২ আগস্ট ২০১৭, বুধবার, ৯:৩০

মেয়রের ক্ষোভ, সম্ভাবনা ও অনুশোচনা

কারার মাহমুদুল হাসান

২৮ এপ্রিল ২০১৫ সালের খণ্ডিত ঢাকার উত্তর অংশের সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে নির্বাচনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট এবং গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে অবস্থানকারী বিভিন্ন ধরনের শিল্প-বাণিজ্যসহ হরেক রকমের পেশার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত (বিগত সব আমলে) আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের আচমকা নির্বাচন বর্জনের প্রেক্ষাপটে মেয়র পদটি নির্বিঘেœ করায়ত্ত করতে সক্ষম হন।
যা হোক, উত্তরের মেয়র ঢাকাসহ দেশের মানুষের নজর কাড়তে এবং পত্রপত্রিকায় এক রকম লিড নিউজে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ঢাকা মহানগর (উভয় অংশ) এবং পাশাপাশি দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বিষয়ে ঢাকার উভয় সিটি মেয়রের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে একরকম ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ দিনদিন বাড়ছে। এর বিপরীতে উত্তরের স্মার্ট মেয়র সংবাদ সম্মেলন ডেকে খোলামেলা উষ্মা প্রকাশ করে যা বলেন তা ছিল নি¤œরূপ ‘আপনার ঘরের ভেতরে গিয়ে আমি মশারি খাটাতে পারব না। আপনার ছাদের ওপরের চৌবাচ্চায় ওষুধ লাগাতে পারব না। আপনার ঘরের ভেতরে যে সামান্য স্বচ্ছ পানিতে মশা জন্মাচ্ছে, সেটি আমি মারতে পারব না’।
এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এই বক্তব্যকে করদাতা নাগরিকদের প্রতি জনপ্রতিনিধির তাচ্ছিল্য ও অবহেলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অনেকে একে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। পরে অবশ্য মেয়র সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দুইজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, চিকুনগুনিয়া মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া মহামারী হোক আর যা-ই হোক, এ জন্য কোনোভাবেই সিটি করপোরেশন দায়ী নয়। চিকুনগুনিয়ার প্রধান কারণ ঘরের ভেতরে জন্ম নেয়া মশা। সে পর্যন্ত পৌঁছানো সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়।’ সংবাদ সম্মেলনে মেয়রকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি বলেছেন, নির্মাণাধীন ভবনের চৌবাচ্চার পানিতে এডিস মশা জন্ম নিচ্ছে। তাহলে ওইগুলো মারছেন না কেন?’ জবাবে মেয়র বলেন, ‘মারছি তো’। মেয়র বলেন, ‘আপনার চৌবাচ্চায় আমি ওষুধ দিতে পারব না। আপনার ঘরের ভেতর সামান্য স্বচ্ছ পানিতে যে মশা জন্মাচ্ছে, সেটা আমি মারতে পারব না।’ চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নাগরিকদের সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এখানে প্রণিধানযোগ্য যে, চিকুনগুনিয়ার ব্যাপারে ঢাকার দুই মেয়রের (উত্তর ও দক্ষিণ) অবস্থান দুই রকম। দক্ষিণ ঢাকার মেয়র, রাজনীতিবিদপুত্র এবং মরহুম মেয়র হানিফের সন্তান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেনÑ ‘আমার আওতাধীন এলাকায় যেখানে প্রয়োজন সেখানে মশা নিধনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ নগরবাসী চাইলে ঘরে ঘরে গিয়ে মশক নিধনের ওষুধ দিয়ে আসা হবে।’ আর অন্যজন বলেছেন, মশারি টাঙানোর কথা, তাও হুমকির ভাষায়।
ঢাকা উত্তর মেয়র ৮-৯ মাস আগে তার আওতাধীন এলাকা থেকে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে পত্রপত্রিকায় খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ‘ফুটপাথ ছেড়ে দিন, নইলে বুলডোজার’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, রাজধানীর ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদে বুলডোজার চালানোর ঘোষণা দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘প্রথমে মানুষের চলাচলের জন্য হাঁটার ফুটপাথ ছেড়ে দেয়ার জন্য মিনতি জানাব। প্রথমবার, দ্বিতীয়বার ও তৃতীয়বার পায়ে ধরতে রাজি; কিন্তু চতুর্থবার আর কারো কথা শুনব না। সোজা বুলডোজার চালিয়ে দেয়া হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী মিলনাতনে এক সভায় বলেন, ‘ফুটপাথ থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা খুবই কঠিন কাজ।’ গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, মন্ত্রীকে বলেছিলাম, কারা ফুটপাথ দখল করেছে এখানে প্রকাশ্যে বলতে পারব না। মেয়র বলেন, ‘আগামী তিন বছর পর আমার দায়িত্ব ছাড়ার সময় ঢাকা একটি অন্যরকম শহর হবে।’
