২০ জুলাই ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৪

চট্টগ্রামে গণপরিবহন সংকট, যাত্রী দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম নগরে হঠাৎ করেই গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন, রোড পারমিটবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে গত দু'দিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জেল-জরিমানা ও মামলা এড়াতে অনেক বাস ও হিউম্যান হলার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গেছে। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল বুধবার দিনভর হালকা বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কের স্থানে স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করেন অনেক চালক-হেলপার। গত ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অভিযান ২২ জুলাই পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গতকাল সকাল ও বিকেলের দিকে নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট ও আগ্রাবাদসহ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, এসব পয়েন্টে বৃষ্টি উপক্ষো করে বাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পোর জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কোনো একটি বাস এলেই সেটাতে ওঠার জন্য রীতিমতো 'যুদ্ধ' করেন


তারা। পরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। আদায় করা হয় দ্বিগুণ ভাড়া। সিএনজি অটোরিকশাগুলোও সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে।

বিকেল ৩টার দিকে বহদ্দারহাটে বৃষ্টির মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা করেও না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসিনা বেগম নামের এক স্কুলশিক্ষিকা বলেন, নিউমার্কেট যাব। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও গাড়ি পাচ্ছি না। বেশ কিছুক্ষণ পর পর একটি করে গাড়ি এলেও হুড়োহুড়ির জন্য ওঠা যাচ্ছে না।'

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট ও ইন্স্যুরেন্সবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। নগরীতে পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ২২ জুলাই পর্যন্ত অভিযান চলবে।

গত মঙ্গলবার চলা অভিযানে বিভিন্ন ধরনের ২৪৮টি গাড়ি আটক এবং এক হাজার ১৯৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। গতকালও অভিযানে বিপুলসংখ্যক গাড়ি আটক ও মামলা দেওয়া হয়।

 

http://bangla.samakal.net/2017/07/20/309566