১৫ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ৯:৪২

কাজ আছে দক্ষ লোক নেই

বাড়ছে শিক্ষিত বেকার

দেশে অনেক কাজ আছে কিন্তু সে অনুযায়ী দক্ষ লোক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে অসংখ্য যুবক চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বছরের পর বছর। চাকরি মিলছে না। আবার অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী বিজ্ঞাপন দিয়েও উপযুক্ত কাজের জন্য সঠিক দক্ষ লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। দক্ষ লোকের অভাবে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে লাখ লাখ বিদেশী কাজ করছে। যে দেশের প্রায় এক কোটি লোক বিদেশে কর্মরত, কাজের সন্ধানে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে যে দেশের মানুষ সমুদ্রে ভাসে লাশ হয়ে, জঙ্গলে গণকবরের শিকার হয় সে দেশে কাজের জন্য লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবিশ্বাস্য হলেও এটিই এখন বাস্তবতা। আরো নির্মম সত্য হলো বাংলাদেশের কোটি প্রবাসী শ্রমিক এক দিকে রক্ত পানি করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর শুধু একটি দেশের লোকজনই কামাই করে নিয়ে যাচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক দিকে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে কষ্টার্জিত অর্থ পাঠাচ্ছে, অপর দিকে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশীরা বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
তিন বছর আগে লন্ডনের বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে স্নাতক পাস শিক্ষিত যুবকদের ৪৭ শতাংশই বেকার। শিক্ষিত বেকারের এ সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে বিনিয়োগ ও কর্মস্থান ক্ষেত্রে বিশেষ করে বেসরকারি খাতে চলমান স্থবিরতার কারণে। অপর দিকে গত ৮ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে গার্মেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তিন লাখ বিদেশী দক্ষ জনশক্তি কর্মরত রয়েছেন। এদের মাধ্যমে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা।
চট্টগ্রামের সফটওয়্যার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম আফসোস করে বলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনার্স পাস করেও এক আঙ্গুল দিয়ে কম্পোজের কাজ করে অনেকে। সফটওয়্যার ডেভেলপ বিষয়েও তেমন কিছু পারে না। তিনি যাদের তার প্রতিষ্ঠানে কাজ দেন তাদের কাজ শিখিয়ে নিতে হয়। তাদের বিনা বেতনে চাকরি দিলেও প্রতিষ্ঠানের লোকসান হয় বলে জানান তিনি। কারণ তাদের কাজ শেখাতে এবং তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ করতে হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, তার মতো অনেকের হাতে অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রচুর কাজ আছে কিন্তু কাজ করানোর দক্ষ লোক পাওয়া যায় না। শিক্ষিত সনদধারীদের অভাব নেই। লোক চেয়ে বিজ্ঞাপন দিলে হাজার হাজার দরখাস্ত জমা পড়ে। কিন্তু উপযুক্ত দক্ষ লোক পাওয়া যায় না। শেষে বাধ্য হয়ে অদক্ষদেরই নিয়োগ দিয়ে কাজ শিখিয়ে নিতে হয়। আর দুঃখের বিষয় হলো কাজ শেখার পর অনেকে বেশি বেতনে চাকরি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
কম্পিউটার সায়েন্স পাস করেও দীর্ঘদিন বেকারত্বে ভোগা যুবকদের নিয়ে নয়া দিগন্তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিষয়ে নজরুল ইসলাম তার এ তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের মতো একই অভিজ্ঞতা দেশের অনেক উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীর। দক্ষতার অভাবে এক দিকে যেমন কাজ পাচ্ছে না অনেক শিক্ষিত যুবক তেমনি অনেকে সামান্য বেতনে চাকরি শুরু করেন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নামকরা বিষয়ে স্নাতক পাস করা সত্ত্বেও।
টেকনিক্যাল বিষয়ে পাস করার পরও বিষয়ভিত্তিক কাজ জানেন না দেশের অনেক স্নাতক পাস যুবক। আর মানবিক বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রির সনদধারীরা বাধ্য হয়ে এমন সব চাকরির জন্য দরখাস্ত করেন এবং চাকরি করেন যার সাথে শিক্ষা জীবনের কোনো মিল নেই।
কাজ থাকা সত্ত্বেও দক্ষ লোক না পাওয়া, সনদ থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো বর্তমানে লক্ষ্যহীন ধারায় চলছে দেশের উচ্চশিক্ষা। শিক্ষার বিষয়ের সাথে যেমন বাস্তব জগতের মিল থাকে না, তেমনি অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় টাকার বিনিময়ে নামে মাত্র একটি সনদ ধরিয়ে দিচ্ছে। অনেকের মতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কিন্তু অনেক দিন ধরে শিক্ষার উদ্দেশ্য যেন পরিণত হয়েছে জীবিকা উপার্জন বা দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা। দক্ষ মানব সম্পদ অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু বাস্তবে এখন দেখা যাচ্ছে সে কাজটিও ঠিকমতো করা হচ্ছে না। তাই সনদ মিললেও চাকরি মিলছে না। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়েনি মর্মে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসছে।
দেশে ৩ লাখ বিদেশী কাজ করছে
দ জনবলের অভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে তিন লাখ বিদেশী দ জনশক্তি। গত ৮ জুলাই আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘ভবিষ্যৎ কর্মবিশ্বের জন্য দতা আর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য টিভিইটি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী ২৭ থেকে ২৯ জুলাই ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ জুলাই সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এ সম্মেলন উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার, অব্যাহত উন্নয়ন-অগ্রগতির ফলে বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক দতার েেত্র ৪০ ভাগ ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্রে এ ঘাটতি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দতার অভাবে বাংলাদেশী নাগরিকেরা বিদেশে গিয়ে ভারত, ফিলিপাইন, নেপাল ও ভুটানের শ্রমিকদের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ বেতনও পাচ্ছে না। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্যও বিদেশ থেকে দ লোক আনতে হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় তিন লাখ বিদেশী নাগরিক কাজ করছে।
