১৪ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার, ১০:৩১

অজ্ঞাত রোগ আতঙ্ক

এখনো সনাক্ত হয়নি চট্টগ্রামে নতুন করে আক্রান্ত ১০

অপুষ্টির কারণে শিশুদের মধ্যে দ্রæত সংক্রমণ হয়েছে : ছোঁয়াচে নয়, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ আইইডিসিআর’র
চট্টগ্রাম ব্যুরো ও সীতাকুন্ড সংবাদদাতা : রাজধানীসহ সারাদেশে মশাবাহিত নতুন রোগ চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের চলছে। এ রোগ নিয়ে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গলদঘর্ম তখনই চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ত্রিপুরাপাড়ায় উপজাতি পল্লীতে অজ্ঞাত রোগে ৯ শিশুর মৃত্যু হয়। অজ্ঞাত ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নতুন করে গতকাল আরও ১০ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এটি ছোয়াচে রোগ নয়, তাই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। একই সঙ্গে মারাত্মক পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুদের শরীরে সহজে নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটেছে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। অজ্ঞাত রোগের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সীতাকুÐের আশপাশের উপজেলাগুলোতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র মতে, ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে শিশুদের গায়ে জ্বর, কাশি এবং পরবর্তী শরীরে র্যাশ ওঠায় মারা যাচ্ছে একের পর এক শিশু। চিকুনগুনিয়াতে কোন মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও এই অজ্ঞাত রোগের শিশুদের মৃত্যুর সংবাদে সারাদেশে জ্বর নিয়ে নানামুখী শঙ্কা তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে চিকুনগুনিয়া জ্বর কেনো দেশব্যাপী ছড়িযে পরলো, তা এখনও জানা যায় নি।
সরকারের রোগতত্ত¡ ও রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর ঘটনাস্থলে পৌছলেও এখনো রোগ সনাক্ত করতে পারেনি। তবে আক্রান্ত শিশুদের শরীরের রক্ত, লালা, নাকের পানিসহ সংগৃহিত নমুনার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। নমুনার কিছু পরীক্ষা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামেই করা হয়েছে। রাজধানীর আইইডিসিআর পরীক্ষাগারে আরও কিছু পরীক্ষা শেষে এই রোগের নাম বা সংক্রমণের কারণ জানা যাবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শুধু জ্বরের কারণ বা তার ধরণ বোঝা না, এই জ্বর কোথা থেকে কীভাবে এলো, তারও শেকড় খুঁজে বের করা উচিত। একই সঙ্গে চিকুনগুনিয়া জ্বরে কোন প্রাণহানি হয়নি বলে একে মহামারিও ঘোষণা করা হয়নি। কখনও জনগণকে সচেতন হতে বলে, নয়তো মসজিদ-মন্দিরে দোয়ার আয়োজন করেই দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ তাদের দায় এড়াচ্ছেন। চিকুনগুনিয়া নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া ও আদালতে রিট হবার আগে পরে কিছুটা মশক নিধন কর্মসূচি দেখা গেলেও তা খুবই অপ্রতুল। এমনিতেই চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে জনমনে আতঙ্ক আছে, এরমধ্যে চট্টগ্রামে এই অজ্ঞাত রোগ নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া জনবহুল এই দেশে একটি সংক্রামক বা প্রাণঘাতি অজ্ঞাত রোগ ছড়িয়ে পড়লে, তা ভয়াবহরুপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই ক্ষতিকর মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণসহ সারাবছর জনসচেতনতা কর্মসূচি চালানো উচিত।
এদিকে গতকাল বৃহষ্পতিবার সারাদিনে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত আর কোন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুই জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের পিআইসিইউতে রাখা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন এবং সীতাকুন্ডের কুমিরায় বক্ষব্যাধী (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৩৪ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীন এসব শিশুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর নিকটবর্তী সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারীর মধ্যম সোনাইছড়ি উপজাতি পাড়ায় আকস্মিক অজ্ঞাত রোগে মাত্র চারদিনের মাথায় ৯ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চিকুনগুনিয়াসহ একের পর এক নিত্যনতুন রোগে এমনিতেই জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারপর আবার সীতাকুন্ডের এ ঘটনায় জনমনে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এটি সংক্রামক কোন ব্যাধী হলে দ্রæত আশপাশের লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন অনেকে। তবে ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আইইডিসিআর এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ ভূইয়া লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোন তথ্য আমরা পাইনি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ আমরা সকলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি দীর্ঘদিনের অপুষ্টির কারণে এক ধরনের সংক্রমণে ত্রিপুরা পাড়ার শিশুরা আক্রান্ত। তাই আশপাশের এলাকায় এ ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মতো কোন আশঙ্কা আপাতত আমরা দেখছি না। সীতাকুন্ডের বক্ষব্যাধী হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ত্রিপুরা পাড়ার শিশুদের দেখার পর এবং ত্রিপুরা পাড়া সরেজমিন ঘুরে তিনি ইনকিলাবকে আরও বলেন, সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে এলাকায় সচেতনামূলক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের মারাত্মক পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুদের শরীরে সহজে নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে। সীতাকুন্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় সেটাই হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ওদের আর্থ সামাজিক অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা অপুষ্টিতে ভুগছিল। এ কারণেই তারা আক্রান্ত হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটাই আমাদের ধারণা।
ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, ওই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা শিশুদের রক্তের নমুনায় হিমগেøাবিনের পরিমাণ কম। আক্রান্ত শিশুদের শরীরে রক্তশূন্যতাও প্রবল। রক্তশূন্যতা, অপুষ্টি ও পটাশিয়ামের ঘাটতি আমরা পেয়েছি। সব দেখে প্রাথমিকভাবে ধরে নিচ্ছি এটা দীর্ঘদিন অপুষ্টিহীনতার কারণে এক ধরনের সংক্রমণের ফলেই এটা হয়েছে। কোন রোগের কারণে এ সংক্রমণ কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
আক্রান্ত শিশুদের কাছ থেকে রক্ত, লালা ও মূত্রের নমুনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু পরীক্ষা আমরা করছি। আর উচ্চতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় কিছু নমুনা আমরা নিব। সবমিলিয়ে দুই দিনের মধ্যে আমরা সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে, সমস্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারব এটা আসলে কি ধরনের রোগ।
গত বুধবার থেকে হাসপাতালে আসা ৪৬ শিশুর মধ্যে ২ জনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বাকিদের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানান তিনি। আক্রান্তদের পুষ্টিকর খাবার দেয়া হচ্ছে। তাদের অধিকাংশের অবস্থা উন্নতির দিকে।
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাবেক স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরা পাড়ার এসব পাহাড়ী পরিবারের শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। তাদের অনেকের শরীরে হাম দেখা গেছে। কারো লিভার বড় পাওয়া গেছে। তারা পুষ্টিহীনতার পাশপাশি চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত। পাহাড়ে টাইপাস, হামের মতো কিছু রোগ হয়। এসব শিশুদের গায়ে কালো গুটি দেখা গেছে। অপুষ্টির কারণে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। এ কারণে তারা প্রায় সকলে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে এসব শিশুকে উচ্চ মাত্রার পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রোগ চিহ্নিত হওয়ার পর পুরোদমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে। পুষ্টিহীনতা দূর করা গেলে দ্রæত এসব শিশুরা সেরে উঠবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ইনকিলাবকে বলেন, পুরো বিষয়টি অনুসন্ধান করে করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়ন করতে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এই পরিস্থিতি কেন হল এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কি তা খুঁজে বের করবে।
