১৭ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ৮:০০

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

যৌথ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সাথে তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশে আইনের শাসন ও প্রশাসনে সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়। ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশন সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রাসেলসে গত বুধবার অষ্টম যৌথ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ শহীদুল হক। ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পামপালোনি।
বৈঠক নিয়ে গতকাল দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিস্তৃত ইস্যুতে গঠনমূলক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচ্যসূচিতে রাজনীতি ও নির্বাচন ছাড়াও ছিল মানবাধিকার, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অধিকার, উন্নয়ন সহায়তা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)।
ইইউ ও বাংলাদেশ অভিবাসন ইস্যুতে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৬ সালের জুনে ইইউর দেয়া খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) সংশোধনী উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এসওপি নিয়ে সমঝোতা শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করে ইইউ। সমঝোতায় অগ্রগতির অভাবে ইইউ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চলতি জুলাইয়ের মধ্যেই এ ব্যাপারে সমঝোতা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায় ইইউ।
যৌথ কমিশনে বাংলাদেশ ও ইইউ সমাবেশের অবাধ স্বাধীনতাসহ শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সাসটেইনেবল কম্পেক্ট বাস্তবায়নে যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) সুপারিশগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইএলওর সাম্প্রতিক সুপারিশগুলো নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে ইইউ। ইইউ-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক পরিবেশ সংলাপের অগ্রগতির ওপর ইইউ জোর দিয়েছে, যেটির লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নয়ন।
বাংলাদেশ ও ইইউ অভিন্ন এজেন্ডায় কার্যকর অগ্রগতির জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে, যা যৌথ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। আগামী বছর ঢাকায় যৌথ কমিশনের এ বৈঠক হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/236256