২২ জুলাই ২০১৭, শনিবার, ১২:১৭

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সবার সাথে কাজ করবে ব্রিটেন

গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা শক্তিশালী করা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ করবে ব্রিটেন। গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত পশ্চিমা এই দেশটি মনে করে, সুষ্ঠু ও অবাধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা স্থাপনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে।
মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ওপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের (ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি সে দেশের পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। এবারের প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের ২০১৬ সালের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কোনো উন্নতি হয়নি। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে। ধর্মীয় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চরমপন্থীদের হামলা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। ঢাকায় হোলে আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। অন্য দিকে সরকারও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে চলেছে। তবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেফতার, নির্যাতন ও গুমের অভিযোগ রয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারব্যবস্থার যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় এবং অমানবিক আচরণের েেত্র ব্রিটেন আপসহীন থাকবে। নাগরিকসমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন থাকবে অব্যাহত। এর পাশাপাশি মানবাধিকারের মান আন্তর্জাতিকপর্যায়ে সমুন্নত রাখা এবং বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করবে ব্রিটেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি আচরণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। বেশ কিছু অপরাধের জন্য বাংলাদেশে এখনো মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হওয়ার আশঙ্কা আছেÑ এমন কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) আইন নিয়ে নাগরিক সমাজের উদ্বেগ রয়েছে। এ আইন বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পরিচালনার সমতায় প্রভাব ফেলতে পারে। গ্রেফতার হওয়া সবার সাথে স্থানীয় আইন ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আচরণ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ব্রিটেন। যুক্তরাজ্য স্পষ্টভাবেই বিশ্বাস করে, কোনো েেত্রই অপরাধের দায়মুক্তি পাওয়া উচিত নয়। বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছে ব্রিটেন।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে উগ্রবাদী হামলার ঝুঁকিতে থাকা মানবাধিকারকর্মী ও ব্লগারদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য ব্রিটেন আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে কাজ করছে। মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার এবং লিঙ্গ সমতা অর্জনের পথে চমৎকার অগ্রগতি সত্ত্বেও কিছু সূচকে বাংলাদেশ বেশ খারাপ করছে। গত বছরের বৈশ্বিক দাসত্ব সূচকে বাংলাদেশ ১৬৭টি দেশের মধ্যে ২১তম স্থান পেয়েছে, যা এ দেশে আধুনিক দাসত্বের উপস্থিতির কথা জানান দেয়। ব্রিটেনের আধুনিক দাসত্ব অ্যাক্টের (২০১৫) আওতায় বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায় করা ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে তাগাদা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকারবিষয়ক এনজিও’র সাথে অংশীদারিত্ব ও বিচার বিভাগীয় প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে নারী ও শিশুদের অবস্থার উন্নয়ন এবং

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/237671