৪ আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার, ১১:১৪

পানিজট ও যানজটে নাস্তানাবুদ নগরবাসী

‘ঢাকা বিশ্বের অন্যতম বসবাসের অনুপযোগী নগরী’- বিভিন্ন সংস্থার এমন সমীক্ষা যে শতভাগ সত্যি তা সাম্প্রতিক সময়ে প্রমাণ হয়েছে। বৃষ্টি আর যানজটের কাছেই যেন পণবন্দী হয়ে পড়েছে নগরবাসী। রাজধানী ডুবিয়ে দিতে এখন আর দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টির দরকার হচ্ছে না। ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর রাজপথ, অলি-গলি । এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টায় যে বৃষ্টি হয়েছে সেটি আবার এক যুগের রেকর্ড। ফল স্বরূপ রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক এলাকাতেও উঠে যায় পানি।

বৃষ্টিপ্লাবিত রাজধানীতে এদিন তীব্র যানজট ছিল ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিতে বিশেষ করে মতিঝিল, গুলিস্তান, শান্তিনগর, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, সবিচালয়, গ্রিনরোড, মিরপুর, আগারগাঁও, কালশী, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে পানিজট। এই তালিকায় এবার যোগ হয়েছে ভিআইপি রোড। এই সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য কমই দেখেছে রাজধানীবাসী। কিন্তু গতকাল সড়কের বাংলামোটর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলাকার প্রধান সড়কেও উঠে যায় হাঁটু সমান পানি। চলতি বছরে দ্বিতীয় দিনের মতো সোনারগাঁও হোটেলের সামনের সড়কে পানি উঠে যায় আরও বেশি, সেখানে জল জমে যায় কোমড় সমান।
বেলা ১২টার পর থেকে ঝুম বৃষ্টি নামে রাজধানীতে। বৃষ্টি হয় বিকাল তিনটা পর্যন্ত। এই তিন ঘণ্টায় যত বৃষ্টি হয়েছে, সেটি গত ১১ বছরে কোনো দেখা যায়নি। এই তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ১২১ মিলিমিটার। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার ১২৩ মিলিমিটারে উন্নীত হয়। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এর আগে ২০০৪ সালের ৬ আগস্ট বৃষ্টি হয়েছিল ১৩৪ মিলিমিটার। গত তেরো বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে গতকাল রাজধানীবাসী আরেক দফা নাকানিচুবানী খেয়েছে।
প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে রাজধানীর নিষ্কাষণ ব্যবস্থা তা মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু প্রায় তিন গুণ বৃষ্টি হলে যা হওয়ার কথা তাই হয়েছে। পানি নিষ্কাষণের দায়িত্বে থাকা অন্যতম সংস্থা ঢাকা ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ের সামনেও জমে যায় পানি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ঠাট্টা, তামাশা।
বৃষ্টিতে পানি উঠে পড়েছে নগরীর একটি বড় অংশেই। আর এ কারনে বিকেল পাঁচটায় অফিস শেষে বাড়ির পথে নেমেই নগরবাসী পড়ে অথৈ সাগরে। কাওরানবাজারে অফিস শামসুল আলমের। তার বাসা বাসাবোতে। অফিস ছুটি হওয়ার দুই ঘণ্টা পরও তিনি বাসার উদ্দেশে রওয়ানাই হতে পারেননি। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক ভোগান্তি হয়েছে আমাদের। এখন ধরা যায় বৃষ্টি একটি আতঙ্কের নাম।
ভিআইপি রোডে পানি জমে থাকা অবস্থায় দুই পাশেই তৈরি যায় দীর্ঘ ও তীব্র যানজটের। আবার মোড়ে মোড়ে শত শত মানুষ অপেক্ষা করতে থাকে যানবাহনের। মতিঝিল, বঙ্গভবনের পেছনের এলাকা, পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোড, জয়নাগ রোড, মগবাজার, শান্তিনগর, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, রামপুরা ও মিরপুরসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে পানি করছে থৈ থৈ। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর অবধি।
