১ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:৩০

সিদ্দিকুরের চোখের আলো অস্ত্রোপচারেও ফিরবে না

ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের অস্ত্রোপচারের পরও চোখের আলো ফিরবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। গতকাল সোমবার চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে সিদ্দিকুর রহমানের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসক লিঙ্গম গোপাল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক লিঙ্গম গোপাল জানান, অস্ত্রোপচার করেও কিছু হবে না।
ঢাকায় অস্ত্রোপচারের পর সিদ্দিকুর রহমান তার ডান চোখে কোনো আলো দেখছিলেন না। বাঁ চোখে এক দিক থেকে আলো ফেললে আলোর উপস্থিতি টের পাচ্ছিলেন। বাঁ চোখের অবস্থা কি তা জানতেই সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানালেন, অস্ত্রোপচারেও কিছু হবে না।
সিদ্দিকুর রহমানের বন্ধু, সহপাঠী শেখ ফরিদ বলেন, গতকাল সোমবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত সিদ্দিকুর রহমান ও সঙ্গে থাকা বড় ভাই নায়েব আলীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করেও কিছু হবে না ,চিকিৎসক এ কথা জানানোর পর দীর্ঘক্ষণ কক্ষে বসে কান্নাকাটি করেছেন সিদ্দিকুর রহমান। তারা ভেঙে পড়েছেন। সিদ্দিকুর রহমান সবার দোয়া চেয়েছেন বলে জানান শেখ ফরিদ।
সিদ্দিকুরের সঙ্গে আছেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল আহসান। তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘রিপোর্ট আর চিকিৎসকের মতামত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সিদ্দিকুরের দুই চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এর পরেই ওই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মো. মুনির বলেছিলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর সিদ্দিকুর রহমান তার ডান চোখে কোনো আলো দেখছেন না। বাঁ চোখে এক দিক থেকে আলো ফেললে আলোর উপস্থিতি টের পাচ্ছেন।’ বাঁ চোখের অবস্থা কি তা জানতেই সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানালেন, অস্ত্রোপচারেও কিছু হবে না।
সময়সূচিসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলনে গিয়ে ‘পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলের’ আঘাতে সিদ্দিকুরের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার দিনই সিদ্দিকুরকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গত বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়। সিদ্দিকুরে সঙ্গে যান বড় ভাই নায়েব আলী এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল আহসান।

 

http://www.dailysangram.com/post/294184-