যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ভবনের ছাদ বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে : নয়া দিগন্ত
১০ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:১০

বাঁশ দিয়ে ঠেকানো ভবন থেকে রোগী সরানোর অনুরোধ

যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরনো দোতলা ভবনটি আর ব্যবহার না করতে অনুরোধ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। দোতলা এই ভবনটির ছাদ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় তা বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই ভবনটি খালি করতে বলেছে গণ পূর্ত বিভাগ। গত মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপরে হাতে সেই চিঠি পৌঁছেছে। গণপূর্ত বিভাগের চিঠি পাওয়ার পর ওই ভবনের রোগী সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গণপূর্ত বিভাগ যশোরের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকি এড়াতে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপকে চিঠি দিয়েছি, যেন পুরনো ভবনটি খালি করা হয়। সেখানে অবস্থানরত রোগীদের অন্য ভবনে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকেও ব্যাপারটি জানিয়েছি। তারা আগামী শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে আসতে পারেন বলে জানান প্রকৌশলী তরিকুল। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: এ কে এম কামরুল ইসলাম বেণু গণপূর্ত অধিদফতরের চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা পুরনো ভবনটিতে নতুন করে আর কোনো রোগী রাখা হচ্ছে না। সেখানে থাকা সব রোগীকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ছাদের নিরাপত্তা জন্য বাঁশের খুঁটি দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ৭ আগস্ট যশোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফ্রান্সিস আশীষ ডি কস্তা স্বারিত চিঠি মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের কাছে পৌঁছায়। রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন অবিরাম ঝুঁকিপূর্ণ বারান্দা ব্যবহার করছেন যা যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তা ছাড়া ভবনটির করে অভ্যন্তরীণ বিম ও ছাদের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনটির ক ও বারান্দার বিভিন্ন স্থানে তিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অংশের স্থিরচিত্র গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট ডিজাইন বিশেষজ্ঞ বরাবর পাঠানো হয়েছে।
ভবনটির নিচতলা ১৯৪০ সালে এবং দ্বিতীয় তলা ১৯৭০ সালে নির্মিত। ইতঃপূর্বে ভবনটি কয়েক দফায় মেরামত ও সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছিল। এমতাবস্থায় গণপূর্ত অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট ডিজাইন বিশেষজ্ঞ কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শন ও পর্যবেণ প্রদত্ত কারিগরি পরামর্শ অথবা প্রতিবেদন মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ভবনটি জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো রূপ ব্যবহার না করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপকে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/242863