৪৭ শতাংশ স্নাতক বেকার
লন্ডনের বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্টের তিন বছর আগের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জন বেকার।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে উচ্চশিার সুযোগ বাড়লেও মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেক েেত্রই তা বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ কারণে বাড়ছে শিতি বেকারের সংখ্যা।
ইকোনমিস্টের এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশে উচ্চশিায় বিনিয়োগ বাড়লেও শিার গুণগত মান বাড়েনি। এর ফলে শিতি বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। আর শ্রমবাজার ও শিাসংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয় নেই। স্থানীয় ও বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী উচ্চশিায় শিতিদের কারিগরি ও কাজ করার মতো দতা কম। তাই উচ্চশিতি স্নাতকদের অনেকে বেতন পান বেশ কম।
দক্ষতার অভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক হয়েও অনেকে প্রশাসনে চাকরি করেন। কারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে তাদের জ্ঞান যথাযথ নয়। আবার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পাস করে ব্যাংকে চাকরি করছেন সে নজিরও রয়েছে।
অপর দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেশে ২৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বেকার। চলতি বছর মে মাসে প্রকাশ করা হয় এ প্রতিবেদন। এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেয়া মানদণ্ড অনুযায়ী। সে অনুযায়ী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসেবে ধরা হয়।
বিবিএসের হিসাবে, উচ্চশিতিদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ৯ শতাংশ।
তবে বিবিএসের এ তথ্য গ্রহণযোগ্য মনে করেণ না বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে বাস্তবে বেকার সংখ্যা অনেক বেশি। বিবিএস বেকারের সংখ্যা নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৪ সালে আইএলওর তথ্যমতে, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। সংস্থাটির মতে, বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ১২তম।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে কাজ করেন এমন মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৯৫ লাখ। বিবিএস বলছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দেড় বছরে কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ১৪ লাখ। দেশে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত সব মিলিয়ে বেকারের সংখ্যা তিন কোটির উপরে বলে ধরা হয়। কেউ কেউ আবার দেশে মোট বেকারের সংখ্যা চার কোটি বলেও উল্লেখ করেন।
কারণ বিবিএসের জরিপে চার কোটি তরুণকে বেকার থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তারা শ্রমিক নন বিধায়। অনেকের অভিযোগ আইএলওর সংজ্ঞা ব্যবহার করে বিশাল এ শ্রমশক্তিকে বেকার হিসেবে দেখাচ্ছে না সরকারি এ সংস্থা।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ২২ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র সাত লাখ।
বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক পাস করে।
ভারতের শীর্ষ রেমিট্যান্স অর্জন তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম!
ভারত যেসব দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স (বিদেশে কর্মরতদের পাঠানো অর্থ) আয় করে তার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ থেকে ভারত বছরে চার বিলিয়ন ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স আয় করে। গার্মেন্ট, টেক্সটাইল ও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েক লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই ভারত বাংলাদেশ থেকে এ বিপুল রেমিট্যান্স অর্জন করছে প্রতি বছর।
২০১২ এবং ২০১৩ সালে ভারত সবেচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় সৌদি আরব, চতুর্থ যুক্তরাজ্য এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয় ভারতীয় নাগরিকেরা বাংলাদেশের গার্মেন্ট, টেক্সটাইলস এবং বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। এ ছাড়া শোবিজ জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ভারতীয়দের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
২০১৩ সালে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী শ্রমিকেরা ১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছে। আর বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয়রা ৪ বিলিয়ন ডলার এদেশ থেকে নিয়ে গেছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনেও ভারতের রেমিট্যান্স অর্জনে অবদানকারী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম বলে উল্লেখ করেছে ২০১৫ সালে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে পাঁচ হাজারের মতো গার্মেন্ট কারখানা রয়েছে। সামান্য সংখ্যক ছাড়া প্রতিটি গার্মেন্ট শিল্পের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে বিদেশী বিশেষ করে ভারতীয় লোকজন কর্মরত। বাংলাদেশে গার্মেন্ট খাতের গুরুত্বপূর্ণ যেসব পদে বিদেশীরা কর্মরত সেগুলো হলো জিএম, প্রডাকশন ম্যানেজার, কোয়ালিটি ম্যানেজার, মার্চেন্ডাইজার, ফাইন্যান্স ম্যানেজার।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/235827