৩০ জুলাই ২০১৭, রবিবার, ৮:৫৬

টখোলা রোড ও টয়েনবি সার্কুলার রোডে নালা নির্মাণ

সড়কে নির্মাণসামগ্রী, মাটির স্তূপ

নালা নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে সড়কের ওপর। হাটখোলা রোড থেকে এই ছবি গত শুক্রবার তোলা l প্রথম আলো

হাটখোলা রোড ও টয়েনবি সার্কুলার রোডের পাশে ফুটপাত ও নালা নির্মাণে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে। নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ইট, পাথর, বালু ও মাটি রাখা হয়েছে সড়কে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
পথচারীদের অভিযোগ, খোঁড়াখুঁড়ির কারণে মাসখানেক ধরে সড়ক দুটি বেহাল। রোদে ধুলাবালু ওড়ে, আর বেশি বৃষ্টি হলে সড়কে কাদাপানি তৈরি হয়। এতে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-৫-এর আওতাধীন।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়ক দুটিতে মাটি আরও বেশি ছিল। কয়েক দিন আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাওয়াল কনস্ট্রাকশনকে বলে ওই মাটি অপসারণ করেছি। এখন তাদের আবার বলা হবে। নির্মাণকাজও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।’
গত শুক্রবার দেখা যায়, টিকাটুলি থেকে থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত হাটখোলা রোডের দুপাশে নালা নির্মাণ করছেন শ্রমিকেরা। এ জন্য মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এসব মাটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে সড়কের দুপাশে। নালা নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, পাথর, বালুও রাখা হয়েছে সড়কের ওপর। এতে সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। পথচারীরা ফুটপাত দিয়েও চলতে পারছে না। আশপাশের দোকানপাট ও বাসাবাড়িতেও ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা। নাক-মুখ চেপে চলাচল করছে পথচারীরা। আশপাশের দোকানপাটে মালামালের ওপর ধুলাবালুর আস্তর পড়েছে। এ ছাড়া ইত্তেফাক মোড় থেকে টয়েনবি সার্কুলার রোডের শহীদ মতিউর পার্কের (গুলিস্তান পার্ক) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ পর্যন্ত একই চিত্র দেখা গেছে।
হাটখোলা রোডের বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে এই দুটি সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। কিন্তু সড়কে নির্মাণসামগ্রী ও মাটি রাখায় নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া গত বুধবারের টানা বৃষ্টিতে এই সড়কে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন সড়কের মাটি ও বালু নালা এবং সড়কে ছড়িয়ে পড়ে।
টিকাটুলির বাসিন্দা আকিদুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই নানা কারণে সারা বছর এই এই দুটি সড়কে ধুলাবালু ওড়ে। আশপাশের বাড়ির ওপর ধুলার স্তর পড়ে গেছে। এখন নালা নির্মাণের কারণে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়েছে। সড়কের পাশের বাসাবাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়। তিনি বলেন, হাটখোলা রোডের দুপাশে মাটি রাখায় সড়কের প্রশস্ততা কমে গেছে। এতে কর্মদিবসে এই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
একজন নির্মাণশ্রমিক বলেন, দু-এক দিন পরপরই সড়কের ওপর রাখা মাটি অপসারণ করা হয়।
চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1270656/