২৪ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ১১:৫৭

উল্টো যাত্রা

টানা ৭ বছর পাসের হার ৯০ ভাগের কাছাকাছি ছিল। এবার সেই হারে ছেদ পড়েছে। চলতি বছরের এসএসসির পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী উভয়ই কমেছে। বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে মূলত ৪টি কারণ। নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন, কুমিল্লা বোর্ডে অস্বাভাবিক পাসের হার কমে যাওয়া, সব বোর্ডের মানবিক বিভাগের পাসের হার কমা এবং সব বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার কারণে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। একই কারণে চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পাসের হারও কমেছিল। বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, আগে পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো না বলে অভিযোগ ছিল। এতে দেখা যেত ভালো ছাত্ররা খারাপ আর খারাপ ছাত্ররা ভালো রেজাল্ট করতো। খাতার ওজন দেখে নম্বর দেয়ার অভিযোগও শুনেছি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ এক্সামিনেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বেডু) গঠন করা হয়। তারা তিন বছর ধরে কাজ করেছে। বেডু কাজ করার পর থেকে পরীক্ষা ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তিনি আরো বলেন, মডেল পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নের জন্য এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। কাউকে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া আমাদের কাজ নয়। সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়নের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর দেয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। গত পাঁচ বছর নানা প্রচেষ্টায় আমরা খাতা মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেছি। এ কারণে এসএসসির ফলেও পাসের হার কমে যায়।
ফলাফলের প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবারের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ ভাগ। যা গত বছেরর তুলনায় কমেছে পাঁচ দশমিক ৭৯ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা কমেছে ২০ হাজার ৩০৭ জন। এবার পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে সিলেট ও জিপিএ-৫ এর শীর্ষে ঢাকা শিক্ষা বোর্র্ড। পাসের হারে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। তবে বিগত বছরের চেয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করেছে। গতকাল শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল তুলে ধরেন।
পাসের হার কমের কারণ বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে মূলত ৪ কারণ। এতে দেখা যায়, চলতি বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ণ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বোর্ড থেকে পরীক্ষকদের মডেল উত্তর ও নম্বর প্রদানে নির্দেশিকা দেয়া হয়। যাতে বাড়তি নম্বর দেয়ার সুযোগ ছিল না। এ ছাড়াও সকল বোর্ডে মানবিক বিভাগের ফল খারাপ, কুমিল্লা বোর্ডে রেকর্ড সংখ্যা শিক্ষার্থী ফেল এবং সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন হওয়া এবার এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার কমার অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। পাসের হার কমার বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে, কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার অস্বাভাবিক কমার কারণ। এই বোর্ডে অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে প্রায় ২৯ শতাংশ কম পাস করেছে। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়ার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এই বোর্ডে মানবিক বিষয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন খারাপ ফল করেছে। মানবিকের এবার পাসের হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অথচ বিজ্ঞান ও ব্যবসা শাখায় এই বোর্ডে পাসের হার যথাত্রুমে ৭২ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মানবিকে ফল খারাপ হওয়ার জন্য ইংরেজি বিষয়ের অস্বাভাবিক খারাপ হওয়াকে দোষছেন সংশ্লিষ্টরা। ইংরেজিতে এবার পাস করেছে ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ। ইংরেজিতে কোন বোর্ড পাসের হার ৭০ কোটার নিচে নামেনি। মাদরাসা ও সিলেট বোর্ডে ইংরেজি বিষয়ের পাসের হার যথাত্রুমে ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, কুমিল্লা বোর্ডের ফল খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ ইংরেজিতে ফল খারাপ। তিনি বলেন, কুমিল্লা বোর্ডে সব বিষয়ে পাসের হার ৮০ শতাংশে বেশি। কিন্তু ইংরেজি অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে ৩৮% কম শিক্ষার্থী পাস করেছে। আরো দেখা গেছে, ইংরেজিতে পাস করেছে কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য বিষয়ে পাস করতে পারেনি সেও ফেলের তালিকা এসেছে। এসব কারণে এ বোর্ডের পাসের হার কমেছে। কুমিল্লা বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, বোর্ডের খাতা মূল্যায়নে নতুন নির্দেশনা দেয়ার পর পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকরা খাতা দেখার ব্যাপারে উদায় মনোভাব দেখাননি। প্রতি বছর ইংরেজি বিষয়ে খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকরা একটু সহনসীলতা দেখালেও এবার সে রকম না হওয়ায় ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে।
বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ফল খারাপ হওয়ার আরেকটি কারণ মানবিকে ফল বিপর্যয়। এবার সব বোর্ড এ ছাড়া সব বোর্ডে মানবিকে খারাপ ফল করেছে। ৮টি সাধারণ বোর্ডে এই বিভাগের পাসের হার ৫৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। যা মোট পাসের চেয়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ বিজ্ঞানের পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ ছাড়াও এবার ফল খারাপ হওয়ার পিছনে এ বছর ২৬টি বিষয়ে ৫০টি পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। গত বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রের সৃজনশীল পরীক্ষা হয়েছিল। এবার প্রায় প্রতিটি পত্রের সৃজনশীল পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৭টি বিষয়ের ১৪টি পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। এটিও পরীক্ষা খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এসএসসি পর এবারও এইচএসসিতে এমসিকিউ-এ ১০ নম্বর কমাও এবার ফলে ধস নেমেছে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সরকারের কঠোর অবস্থান, কমিয়েছে পাসের হার।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন অংশ গ্রহণ করে। যা গত বছর ছিল ১২ লাখ তিন হাজার ৬৪০ জন। এ হিসেবে পরীক্ষার্থী কমেছে ৪০ হাজার ২৭০ জন। ১০ বোর্ডে এবার পাস করেছে আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন, যা গত বছর ছিল আট লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। গত বছরের চেয়ে ফেল করেছে ৯৭ হাজার ৪৩৯ জন। সব বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ ভাগ, গত বছর পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ ভাগ, পাসের হার কমেছে পাঁচ দশমিক ৭৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন, গত বছর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৭৬ জন, গত বছরের চেয়ে জিপিএ-৫ কমেছে ২০ হাজার ৩০৭ জন। এবার ৫৩২টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে গত বছর এ সংখা ছিল ৮৪৮টি, এ বছর কমেছে ৩১৬টি। এবার ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২৫টি, গত বছরের চেয়ে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৪৭টি।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭৪ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৯৩০ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৫৩ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৮ হাজার ১১০ জন। রাজশাহী বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭১ দশমিক ৩০ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৯৪ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ছয় হাজার ৭৩ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৫২ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭৪ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৪৯ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৯১২ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ২ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪৪৭ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল চার হাজার ৫৮৬ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬১ দশমিক ০৯ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৯১ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৬০ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ২৫৩ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ২৮ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে আটশত ১৫ জন। গত বছর এ পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ১৩ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল সাতশত ৮৭ জন। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭২ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে সাতশত জন। গত বছর পাসের এ হার ছিল ৬৮ দশমিক ৫৯ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক হাজার ৩৩০ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৪ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৯৮৭ জন। গত বছর এ হার ছিল ৭০ দশমিক ৬৪ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল তিন হাজার ৮৯৯ জন। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ২ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮১৫ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ১৯ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই হাজার ৪১৪ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৬৬৯ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল ছয় হাজার ৫৮৭ জন।
আটটি শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপ ভিত্তিক ফলাফলে বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে। এ বিভাগে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১৪ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৯৩৫ জন। মানবিক, ইসলাম শিক্ষা ও সংগীত বিভাগে পাসের হার ৫৮ দশমিক ১৪ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে একহাজার ৭২৬ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন।
এবার ১০ বোর্ডে ছয় লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন ছাত্র অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে চার লাখ ২২ হাজার ৩৯০ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৬১ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৫৩৫ জন। আর পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৫ জন ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৩২১জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৪৩ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৪৩৪ জন। ঢাকা বোর্ডের অধীন বিদেশি সাতটি কেন্দ্রে ২৫৯ জন অংশ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২৪৪ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ২১ ভাগ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ জন।
মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক পরীক্ষকের মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্রের ১২ শতাংশ উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষকের পুনঃমূল্যায়ন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এতে করে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ বছর ২৬টি বিষয়ে ৫০টি পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে, গত বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে বিষয় বেড়েছে সাতটি ও পত্র বেড়েছে ১৪টি।
ফল পুনঃনিরীক্ষণ: যেসব পরীক্ষার্থী আশানুরূপ ফল পাননি তারা আজ থেকে ৩০শে জুলাই পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক থেকে আবেদন করা যাবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে ণঊঝ লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শত টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে সেসব বিষয়ের দুটি পত্রের জন্য ৩০০ টাকা ফি দিতে হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে। 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=75480&cat=2/