১ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার, ১০:২৮

সেনা মোতায়েন করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার তাগিদ

গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে সংলাপ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা -সংগ্রাম

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন-ইসির সংলাপে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত সর্বোপরি সর্বজনগ্রাহ্য করতে তফসিল ঘোষণার আগে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির কর্তৃত্ব রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা ‘না’ ভোটের প্রবর্তন, জনগণের আস্থা অর্জন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় না থাকলেও নির্বাচনে যে কোনো প্রকারে সেনা মোতায়েনের জন্য কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছেন। সংলাপে সব দলের অংশগ্রহণে ‘ভয়মুক্ত’ নির্বাচনের আয়োজন করার পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ইসিকে যথাযথভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করারও পরামর্শ দেন তারা।

গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে নির্বাচনের রোডম্যাপ, আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণসহ অন্যান্য বিষয়ে মতামত নিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় ইসি। এ সময় সুশীল সমাজের সদস্যরা এসব প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে ধর্মকে ব্যবহার করে যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান সুশীল সমাজের সদস্যরা। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণার আগেই সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনে ইসির কার্যকরী ভূমিকা রাখা উচিৎ বলে মত দিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তবে এ সংলাপে আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অনুপস্থিত ছিলেন। ২৫ জনের পরিচিতি পর্ব দিয়ে এ সভা শুরু হয়। পরে আরও পাঁচজন সভায় যোগ দেন।
আলোচনার শুরুতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা স্বাগত বক্তব্য দেন। সংলাপে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, মাহবুব তালুকদার, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আইনজীবীসহ বিভিন্ন মহলে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এদিকে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ছবি তোলার অনুমতি দেয়া হলেও মত বিনিময় সভায় কাউকে থাকতে দেয়া হয়নি। যদিও বিগত দুই কমিশনের আমলে এ ধরনের সংলাপে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে রোডম্যাপের সাতটি বিষয় ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সংলাপ করবে ইসি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নির্বাচনে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সেনা মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজের বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকার দরকার। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে বর্তমান সরকার থাকবে না-কি অন্যরা থাকবে। তবে এ সময়ে সংসদ ভেঙে দেয়াটা জরুরি। না হলে তিনশ’টি ক্ষমতার বলয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। ওই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির কর্তৃত্বটা রাখা খুবই জরুরি। ইভিএম নিয়ে বিতর্ক করে সময় ব্যয় না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘সবাই খোলামেলা মত দিয়েছে। অনেক বিষয় মতৈক্যের মত হয়েছে, কিছু বিষয় নিয়ে ভিন্নমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিজে সক্রিয় হওয়া, নিকট অতীতে দেখেছি ইসি নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগে অনীহা দেখিয়েছে। যেটা সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জনে কাজ দেয়নি। ইসি নিজে যেন সক্রিয় হয়।
তিনি বলেন, আমরা লিখিত মতামতও দিচ্ছি। রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। এক্ষেত্রে নিজস্ব লোকও হতে পারে; অথবা ইসির চিহ্নিত জেলা প্রশাসকও হতে পারে। একজন্য ইসির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অভিযোগ আমলে নেয়া হয় না বা প্রতিকার নেই। এটাতে সক্ষমতা প্রমাণ হয় না। এ জন্যে সক্ষমতা দেখানো জরুরি। অভিযোগ আমলে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে অনেক অনিয়ম রোধ হত।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বপালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
তিনি বলেন, ইসিকে জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। ইসি দৃঢ় এবং স্বাধীন ভূমিকায় আছে এটা দৃশ্যমান হতে হবে। এটি সবচেয়ে বড় কাজ। দেবপ্রিয় বলেন, কিছু বিষয়ে আইনের দুর্বলতা আছে। সেগুলো সংস্কার করে ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ধর্মের বিষয় একেবারেই রাখা যাবে না। এ ব্যাপারেও সুশীল সমাজের বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয় সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বচ্ছতা আনতে হবে। এ জন্য ইসিকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি ফিলিং স্টেশন, রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যায়, তাহলে কেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে সবাই নির্বাচনে আসতে পারে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্টদের ভয় দূর করতে হবে। ‘না’ ভোট প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, না ভোট যেন রাখা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে না ভোট আছে। তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের কোনো সুযোগ যেন না থাকে। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যায় কিনা বিবেচনা করার জন্যে বলা হয়েছে। যেহেতু ডিসিরা রিটার্নিং অফিসার থাকে, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বাদ দেয়া যেতে পারে।
