১৫ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ৯:৩২

গণতন্ত্রের স্বার্থেই প্রয়োজন নিরপেক্ষ একটা অন্তর্বর্তী সরকার

মো. তোফাজ্জল বিন আমীন

অতীত যেমন মোছা যায় না, তেমনি কেউ বদলাতেও পারে না। গণতন্ত্রের জন্য এ অঞ্চলের মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা ভূ-ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া মেলা ভার। অথচ সেই গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত ও শৃঙ্খলিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু গণতন্ত্র আজ মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে অজানা গন্তব্যে। একটি দেশে যখন গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেখানে সহমর্মিতা, সহানুভূতি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠে সরকার ও বিরোধীজোটের রাজনীতি। যেমনটি দেখা গেছে চার্চিলের ক্ষেত্রে। চার্চিল যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, তখন পার্লামেন্টে তাঁর বক্তব্যের তীব্র ও কঠোর প্রতিবাদ জানান বিরোধী দলের এক মহিলা সদস্য। তিনি চার্চিলের কঠোর সমালোচনা করে বলেছিলেন, আপনি যদি আমার স্বামী হতেন, তাহলে আপনার চায়ের কাপে বিষ মিশিয়ে দিয়ে আপনাকে হত্যা করতাম। চার্চিল এই আক্রমণে বিচলিত হননি। হেসে উত্তর দিয়েছেন, যদি তাই হতো তাহলে আমি সেই বিষ ঢালা চা খেয়ে মৃত্যুবরণ করে আপনার মতো স্ত্রীর হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইতাম। পাঠক একবার ভাবুন তো এ ঘটনা যদি আমাদের দেশে হতো তাহলে অবস্থাটা কী দাঁড়াতো। ইতিহাসের পাঠে পড়েছি মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করে আবার মানুষই ইতিহাসের গতিকে পরিবর্তন করে। কিন্তু আমরা যখন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে অস্বীকার করি, তখনই কেবল একই ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটে। যারাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকেন তারা যদি পেছনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারতেন তাহলে গণতন্ত্রের মৃত্যু এভাবে হতো না। ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্যে আমরা সাদাকে সাদা না বলে কালো বলি। একটি দল যখন বিরোধী দলে অবস্থান করে তখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কুন্ঠাবোধ করে না। চিত্রের উল্টো দিকে তারাই যখন আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তখন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে একই অন্যায়ের জালে নিজেরাও যে জড়িয়ে পড়েছেন তা অনুভব পর্যন্ত করতে পারেন না। যে কেয়ার্টেকার সরকারের জন্য বিরোধী দলে থাকাকালীন লীগ সরকার আন্দোলন সংগ্রাম হরতাল করেছে। তারাই এখন ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আদালতের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

১. আমরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলি, তখন আমাদের অনেকেই মনেপ্রাণে বুঝতে সক্ষম হন না যে, বিরোধী দল থাকা হলো গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। একমাত্র স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দলকে দেশের শত্রু বলে মনে করা হয়। পার্লামেন্টারী পদ্ধতিতে প্রধান বিরোধী দল ছায়া মন্ত্রিসভার মর্যাদা ভোগ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতার রাজনীতিতে জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধীদলের আসনে সরকার বসালেও দেশের জনগণ কিন্তু বিএনপিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এখনও মনে করে। গৃহপালিত বিরোধীদলের হঠকারিতার জন্যে গণতন্ত্র আজ নিষ্পেষিত। গত রোববার যশোরে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে মহিলা জামায়াতের ৩৭ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে তাদের অপরাধ তারা গোপন বৈঠক করছিল। জামায়াতে ইসলামী তো নিষিদ্ধ কোন রাজনৈতিক দল নয়! তাহলে কেন গোপন বৈঠকের নামে নিরীহ নারী ও শিশুকে গ্রেফতার করা হলো। পত্রিকার পাতায় যখন দেখলাম পুলিশের প্রিজন ভ্যানের ভেতরে ছোট দুটি শিশুও রয়েছে তখন সত্যিই মনে দাগ কেটেছে। সমাজবিদ, সুশীল, রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত রয়েছেন তাদের ভালোবাসার মনটা কেন এত নিষ্ঠুর হয়ে গেল? প্রিজন ভ্যানে মায়ের ছবি মানাইলেও শিশুর ছবি কী মানায়? প্রিজন ভ্যানে শিশুর ছবিই বলে দিচ্ছে আমরা কত অসহায়।
২. গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন ও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা যায়নি। দেশে স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১০টি জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো ওইসব নির্বাচনের মধ্যে যেগুলো দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার একটিও অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়নি। পক্ষান্তরে যে কয়টি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তারপরেও কেন এই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হলো ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা মানে দেশকে একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া। আর সে কাজটি আওয়ামী লীগ সুকৌশলে আদালতের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে গণতন্ত্রকে জিন্দা দাফন দিয়েছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ও জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে আওয়ামী সরকার ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারিতে, একটি বিতর্কিত নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে যে দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যে নির্বাচনে ৫% মানুষ ভোট দেয়নি এবং ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সে নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশন ৪০% ভোট দেখিয়েছে এই বিষয়টিও মনে রাখা প্রয়োজন। ২০১৪ সালের সে নির্বাচন আসলে কোনো নির্বাচনই ছিল না। ওটা ছিল একটা নির্বাচনের নামে প্রহসন।
৩. গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এখনও গড়ে উঠেনি যে দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে বিএনপি কিংবা জামায়াতের ভোটের ভয় ছিল না। তবু আওয়ামী লীগ পরাজয়ের ভয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করেছিল। উল্লেখ্য যে, ওই সময়ে আওয়ামী বিরোধী শক্তির অবস্থা ছিল খুবই দুর্বল। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১০ থেকে ১৫ এর বেশি আসনে জয়ী হবার কোন সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই অল্পসংখ্যক বিরোধী দলের প্রার্থীকে বিজয়ী হতে দেয়নি। সেই নির্বাচনে যারা আওয়ামী বিরোধী ছিলেন তারা এখন শেখ হাসিনার নৌকার পাল উড়াচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সে দিন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল, ভাষা সৈনিক অলি আহাদের মতো নেতাকে পরাজিত করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি না করলেও পারতো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব না তা আওয়ামী লীগই প্রথম জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছিল। ১৯৮৬, ১৯৮৮ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো ১৯৭৩ সালের মতো বিতর্কিত একটি নির্বাচন ছিল। দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯১ সালে ৩ জোটের রূপরেখা অনুসারে বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদের সাহসী ভূমিকার ফলশ্রুতিতে জাতি একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপভোগ করল। বিচারপতি শাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন দেশ-বিদেশের নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনো সময়ের তুলনায় ছিল অধিকতর স্বচ্ছ এবং সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য। মূলত এটাই ছিল কেয়ারটেকার সরকারের প্রথম মডেল নির্বাচন। পাশাপাশি গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা সেদিন সূক্ষ¥ কারচুপির অভিযোগ করেন। তবে ড.কামাল হোসেন দলীয় প্রধানের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
৩. একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হওয়ার প্রয়োজন বিধায় ১৯৮৩ সালের ২৩শে নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ কেয়ারটেকার সরকার গঠনের দাবি পেশ করে একটি ফর্মুলা জাতির সামনে পেশ করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার সরকারের দাবি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। প্রথম দিকে সে দাবির পক্ষে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি না থাকলেও একটা পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। রাজনীতির শেষ কথা বলতে কোন কথা নেই এটা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর মুখ থেকে প্রায়ই শোনা যায়। জামায়াতে ইসলামীর নেতারা সেদিন আওয়ামী লীগ এর সাথে যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপি সরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতাড়িত করেছিল। তখন তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী কিংবা স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়নি। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতের অবস্থান যদি মুসলিমলীগের মতো হতো তাহলে তাদের জীবনের ইতিহাস অন্যরকমভাবে লিখা হতো। তৎকালীন বিএনপি সরকারকে হঠানোর জন্যে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল। হরতাল অবরোধ অসহযোগ আন্দোলনের তোপের মুখে বিএনপি সরকারকে বাধ্য করা হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করতে। সে নির্বাচন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কিন্তু সেই সংসদেই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পায়। ১৯৯৬ সালের কেয়ারটেকার সরকারের অধীনের নির্বাচনে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তবে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে বিএনপিকে যেভাবে রাজপথের আন্দোলনে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করেছে বিএনপিও যদি এবার আওয়ামী লীগকে সেভাবে বাধ্য করতে পারে তবে সমাধান একভাবে হবে। নতুবা ইতিহাস তার আপন গতিতে চলবে।
৪. দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের যাত্রাকে আরো সুদৃঢ করার জন্যে আগামীতে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা অপরিহার্য। কোনো দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান কিংবা অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা দেশকে আবারো সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সরকার যদি আবারো ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করে তাহলে শুধু গণতন্ত্র বিপন্ন হবে বিষয়টি এমন নয়; দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। এই বিয়টি ক্ষমতাসীনদের অনুধাবন করা প্রয়োজন। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনের সাথে এক সাক্ষাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের অতীতের কিছু নির্বাচনের অনিয়মের বিষয় তাদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, সামনের নির্বাচনে এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি পরামর্শ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। আইয়ুব খান উন্নয়নের জোয়ার দিয়েও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি এটা ক্ষমতাসীনদের অনুধাবন করা ফরয হয়ে গেছে। আমরা আশা করব সরকার ৫ জানুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচনের পথকে পরিহার করে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি পুনরায় ফিরিয়ে এনে ১৬ কোটি মানুষের মনের দ্রোহটা বুঝার চেষ্টা করবেন।

http://www.dailysangram.com/post/291734-