিল সবচেয়ে সফল মন্ত্রিসভা।

বঙ্গবন্ধুর প্রথম মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন ১১ জন। সেটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে নাজুক সময়। তখন তাঁর দলে মন্ত্রী করার মতো নেতা ছিলেন অন্তত জনা পঞ্চাশ। ওই মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা। (সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো ২১ জুলাই ২০১৫)
নির্বাচনের সপ্তাহখানেক পর তিনি তাঁর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভা গঠন করেন। বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ছিল জমজমাট। বিদেশি কূটনীতিক, সাংবাদিকসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না জাসদ, ন্যাপ প্রভৃতি পরাজিত দলগুলোর নেতারা। সম্ভবত আমাদের জিনে সংসদীয় গণতন্ত্রের উপাদান অনুপস্থিত। যা হোক, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ আকার ছিল ১৯৯১-পরবর্তী প্রায় সব মন্ত্রিসভার তিন ভাগের এক ভাগ। তবে সেসময় মন্ত্রীদের কাউকে আক্রমণ করে কথা বলার প্রচলন ছিল না। নেতার উপর সবাই ভরসা রেখে তিনি কি বলেন তার জন্য অপেক্ষা করতেন। বর্তমানেতো কোনো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী প্রকাশ্য মন্তব্য করেন। কয়েক বছরের ইতিহাস আলোচনায় আসলে দেখা যাবে ক্ষমতাসীনদের আক্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে বিচার বিভাগ। আওয়ামী লীগ কখনোই বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন চায়নি, চায় না। কারণ, আমলা দিয়ে দেশ শাসন কিংবা গদি সামলানোর প্রয়োজন এতটাই তীব্র যে নীতি-আদর্শ বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীনদের কথিতমতে বাস্তবানুগ সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণের ১ বছর পূর্তি হয় ১৭ জানুয়ারি ২০১৬। এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিচারপতিদের অবসরের পর রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থী।’
সংবিধানের ৯৫ ও ১৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের দায়িত্ব গ্রহণের আগে সংবিধানসম্মতভাবে একটি শপথ নিতে হয়। এই শপথে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কাজ করার, আইন ও সংবিধানের রক্ষণের এবং অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে আচরণ করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা হয়। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য হচ্ছে অবসরের পর একজন বিচারপতি সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বলে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সময় গৃহীত শপথ বহাল থাকে না। এ কারণে অবসরের পর আদালতের নথি সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে সই করার অধিকার হারান বিচারপতিরা।
প্রধান বিচারপতির এটি একটি পর্যবেক্ষণ। এর সপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জোরালো ও সুস্পষ্ট পূর্বনজির রয়েছে। ১৯৬৪ সালে কাজী মেহারদিন বনাম মুরাদ বেগম মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ আর কর্নেলিয়াসের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারক হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের রায়ের বৈধতার বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। বিষয়টি সম্পর্কিত সব পূর্বসিদ্ধান্ত পরীক্ষা করে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেন যে অবসর-পরবর্তী সময়ে একজন বিচারপতির লিখিত ও স্বাক্ষরকৃত রায় কোনো রায় নয়।
অবসরের পর বিচারপতি রায় লিখতে পারবেন-এর সপক্ষেও অবশ্য পুরোনো কিছু বিচারিক বিশ্লেষণ রয়েছে। তবে তা সুপ্রিম কোর্টের নয়, হাইকার্ট বা নিম্ন আদালতের এবং ১৯৬৪ সালের সুপ্রিম কোর্টের পূর্বে উল্লেখিত রায়ের পর এর পরিপন্থী কোনো রায় একই আদালত থেকে কখনো দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য (তদন্ত ও প্রমাণ) আইন, ২০১৬-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২৫ এপ্রিল ২০১৬ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের দায়বদ্ধতা থেকে এ আইন করা হচ্ছে। এদিকে আইনের খসড়ার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া হলেও সর্বোচ্চ আদালত এ ব্যাপারে কোনো মতামত দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে মতামত দেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে সরকারকে জানানো হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ (৩)-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকার্ট বিভাগে দাখিলকৃত ৯৯৮৯/২০১৪ নং রিট মামলা ৫ মে রায় প্রদানের জন্য ধার্য আছে বিধায় বিচারাধীন বিষয় এবং খসড়া বিলের ওপর মতামত প্রদান বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপের শামিল।
সচিব বলেন, ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতেই ছিল। ১৯৭৫ সালের পর সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতি চালু করা হয়। পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের সেই বিধান রহিত করা হয়। একইসঙ্গে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের অপসারণ করার বিধান চালু করা হয়। শফিউল আলম জানান, একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করবেন, তাকে এফিডেভিটের মাধ্যমে পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার এ অভিযোগ প্রয়োজন মনে করলে এটা আমলে নেবেন। এরপর তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য ১০ সংসদ সদস্যকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেবেন। এ কমিটি সাতদিনের মধ্যে স্পিকারের কাছে তাদের লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে স্পিকার সব সংসদ সদস্যকে নিয়ে গোপন বৈঠক ডাকবেন। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য যদি মনে করেন এ অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তাহলে সংসদ একটি তিন সদস্যের কমিটি করে দেবে। এ কমিটির প্রধান হবেন একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, অন্য দুই সদস্য হবেন একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও একজন স্বনামধন্য আইনজ্ঞ। এ কমিটি তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে সংসদের কাছে। এর আগে কমিটির সদস্যরা অভিযোগ ওঠা সংশ্লিষ্ট বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবেন।