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে ফিটফাট পোশাক গায়ে দিয়ে, অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের কবল থেকে তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকার রাস্তাটি উদ্ধার করতে গিয়ে মেয়র আনিসুল হক প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ট্রাক ড্রাইভারদের অফিস ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পত্রিকার খবরে দেখা গেল মেয়র সাহেব সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তেজগাঁও এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডে কোনো মাস্তানি চলবে না। আমার ওপর হামলা হলেও আমি ভীত নই।’ তিনি বলেন, ‘ট্রাক মালিক, কাউন্সিলরসহ সবাই আমার সাথে আছেন। নির্দেশ মেনে অনেকেই ট্রাক সরিয়ে নিয়েছেন। যারা সরাননি, তাদের বিরুদ্ধেই এ অভিযান। আইন, আইনের মতো চলবে।’ এরপর ৮-১০ দিনের মাথায় অবৈধ দখলকারীদের কব্জা থেকে ওই রাস্তাটি ট্রাক পার্কিং মুক্ত ঘোষণা করে মেয়র আনিসুল হক বলেছিলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা দিয়ে সব কিছু করা যায়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার শক্তি দিয়েছেন। যানজটমুক্ত, সবুজ ও নিরাপদ ঢাকা গড়ে তুলতে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমরা আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড তৈরির জন্য জমি খুঁজছি।’ তেজগাঁওয়ের রাস্তাটিকে পার্কিংমুক্ত করে মেয়র বলেন, ‘রাস্তাটি হবে উৎসবের রাস্তা। রাস্তার চারপাশের দেয়ালগুলো সাজানো হবে, ছবি থাকবে। এখানে বৈশাখী মেলা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘টঙ্গী থেকে শুরু করে সোনারগাঁও পর্যন্ত আমরা এক হাজারটি শক্তিশালী ক্যামেরা বসাচ্ছি। এ ক্যামেরাগুলো অন্ধকারেও মানুষকে শনাক্ত করতে পারবে। সবাই এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা তোলা সম্ভব হয়েছে। মানুষ দিচ্ছে। কারণ তারা নিরাপত্তা চায়।’
এর আগে মেয়র আনিসুল হক বাড়ির ছাদে বাগান করার কার্যক্রম শুরু করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায়। অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। মেয়র ছাদে বাগানসৃজনের মাধ্যমে সবুজ ঢাকা বাস্তবায়নে দৃপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, যদিও ঢাকায় (উভয় দক্ষিণ উত্তর অংশ) বসবাসকারী শতকরা অন্যূন ৯০ জনের নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই। নির্বাচনের ঠিক আগে আনিসুল হক ঢাকা উত্তরের ভোটারদের কাছে প্রেরিত খোলা চিঠিতে বলেছিলেন, ‘এ চিঠি একটি বাড়ির গল্প। প্রতিদিন আমরা থাকি এ বাড়িতে। এক রুক্ষ ইট-কাঠ-পাথরের ভেতরে। কত কত অভিযোগ। সবুজ নেই, ¯িœগ্ধতা নেই, নেই ভালো টয়লেট, ড্রেন কিংবা হাঁটার মতো সহজ পথ। ভাবি, কত কী হতে পারত! হতে পারত কত ভালো কিছু। মশা নেই, ময়লা নেই, মাদক নেই, দূষণ নেই ও নেই কোনো ভয়। এমন ভালো বাড়িটি কি কখনো আমাদের হবে না?’ এ আক্ষেপের পাশাপাশি মুক্ত ‘আকাক্সক্ষা’ সামনে রেখে তিনি নির্বাচনীযুদ্ধে অংশ নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পারও হয়ে যান অবলীলাক্রমে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক তার করপোরেশনের আওতাধীন গুলশান, বারিধারা, বনানী ইত্যাদি এলাকায় (যেখানে ডিএনসিসির অনধিক ৭ শতাংশ নাগরিক বসবাস করেন) রাস্তায় ও গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে নিরাপত্তার জন্য, চার-পাঁচ হাজার ক্যামেরা বসিয়েছেন, কমবেশি শতকোটি টাকার রাস্তাঘাট, ফুটপাথ নির্মাণ, পুনর্নির্মাণকাজ চলছে, আলাদা নতুন বাসসার্ভিস চালু করা হয়েছে ওই নির্ধারিত এলাকায় যাত্রীদের যাতায়াত সুগম করার জন্য। নতুন প্যাটার্নে ও নতুন আয়োজনে, বিশেষ পোশাক পরিহিত রিকশাওয়ালাদের ডিএনসিসির ওই অংশে নিয়োজিত করার ব্যবস্থা বেশ আগেই করা হয়েছে, ফুটপাথগুলো বড় করা হয়েছে কিংবা করার কাজ চলছে। সবখানে আনন্দমুখর অবস্থা। ঢাকা উত্তরের মেয়রের চেষ্টায় স্থাপিত ইতঃপূর্বে (ফুটব্রিজসহ) বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন রাস্তার ফুটপাথ, গোলচত্বর, খেলাধুলার মাঠের আশপাশে বিভিন্ন স্থানগুলো প্রতিদিন দু-তিনবার করে (বিশেষত, গুলশানকেন্দ্রিক অভিজাত এলাকায়; যেখানে আরো কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড়সহ আধুনিক ও নিত্যনতুন আয়োজনে ক্ষমতাবান নাগরিকদের মনোরঞ্জনের কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তাভাবনায় বেশ সময় দিচ্ছেন) পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি সরবরাহ আসছে কোন কেন্দ্র থেকে, সেসব নিয়ে খোঁজখবর করার সময় বা সাহস হচ্ছে না।