স্থানীয়রা জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অতি কাছে থেকেও এই পল্লির বাসিন্দারা অজ্ঞতার আঁধারে ডুবে আছে। তাদের কাছে এখনও চিকিৎসা মানে ঝাড়ফুঁক আর কবিরাজি (বৈদ্য) ওষুধ। যে ১০ শিশু মারা গেছে তাদের কাউকে কোন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়নি। এক শিশুকে একদিন শুধু হোমিও চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। বুধবার পর্যন্ত সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ির ত্রিপুরা পাড়ায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন, তাদের বয়স দুই থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
সীতাকুÐ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল করিম রাশেদ জানান, বুধবার একদিনেই ৪ শিশু অজ্ঞাত রোগে মারা যাবার পর থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের একটি টিম সার্বক্ষণিক ওই পাড়ার উপর নজর রাখছেন। রোগটি সংক্রামক বলে মনে করছেন তারা। এ কারণে ত্রিপুরা পাড়ার বাইরে যেন এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য সতর্কতা জারী করা হয়েছে। এছাড়া বাইরের লোকদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সরকারী পর্যবেক্ষক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি সেখানে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও ১০ কেজি করে চাল অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুÐ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম ভূইয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রহুল আমিন। তিনি ও স্থানীয় (সোনাইছড়ি) ইউপি চেয়ারম্যান ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। ইউএনও নাজমুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বুধবার থেকেই তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব রোগী যেন সুচিকিৎসা পায় সেদিকে নজর রাখছেন। তারা চান, এ রোগে আক্রান্ত সব শিশু যেন দ্রæত সুস্থ হয়ে তাদের মা-বাবার কোলে ফিরে আসে। এদিন ফৌজদারহাট হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীদের দেখতে যান সীতাকুÐের এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এ রোগে আক্রান্ত সবাইকে সরকারী খরচে চিকিৎসা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এখন আক্রান্ত সবাই সরকারী ভাবে চিকিৎসা পাচ্ছে। এদিকে ৯ শিশুর মৃত্যু ও বহু রোগি অসুস্থ হবার পর এখন সবমহলের দৃষ্টি ত্রিপুরা পাড়ায় হলেও ওই পাড়ার সাধারণ ত্রিপুরাদের মধ্যে এখনো আতংক রয়ে গেছে। শঙ্কর ত্রিপুরা নামক এক ব্যক্তি বলেন, কি থেকে যে কি হয়ে গেল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। চোখের সামনে ৯টি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। আরো বহুজন অসুস্থ। জানি না তারা সুস্থ হয়ে আসবে কিনা। একই দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন, মিলন ত্রিপুরাও। তিনি বলেন, এখানে এমন কোন ঘর নেই যাদের ঘরে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়নি। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, তারা প্রথমে হোমিও প্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ভুল করেছেন। কেউ কেউ আবার বৈদ্যের কাছ থেকে তাবিজ নিয়ে তা ঝুলিয়েই রোগ মুক্তি হবে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু তা তো হয়নি উল্টো কতগুলো কচিপ্রাণ ঝরে গেল। এদিকে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ ঘটনার ৮/১০দিন আগে পাড়ার সবাই মিলে ৩দিনের পঁচা একটি শুকরের মাংস খেয়েছিলো। টিএইচিও ডা. নুরুল করিম রাশেদ এটিও রোগ সংক্রামনের একটি কারণ বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, তারা ভালো মানের খাবার না খাওয়ায় পুষ্টিহীণ ছিলো। তার মধ্যে সবাই মিলে পঁচা শুকরের মাংস খেয়েছেন। এ থেকেও তো ভয়ানক কোন জীবানু ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এমনিতেই চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে জনমনে আতঙ্ক আছে, এরমধ্যে চট্টগ্রামের এই অজ্ঞাত রোগ নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকায় এ পর্যন্ত কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তাছাড়া সেই হিসাব রাখার কোনো কেন্দ্রীয় পদ্ধতিও বাংলাদেশে গড়ে উঠেনি।
তবে আইইডিসিআর এ পর্যন্ত জ্বরের ৮০০টি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখেছে এবং তার মধ্যে ৬০৫ জনের চিকুনগুনিয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। এছাড়া মোবাইল ফোনে সাধারণভাবে ৪ হাজার ৭৭৫ জনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মধ্যে ৩৫৭ জন চিকুনগুনিয়ার রোগী বলে প্রমাণ পেয়েছে তারা।

https://www.dailyinqilab.com/article/87444/