২৫ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:২৪

ফের পানিবন্দী বন্দর নগরী চট্টগ্রাম চরম বিপাকে নগরবাসী

* কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ॥ নিখোঁজ ১

গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে আবারো পানিবদ্ধতার নগরীতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। পানিবদ্ধতার কারণে সংকট ছিলো যানবাহনেরও। দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামবাসীর কাছে। একটু বৃষ্টি হলেই কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায় পুরো নগরী। পানি জমে সৃষ্টি হয় পানিবদ্ধতা। পরিণত হয় ভোগান্তির নগরীতে। জোয়ারের পানি,বৃষ্টি ও ঢলের পানি ও কাপ্তাই লেকের পানি ১৬টি গেইট দিয়ে অনবরত ছেড়ে দেয়ায় বৃহওর চট্টগ্রামে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে খবরে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২০০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদদের মতে, অমাবস্যার সময় জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। আবহাওয়া অফিস জানায়,পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্র স্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে নগরবাসী বলছে বৃষ্টি ও জোয়ার অমাবস্যার সম্মিলনে পানিতে অস্বাভাবিকভাবে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। তার ওপর কাপ্তাই লেকের পানি ভোগন্তি বাড়াচেছ। হাঁটু, কোমর ও বুক সমান পানিতে থৈ থৈ করছিল নগরের জনপদ। এতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। নগরীর বেশ কিছু স্কুল অফিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানিবন্দী হয়ে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী ও কর্মস্থলে যাওয়া লোকজন।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাপাসগোলায় সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে নজরুল ইসলাম(১৮) নামে এত কলেজ ছাত্র বিদ্যুতস্পৃস্ট হয়ে নিহত হয়েছে। সে সরকারি মহসিন কলেজের ছাত্র ছিল ও নোয়াখালী হাতিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র। এদিকে সাতকানিয়ার ছমদরপাড়ার আইয়ুব আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় ঢলু খালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকার মানুষ গত দুইদিন পানিবন্দী হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সময় সরেজমিনে চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ এলাকায় ঘুরে পানিবদ্ধতা লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় কোথাও হাঁটু কোথাও কোমড় পর্যন্ত পানি দেখা গেছে ।এ সব এলাকার মানুষ চরম দুভোর্গে পড়েছে। বেশী ভাগ এলাকায় পানিতে বিভিন্ন সড়ক, গলিসহ পাড়া মহল্লার বিভিন্ন ভবনের নিচতলার বাসা ডুবে যায়। এতে করে চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়ে। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল কমে যায়। কোথাও কোথাও সড়কে জমে থাকা পানিতে বাস-অটোরিকশাসহ যানবাহন আটকে গিয়ে ভোগান্তি আরও চরম আকার ধারণ করে।
আগ্রাবাদ সিডিএ সহ আগ্রাবাদ এলাকার অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সরকারি কমার্স কলেজ, এক্সেস রোড, শান্তিবাগ, বেপারিপাড়া, ছোটপুল, হালিশহর সব জায়গাতেই হাঁটু থেকে কোমরপানি। এসব এলাকার কোথাও কোথাও নৌযানে করে যাত্রী পারাপার হতে দেখা গেছে। কোথাও আবার ভ্যানগাড়িতে কাঠের বেঞ্চ বসিয়ে উপরে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছে। পানি শুধু সড়ক নয়, বাড়িঘর, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, শিশুপার্ক সবর্ত্র ঢুকে পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালও হয়ে পড়ে পানিবন্দী। হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মোরশেদ হোসেন বলেন, আমরা হাসপাতালের চারপাশে অস্থায়ী একটি বাঁধ দিয়েছিলাম যাতে পানি ঢুকতে না পারে। এত বেশি বৃষ্টি হলো, এত বেশি উচ্চতায় জোয়ার এলো সেই বাঁধ উপচে হাঁটুপানি হয়ে গেল হাসপাতালের নিচতলায়। রোগীদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আসবাবপত্র সব ভিজে গেল। অন্যান্য ফ্লোরের রোগী, স্বজন, ডাক্তারদের আসা-যাওয়ায় যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বাকলিয়ার বাসিন্দারা জানায়, চাক্তাইখালের পূর্ব পাশে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল জোয়ার ও ভারী বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক বাসাবাড়িতেই এখন হাঁটু থেকে গলা পর্যন্ত পানি জমে গেছে। নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে । আসাদগঞ্জ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জের অনেক গুদাম, আড়ত ও দোকানে পানি ঢুকে পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়েছে। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ দাবি করেন, বৃহত্তর খাতুনগঞ্জের নিচতলার প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই পানি ঢুকে গেছে। প্রাথমিক হিসাবে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাণো কঠিন।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের আশংকা প্রকাশ করায় রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বাঁশখালীর পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় ১ মিনিটের টর্নেডোতে স্থানীয় বাজারের ৭০ থেকে ৮০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তুরী বলেন, হঠাৎ করে সৃষ্ট টর্নেডোর কারণে পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু দোকানপাট আর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামের বৈরী আবহাওয়ার কারনে রিজেন্ট এয়ারের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দররে নামতে না পেরে ঢাকায় অবতরণ করেছে। সোমবার সকাল ৮টায় ওমানের মস্কট থেকে আসা রিজেন্ট এয়ারেরর একটি বিমান ঢাকায় অবতরণ করে।
