১০ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:১২

জুলাই মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ

জুলাই মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস। এছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় অর্থবছরের প্রথম মাসে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে।

বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল।অন্যদিকে গেল জুলাই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ ছিল। অর্থাৎ ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হল, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ১০০ টাকায় যে পণ্য বা সেবা পাওয়া যেত, এ বছর জুলাইয়ে তা কিনতে ১০৫ টাকা ৫৭ পয়সা লেগেছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ এই তথ্য তুলে ধরেন। গত অর্থবছর বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের অর্থবছরের তুলনায় সামান্য কমে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ হলেও শেষ প্রান্তিকে এসে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক চড়তে শুরু করেছিল।
আগাম বন্যায় চালের দাম বৃদ্ধি এবং বাজেটকে সে সময় ওই প্রবণতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই মাসে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল।
আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি আগের বছরের জুলাইয়ের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে কমে এ বছরের জুলাইয়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো আগে প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করলেও গত মে মাসে এসে প্রান্তিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ শুরু করলে সমালোচনা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে এখন আবার প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।

http://www.dailysangram.com/post/295520-