গতকাল সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশনকে সাহসের সঙ্গে কঠোর ও কঠিনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ পরামর্শটিই সবচেয়ে বেশি এসেছে বলে তিনি জানান।
সিইসি বলেন, ভেতরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সবার কথাই মোটামুটি কাছাকাছি পর্যায়ে এসেছে। খুব বেশি মতপার্থক্য আসেনি। যেসব বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই, সে ক্ষেত্রে সরাসরি বলেছি তা আমরা পারব না।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় যে পরামর্শ দিয়েছেন তার সংক্ষেপ হলো, ১. সংরক্ষিত আসনের পরিবর্তে নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ। ২. রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচনী কর্মকর্তার দায়িত্ব না দেয়া। ৩. মিডিয়া যাতে কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা কিংবা অপপ্রচার চালাতে না পারে, বিষয়গুলো নির্বাচনী আচরণবিধির অন্তর্ভুক্ত করা। ৪. পোলিং বুথে মোবাইল ফোন না নেয়ার পরামর্শ এসেছে। ৫. কেউ কেউ বলেছেন, নির্বাচনের ব্যয় তিন লাখ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। সার্বিকভাবে নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তদারকি করা উচিত। ৬. অনলাইন বা ইন্টারনেটে মনোনয়ন গ্রহণ করা যায় কি না, যাতে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে না পড়ে। ৭. বিদেশিদের ভোট দেয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ৮. সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দেয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে সাহসের সঙ্গে কঠোর ও কঠিনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।
ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছেন, ‘আমরা তাঁদের (সুশীল সমাজকে) আশ্বস্ত করেছি, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন যে কাজগুলো করে, তা আগে থেকেই গুছিয়ে নেয়া উচিত এমন পরামর্শ এসেছে সুশীল সমাজের কাছ থেকে। এ পরামর্শ আমরা শুনেছি। সামগ্রিকভাবে তাঁদের সব কথাই শুনেছি। ধাপে ধাপে আমরা অন্যান্য সবার সঙ্গে কথা বলব। সামনে, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলের কাছেই আলাপ-আলোচনার বিষয়গুলো পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পানামা পেপারসে যাঁদের নাম আছে, তাঁদের প্রার্থী না করার বিষয়ে সুপারিশ করেছেন অনেকেই। কিন্তু আইনের মধ্যে এ নিয়ে কিছু বলা নেই। আমরা খোঁজখবর করবো। আইনে বলা আছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রার্থী না করার কথা। কিন্তু পানামা পেপারসের অভিযোগের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
এ সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর কোনো চাপ আসবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তাঁরা একটা সমঝোতায় আসতে পারে বলে মনে হয়। বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। কিন্তু চাপ তৈরি হবে কি না, এটা বলা সম্ভব নয়।
ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে উপস্থিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা হলেন-তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, রাশেদা কে চৌধুরী ও হোসেন জিল্লুর রহমান। সাবেক সচিব এ এইচ এম কাশেম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বেসরকারি সংস্থার সাইফুল হক, সঞ্জীব দ্রং, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ গোলাম হোসেন, সাবেক গবর্নর ফরাসউদ্দিন, ফিলীপ গায়েন, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক সচিব রকিব উদ্দিন মন্ডল, কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ, টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, কবি লুবানা হাসান, খুশী কবির, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক অজয় রায় ও সিপিডি’র ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ইসির সংলাপে বহিরাগত ২ জন
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র সংলাপে দুই জন বহিরাগতকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের সংলাপস্থল থকে বের করে দেয়া হয়। তারা সংলাপের শুরু থেকেই সেখানে ছিলেন বলে জানা গেছে। বহিরাগত দুইজন হচ্ছেন- লুবনা হাসান ও নবাব আলী আহসান আনসারী। লুবনা হাসান গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও আলী আহসান নিজেকে নবাব সলিমুল্লাহর নাতি বলে দাবি করেছেন। তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো আমন্ত্রন পত্র ছিল না।

http://www.dailysangram.com/post/294172-