২৫ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:২২

ওয়েস্ট জোন বিতরণ লাইন সম্প্রসারণ

বিদ্যুতের লাইন নির্মাণে বিদেশী অর্থায়ন সন্ধান

বিদ্যুৎ খাতের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওয়েস্ট জোন কোম্পানির লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য বিদেশী অর্থায়ন খুঁজছে। সরকারের বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোই বিদেশী অর্থায়ন দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়। এই কোম্পানির আওতায় দুই হাজার ৫৩০টি বিতরণ ট্রান্সফরমার স্থাপন ও পাঁচ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের জন্য এখন বিদেশী অর্থায়ন বা দাতা খুঁজছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন এক হাজার ২৬১ কোটি টাকা বলে ওয়েস্ট জোন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। 

সূত্রে জানা গেছে, ওজোপাডিকোর আওতাধীন ঢাকা খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২১ জেলার ৪০টি উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু বাস্তবায়নের পর এই চাহিদা আরো বাড়বে। কোম্পানিটির বর্তমান বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এই জোনের বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ৫৩১ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট। এক হাজার ৫৩৫ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ৬৬টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৭৫ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ৯ থেকে ১০ শতাংশ লোড বৃদ্ধি বিবেচনায় আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ কোম্পানির লোড চাহিদা হবে ২ হাজার ২৭৪ মেগাওয়াট। ফলে ১১ কেভিতে ও ৩৩ কেভিতে লোড চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ২ হাজার ৭৬ মেগাওয়াট এবং ১৯৮ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটিকে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের তালিাকায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে যে অর্থের প্রয়োজন হবে তা আপাতত সরকার থেকে এক হাজার ২০৯ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ ও অনুদান এবং সংস্থার নিজের অর্থায়ন ৫১.৪২ কোটি টাকা। প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন তার মতামতে প্রকল্পের বেশি কিছু ব্যয়ের খাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলছে, প্রকল্পে পরামর্শকের সংখ্যা ও ব্যয়, পরিবহন ব্যয়, স্থাপনা ব্যয়, এলসি চার্জ ও ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি খাতে ব্যয় মোট ব্যয়ের ৩ শতাংশ। এটাকে যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণে অর্থ বিভাগের নির্ধারিত দর অনুযায়ী প্রাক্কলন করা উচিত। এ ছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রমে পূর্ত কাজের বিস্তারিত কোনো বিবরণ নেই। কি ধরনের আবাসিক ও অনাবাসিক পূর্ত কাজ করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করতে হবে। কয়তলা কয়টি আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে তা বিস্তারিত থাকতে হবে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/238669