পানিবদ্ধতার জন্য ‘নাম-ডাক’ কামানো শান্তিনগরে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের লাইফবোট। কয়েকটি নৌকা, টেনে টেনে নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা; কোনো খাল-বিল নয়, বাংলাদেশের রাজধানীর সড়কে দেখা মিলল এই চিত্রের। বৃষ্টিতে পানিবদ্ধ শান্তিনগরে দুর্ভোগে পড়া মানুষকে নৌকায় পার করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস; পানিবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোতে এভাবে সেবা দেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন বাহিনীর কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফলে সৃষ্ট দুর্ভোগ থেকে শিশু-নারী-বৃদ্ধ , স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীদের পরিত্রাণ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা লাইফবোট নামানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই বর্ষায় সব এলাকায় লাইফবোট সুবিধা দেওয়া সম্ভবপর না হলেও সবচেয়ে বেশি দুর্গত এলাকাগুলোতে ১০-১৫টি লাইফবোট এখন থেকে কাজ করবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকার ‘ড্রেনেজ সিস্টেমকে’ দায়ী করেন আলী আহমেদ।
বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, সচিবালয়, নটরডেম কলেজের সামনের রাস্তা ও মিরপুর এবং শান্তিনগরে বৃষ্টি পানি উপচে সৃষ্ট দুর্ভোগ কমাতে লাইফবোট ছাড়াও ফায়ার বিগ্রেডের বেশ কিছু স্টেশনের টিম (৫-১০ জন কর্মীর) কাজ করছে।
পানিজট আর যানজট আসে পাশাপাশি। এবারও হয়েছে তাই। সাতরাস্তা থেকে নাবিস্কো মোড় রাস্তার এক অংশ পানির নিচে তলিয়ে থাকা অবস্থায় যানজট দেখে অনেককে জুতা হাতে নিয়ে, হেঁটে যেতে দেখা যায়। অনেকে আবার রাস্তায় অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে চলাচল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, কার্জন হল থেকে আমাদের বাস দুইটার দিকে ছেড়ে আসে। শাহবাগ পাড় হতেই প্রায় ১ ঘণ্টা লেগে যায়। শাহবাগ-ফার্মগেটে রোডে তীব্র যানজট থাকায় আমাদের বাসটি সে পথে না গিয়ে কাকরাইল-সাত রাস্তা হয়ে মহাখালীর দিকে আসে। প্রতিটি পথেই তীব্র জটে পরতে আমাদের।
মিরপুর থেকে কারওয়ানবাজার যাবেন টিপু মিয়া। তিনি বলেন, ‘একঘন্টা ধইরা মিরপুরেই বইয়া আছি। কখন যে কামে যামু আর কখন যে বাইত যামু আল্লাপাক জানে। এই ঢাকা এহন আর ঐ ঢাকা নাই। ঢাকা বদলাইয়া গেসে। অহন থেইকা গাড়ি বাদ দিয়া নৌকা দিয়া যাইতে আইতে হইবো।’
এই পরিস্থিতিতে ডিআইডি রোড, মিরপুর ১০ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ চলায় সেখানে ভোগান্তি আরও চরমে। রাস্তা কেটে রাখায় দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। একজন সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মী জানান, মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকা থেকে মগবাজার তার অফিসে আসতে সময় লেগেছে সাড়ে চার ঘন্টার মতো।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ঢাকায় চলতি মৌসুমে স্বল্প সময়ে এত বৃষ্টি হয়নি। মওসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে জুলাই মাসে সারা দেশে ৬৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি স্বাভাবিকের চেয়ে ১৬৩ মিলিমিটার বেশি। ২৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও জুলাই মাসে গড়ে ২৯ দিন বৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে আরো জানানো হয়, আগস্ট মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে দুই-একটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপের পরিণত হতে পারে। আগস্টের বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কাফরুলসহ কয়েকটি থানায়ও পানি ঢুকে পড়ে। এতে থানার কার্যক্রম ব্যহত হয়। কয়েকটি থানার কম্পাউন্ডে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ এবং থানা পুলিশ। সরজমিন