উত্তরের মেয়র কয়েক বছর বা তারও আগে থেকেই ঢাকার উত্তর অংশের জন্য চার হাজার নতুন বাস ক্রয় করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ঘোষণার পর ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র সাহেবের চার হাজার বাস ক্রয়সংক্রান্ত প্রত্যয়ের পাশাপাশি এতগুলো বাস ক্রয়ে অর্থ জোগান, চলাচলের নিয়মবিধি, (অষ্টম শ্রেণী পাস) ড্রাইভার কিভাবে রিক্রুট করা হবে এবং কাদের তত্ত্বাবধানে এগুলো চালানো হবেÑ এসব জটিল প্রশ্নের সমাধান বের করতে করতে মেয়রের মেয়াদ কখন যে শেষ হয়ে যায়, সে দিকেও নজর দেয়া জরুরি বটে; কিন্তু সময় কই?
মাস তিনেক আগে ঢাকার এক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের (২৩/০৪/১৭) শিরোনাম ছিল ‘উত্তর সিটি উন্নয়নে কাটা পড়ছে শত শত গাছ’। খবরটিতে বলা হয় রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গাছ কেটে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উত্তর সিটি করপোরেশন। একটি প্রকল্পের আওতায় ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে।
নির্বাচনের পর মেয়র আনিসুল হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে সবুজায়ন করতে ‘গ্রিন ঢাকা, ক্লিন ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচির আওতায় তিনি সিটি করপোরেশন এলাকায় কয়েক লাখ গাছ লাগানোর কথা বলেছেন। একই সাথে নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ ছাড়া একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আগামী দুই বছরে তিন লাখ ২৫ হাজার গাছ লাগানোর কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।
এ দিকে গুলশান, বারিধারা, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাথ ও সড়ক উন্নয়নের নামে পরিচালিত কর্মকাণ্ডে বেশির ভাগ গাছ মারা পড়েছে। উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর সড়কের অবস্থা একই। এ সড়কে ড্রেন নির্মাণকাজ শুরু করেছে উত্তর সিটি। এতে সড়কের পাশে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে। ভেতরের কয়েকটি সড়কের অবস্থা একই। গত বছর গুলশান, বনানী, বারিধারার আধুনিকায়নে ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। এর আওতায় ওই এলাকায় সব রাস্তা, সড়ক বিভাজক, ড্রেন, পাইপ ড্রেন ও ফুটপাথের আধুনিকায়ন শুরু হয়। সংস্কারের সময় কাটা পড়েছে গাছের শিকড়। গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় অনেক গাছ মারা গেছে। আবার কিছু গাছের ‘প্রাণ যায় যায়’ অবস্থা। মারা যাওয়া কিছু গাছ কেটে ফেলেছে সংস্থাটি।
গত ০৯/০৫/২০১৬ তারিখে ১৬টি ইউনিয়নকে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা উত্তরে আটটি ও দক্ষিণে আাটটি করে ইউনিয়ন। উত্তরে সিটি করপোরেশনে বেরাইদ, বাড্ডা, ভাটারা, সাঁতারকুল, হরিরামপুর, উত্তর খান, দক্ষিণখান ও ভুমনি ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ সিটিতে পড়েছে অন্য আটটি ইউনিয়ন। এতে করে ঢাকা উত্তর সিটির আয়তন ৮২.৬৩৮ বর্গকিমি থেকে ১৬০.৭৬৮ বর্গকিমি ও দক্ষিণ সিটির আয়তন ৪৫ বর্গকিমি থেকে বেড়ে এখন ১০৯.১৯ বর্গকিমিতে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র তার আওতাধীন ডিএনসিসিতে সংযুক্ত আটটি ইউনিয়নকে (বিদ্যমান সিটির বিভিন্ন আধুনিক উন্নয়নে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করার পাশাপাশি) আধুনিক সিটিতে রূপান্তরে সরকারের কাছ থেকে প্রাথমিক কাজ শুরু করতে অন্তত ৫০ কোটি টাকা আহরণে মনোযোগ দেয়ার সময় কষ্ট করে হলেও বের করতে পারেন অবলীলাক্রমে।
লেখক : সাবেক সচিব, প্রেসিডেন্ট, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট
অব লজিস্টিক অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল
ই-মেইল : karar.hassan@gmail.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/240741