হাটহাজারী সংবাদদাতা জানায়, হাটহাজারীর একটি ইউনিয়নের দুটি এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে ঘরবাড়ি ও গোয়ালঘরের ওপর পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার সকালে উপজেলার এক নম্বর ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিপুরাপাড়া ও সবুজটিলা এলাকায় এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
এদিকে চট্টগ্রামের সাথে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের ওপরে পানি উঠে যায়। ফলে সোমবার সকাল থেকেই সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি পানি ওঠার কারণে সাতকানিয়ার সঙ্গে বাঁশখালীর সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল নামায় চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়ক তলিয়ে গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে লোহাগাড়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। এছাড়া বোয়ালখালী পৌরসভা এলাকাতেও পানি উঠেছে।
জলমগ্ন চট্টগ্রাম নগরীকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চায় ক্যাব-বারবার অতি সামান্য বৃষ্ঠিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস, বাসা বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কলকারখানা, নগরীর প্রধান সড়কগুলি তলিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, জনপ্রতিনিধিরা নিজেরা একে অপরের উপর দায়িত্ব চাপাতে ব্যস্ত। আর এ জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম নগরের উন্নয়নে নিয়োজিত সরকারি সংস্থা বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন নতুন নতুন প্রকল্পের আশ্বাস ছাড়া তাৎক্ষণিক প্রতিকারের কোন উদ্যোগ নগরবাসী দেখছে না।
মাদারীপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
জলাবদ্ধতার শিকার পৌর
এলাকা
মাদারীপুর সংবাদদাতা : লাগাতার কয়েকদিনের টানা প্রবল বর্ষণও আড়িয়াল খাঁ নদে অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে মাদারীপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রবল বর্ষণে মাদারীপুর পৌর এলাকার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে বাসকরছে পৌরএলাাকার অনেক মানুষ। সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা যথাযথভাবে গড়ে না ওঠায় এবং পৌরসভার অনেক এলাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পৌর এলাকায় মাটি খনন করে ড্রেন নির্মাণের কাজ বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। খোদ পৌর এলাকায় ড্রেনের জন্য স্তুপকরা রাস্তার মাঝখানে খননকৃত মাটি বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আড়িয়াল খার পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচর ছিলারচর চরনাচনা কালিকাপুর মাদ্র্রা শ্রীনদী ধুরাইল এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুর শহর রক্ষা বাধ ও লঞ্চঘাট এলাকা এখন হুমকির মুখে পড়েছে। মাদারীপুর ১নং পুলিশ ফাড়ী, মাদারীপুর জেলা জজ কোর্টের সাবেক বিশেষ পিপি এডভোকেট আহসানুল হক খান ও সাংবাদিক আলী আকবর খোকার বাসভবনসহ আশেপাশের অনেক বাড়ি দোকানপাট এখন নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। এছাড়া প্রবল বর্ষণের কারণে শহরের থানতলী, পানিছত্র, খাগদী পাগদী, পুরানবাজার চরমুগরিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সড়কের রাস্তার পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে গরমের স্বস্তি মিললেও নিচু এলাকার মানুষ কিছুটা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শহরের ভুইয়া বাড়ী ,কুলপদ্দি,উপ-শহর চরমুগুরিয়া এলাকায় রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় ওই সব সড়কের বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সুষ্টি হয়ে পথচারী জনসাধারণের যাতায়াতে অবর্ণনীয় ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই সেদিকে।
এদিকে মাদারীপুর পৌর এলাকা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি গোলাম আজম ইরাদ বলেন, বর্তমানে পৌর মেয়র পৌর এলাকায় সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড করছেন তা বর্ষা মৌসুমের পুর্বে করা উচিত ছিলো। কিন্তু বর্তমানে বর্ষা মওসুমে নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও বর্ষার পানিতে তা ব্যাহত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্যে বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু নির্মাণ হয়েছে বাকীগুলোও নির্মাণের চেষ্টা করা হবে। আশা করি, শীঘ্রই মাদারীপুর শহর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।

 

http://www.dailysangram.com/post/293229-