কাফরুল থানা গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানি প্রধান সড়ক উপচিয়ে থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে অতি বর্ষণে পানি ঢুকে যায় থানার ভেতর। থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার এস আই হান্নান জানান, নিচতলায় পানি এসে পড়ায় কর্মকর্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। এ সময় অনেকে গুরুত্বর্পূণ ফাইল টেবিলের ওপর রাখতে শুরু করেন। অনেকেই পানি সেচে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। একই অবস্থা মিরপুর, পল্লবী, গুলশান, মোহাম্মদপুর, শাহআলী ও যাত্রাবাড়ী থানার চিত্র। দীর্ঘ সময় পানি জমে থাকায় বিচার প্রার্থীদের অনেকেই থানায় আসতে পারেননি।
ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত গত এক বছর রাস্তার দুই পাশে স্যুয়ারেজ লাইনের কাজ করতে দেখা গেছে। বিশাল মোটা কংক্রিটের পাইপ বসানো হয়েছে। কোথাও বা ঢালাই দিয়ে ড্রেনের লাইন তৈরি করা হচ্ছে; কিন্তু রাস্তার দু’ধারে এই দুটি স্যুয়ারেজ লাইনই যেন এখন এ এলাকার অভিশাপ। পানি নিষ্কাশন করা তো দূরে থাক, বরং স্যুয়ারেজ লাইনের ভেতর জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা উগলে বের করে মিশিয়ে দিচ্ছে রাস্তায় জমে থাকা কোমর সমান পানির সঙ্গে।
পলওয়েল মার্কেট পার হলেই পল্টন থানা। রাস্তার পানি থানার ভেতরে সিঁড়ির গোড়ায় গিয়েও ঠেকেছে। ফকিরাপুল মোড় পার হয়ে আরামবাগের দিকেও রাস্তায় একই অবস্থা। এজিবি কলোনির পাশ দিয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের দিকে রাস্তায় যেন বিশাল বিশাল ঢেউ খেলা করছে। উন্মত্ত পদ্মা কিংবা মেঘনার রূপ ক্ষণিকের জন্য হলেও এ জায়গায় এসে নগরবাসী প্রত্যক্ষ করতে পারতো।
মতিঝিল আইডিয়াল হয়ে রাজারবাগের দিকে রাস্তায় দেখা গেলো বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরকে পানিতে সাঁতার কেটে খেলা করতে। ঝিল কিংবা নদীর দেখা হয়তো এদের ভাগ্যে জোটেনি। পুকুরে সাঁতার কাটার চিন্তাও হয়তো তারা কখনও করতে পারেনি; কিন্তু বর্ষার বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকা পানিই যখন নদীর মতো প্রবাহিত হয় রাস্তার ওপর দিয়ে, তখন এসব শিশু-কিশোরের দুরন্তপনা বেঁধে রাখার সাধ্য কার!
অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই রাজধানীসহ আশেপাশের কম আয়ের মানুষের বসবাসের এলাকাগুলোতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে একদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সময় মত কর্মস্থলে না যেতে পারার কারণে চাকরি হারাতে হচ্ছে। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেটের কুনিপাড়া, আশুলিয়ার জামগড়া নারায়নগঞ্জের ডিএনডি এলাকা, গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুরের রুপপুর এলাকার নারী শ্রমিক জলি ও তার স্বামী গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করেন। স্বামী-স্ত্রী, একমাত্র মেয়ে ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করেন। কোন মতে সংসার চলে। বৃষ্টিতে তাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। জমে থাকা বৃষ্টির পানি সহজে নামে না। বৃষ্টিতে গ্যাসের চুলা পর্যন্ত পানির নীচে পড়ে যায়। নিয়মিত কাজে যেতে পারে না, ফলে হাজিরা কাটা যাচ্ছে। শুধু তাই না ঘনঘন অফিসে অনুপস্থিত থাকার কারণে চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।
আবহাওয়ার আজ শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মওসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মওসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়াসহ হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

http://www.dailysangram.com/post/294647-