বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলার সম্প্রসারণ কাজ চলছে। দেয়াল নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশ দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার বিকেলে তোলা l ছবি: প্রথম আলো
২০ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:৫০

দেয়াল নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশের কঞ্চি!

বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান ভবনের সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণকাজে রডের সঙ্গে বাঁশ দেওয়া হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে কলেজের বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলার নির্মাণকাজ চলছে। ভবনের ছাদের নিচের অংশে ঝোলানো দেয়ালে (ড্রপ ওয়াল) রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহার করছেন নির্মাণশ্রমিকেরা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পাকা স্থাপনা নির্মাণে কোনোভাবেই রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের সুযোগ নেই।
এর আগে গত বছরের ৯ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘দর্শনায় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ভবন নির্মাণ: রডের বদলে বাঁশ, খোয়ার স্থলে সুরকি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার এই ভবন নির্মাণে জালিয়াতির খবর প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
গতকাল বুধবার কলেজে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয়তলায় ড্রপ ওয়াল তৈরিতে এক সারি রড বসানোর পর আরেক সারিতে বাঁশের কঞ্চি বসানো হচ্ছে। নির্মাণশ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ড্রপ ওয়াল ছাদের নিচে ঝুলে থাকবে, সে কারণে দেয়ালটিকে হালকা করার জন্য দুই রডের মাঝখানে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করছেন তাঁরা। এতে দেয়ালটি আরও বেশি মজবুত হবে বলে তাঁর দাবি। ঠিকাদারের নির্দেশে তাঁরা রডের পাশাপাশি বাঁশের কঞ্চি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রায় ৪৫ লাখ টাকার ওই নির্মাণকাজের ঠিকাদার তাপস দাস প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি নির্মাণশ্রমিকদের বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের কোনো নির্দেশনা দেননি। ড্রপ ওয়াল নির্মাণে সব সময় রড ব্যবহার করতে হয়। বাঁশের কঞ্চি খুলে ফেলতে শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, বিজ্ঞান ভবনের ড্রপ ওয়ালে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে। তিনি সেটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাঁশের কঞ্চি খুলে ফেলতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1258356/