সচিব আরো বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এ কমিটি যদি মনে করে ওই বিচারপতিকে অভিযুক্ত করবে অথবা অব্যাহতি দেবে। এরপর এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংসদ ওই বিচারপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীর দুই বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়। (সূত্র : দৈনিক দিনকাল ২৬ এপ্রিল ২০১৬)
১৮ আগস্ট ২০১৬ সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের স্মরণসভায় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, আপনারা যখন কোনো আইন প্রণয়ন করবেন তখন দেখবেন সেটি যেন সঠিক ও নির্ভুল হয়। ত্রুটিপূর্ণ আইন করলে বিচার বিভাগের উপর চাপ পড়ে।
তিনি বলেন, প্রশাসনে যারা আছেন তারাও এখতিয়ার এবং পরিধির বাইরে হস্তক্ষেপ করবেন না। এতে বিচার বিভাগের ওপর মামলার চাপ বেড়ে যায়। দেশে দুই ধরনের বিচার ব্যবস্থা চলুক এটা আমরা চাই না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক হিসেবে আমার কাজ সময় মতো কোর্টে বসা ও মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি করা। নির্দিষ্ট সময়ে রায় প্রদান করা। বিচারক হিসেবে যেন সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকতে পারি সেদিকে আমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যখন মক্কেলরা মামলা নিয়ে আসেন তখন তাদের সঙ্গে আপনারা মাহমুদুল ইসলামের মতো ভালো ব্যবহার করুন। যদি মামলায় মেরিট না থাকে তাহলে তা ফিরিয়ে দিবেন। এতে বিচার বিভাগের উপর মামলার জটের সৃষ্টি হবে না। মামলা জট হ্রাস পাবে। আর যদি মামলার মেরিট থাকে তাহলে সঠিকভাবে তা আদালতে উপস্থাপন করুন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, বার কাউন্সিল ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। (সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ১৯ আগস্ট ২০১৬)

সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান লিখেছেন-‘...সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একযোগে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন যে ১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী ছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। জিয়াউর রহমানের সামরিক ফরমান নয়, বরং চতুর্থ সংশোধনীর দ্বারাই সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে সংসদের ক্ষমতা খর্ব করে বিচারক অপসারণের কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যস্ত করা হয়েছিল। আর সেই ব্যবস্থা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য হুমকি বিবেচনা করে এবং তার তুলনায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে ‘অধিকতর স্বচ্ছ’ পদ্ধতি বিবেচনায় আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনীর মামলার রিভিউতে তা মার্জনা করেছিলেন। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার যে পূর্ণাঙ্গ রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতিই এই পর্যবেক্ষণে একমত পোষণ করেন......।’ (সূত্র : সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ-চতুর্থ সংশোধনী ছিল সংবিধান পরিপন্থী, মিজানুর রহমান খান, দৈনিক প্রথম আলো ৩ আগস্ট ২০১৭)


সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস হয় ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫। আর আগে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গঠিত হয় দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ। ১৯৭৫ সালের ১৮ জানুয়ারি বসে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক। এই বৈঠকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংসদ সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন তাঁর ভবিষ্যত রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক নতুন পরিকল্পনার কথা। এই বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন- ‘শতাব্দীর জীর্ণ ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থা পাল্টে দিয়ে প্রশাসন যন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ ও গণতন্ত্রীকরণ এবং একটি মাত্র রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমের পতাকাতলে সমগ্র জাতিকে সমবেত করে সুসংসত ও সংঘবদ্ধ জাতীয় প্রয়াস ছাড়া সংকট থেকে পরিত্রাণের কোন পথ নেই। খণ্ডিত, বিক্ষিপ্ত এবং অসংলগ্ন পরস্পর বিরোধী কর্মতৎপরতা বন্ধের জন্য আজ যা প্রয়োজন তা হচ্ছে সকল দেশপ্রেমিক শক্তির নিবিড় একাত্মতা এবং ঐক্যবদ্ধ ও গঠনমূলক সর্বাধিক কর্ম-প্রয়াস। কেবলমাত্র একটি শক্তিশালী ও বৈপ্লবিক ব্যবস্থার অধীনেই তা সম্ভবপর।’

http://www.dailysangram.com/post/296591