১০ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ১১:৪৮

অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা

দেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদহার কমলেও বেড়েছে ঋণের সুদহার। একই সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ( স্প্রেড)। তারল্য সংকট না থাকায় আমানতের সুদ হার কমিয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। দিশেহারা আমানতকারীরা উপায় না দেখে ঝুঁকছে সঞ্চয়পত্রের দিকে। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের আমানতেও নানা শর্ত জুড়ে কঠিন করা হচ্ছে। স্প্রেড কমিয়ে আনতে না পারলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের আশঙ্কা দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

সঞ্চয়পত্রের সুদের সাথে ব্যাংকের আমানতের সুদ হারের ব্যবধান বাড়ছেই। এতে করে ব্যাংক থেকে গ্রাহকরা আমানত প্রত্যাহার করে সঞ্চয়পত্র কিনছেন। এ কারণেই সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের সমালোচনার মুখে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার না কমিয়ে নানা শর্তজুড়ে দিয়ে এখাতে বিনিয়োগ কঠিন করা হয়েছে। এখাতে বিনিয়োগ করতে হলে আয়ের উৎস জানাতে হবে। আমানতকারীরা বলছেন অবৈধ টাকা তো আর কেউ ব্যাংকে কিংবা সরকারের কোষাগারে রাখেন না। যাদের বৈধ টাকা রয়েছে তারাই কেবল সঞ্চয়পত্র কিনে থাকেন। তাহলে কেন আয়ের উৎস জানাতে হবে।

এডভোকেট শাহ আলম সরকার দৈনিক সংগ্রামকে জানান,ব্যাংকে আমানত রাখলে কোন লাভ পাওয়া যায় না। তাই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের কথা ভাবছি। কিন্তু সরকার এখাতে বিনিয়োগে যে শর্তারোপ করেছে তাতে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা কঠিন হয়ে গেছে। সরকার চাচ্ছে না দেশের সাধারণ জনগণ সঞ্চয় করুক। এতে সরকারের কি লাভ তা বুঝতে পারছিনা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মে মাসে স্প্রেডের নির্ধারিত সীমা মানতে ব্যর্থ হয়েছে ১৩ ব্যাংক। এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্প্রেড হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের। উল্লেখ্য, বিধান মোতাবেক কোনো ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান পাঁচ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে গড় আমানতের সুদহার দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৯৩ শতাংশ। যা আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে দশমিক শূন্য চার শতাংশ কম। এপ্রিলে আমানতের সুদহার ছিল চার দশমিক ৯৭ শতাংশ। অপরদিকে মে মাস শেষে ঋণের সুদ হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ঋণের সুদহার বেড়েছে দশমিক শূন্য চার শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মে শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে আট দশমিক ৭১ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে চার দশমিক ৬৯ শতাংশ সুদ। স্প্র্রেড দাঁড়িয়েছে চার দশমিক শূন্য দুই শতাংশীয় পয়েন্ট। বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড সবচেয়ে কম। যা মাত্র তিন দশমিক ১০ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে দিয়েছে পাঁচ দশমিক ৯৭ শতাংশ সুদ। ঋণের ক্ষেত্রে নিয়েছে ৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ সুদ।

বেসরকারি খাতের আট ব্যাংকের স্প্রেড পাঁচ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের স্প্রেড রেট আট দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এরপর রয়েছে বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির স্প্রেড হার আট দশমিক ১৭ পয়েন্ট। এছাড়া স্প্র্রেড পাঁচ শতাংশের ওপর রয়েছে বিদেশি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সিটি ব্যাংক এনএ, ওয়ারী ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক।

দেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑদ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।

এদিকে গত মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে গড়ে ১০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আমানতের বিপরীতে দিয়েছে পাঁচ দশমিক ২১ শতাংশ সুদ। গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৮২ শতাংশীয় পয়েন্ট।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর স্প্রেড এখনও পাঁচ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ সুদ দিয়েছে। অন্যদিকে ঋণের বিপরীতে আদায় করছে সাত দশমিক ৮৫ শতাংশ সুদ। এ খাতের ব্যাংকগুলোর স্প্রেড সবচেয়ে বেশি। যা ছয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ব্যাংকিং খাতে বাড়ছে অলস টাকা। তাই পরিচালন ব্যয় হ্রাসে ব্যাংকগুলো কমাচ্ছে আমানতের সুদহার। তবে কোনো মতেই আমানত হার মূল্যস্ফীতি নিচে যাওয়া উচিত নয়। এতে ব্যাংকে টাকা রেখে লাভের পরিবর্তে লোকসান হচ্ছে। ফলে আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রাখতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এতে অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে চলে যাচ্ছে। যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমানতের মুনাফা দিয়ে অনেকে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন। তাই আমানতের সুদহার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকা উচিত নয়। এতে অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ ব্যয় হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

তিনি বলেন, যেখানে দেশে বর্তমান মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশের ওপরে, যেখানে আমানতের সুদহার পাঁচ শতাংশ বা তার নিচে থাকা মানে রিটার্ন নেগেটিভ হয়ে যাবে। যা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। তাই যে কোনো মূল্যে আমানতে সুদহার মূল্যস্ফীতির হারের ওপরে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন,স্প্রেড মানা জরুরি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আরও তদারকি বাড়াতে হবে। তা না হলে স্প্রেড ব্যবধান যে হারে বাড়ছে গ্রাহকরা আমানতে ব্যাংকে না রেখে বিকল্প রাস্তা খুজবে। এতে করে মানুষ মূলধন হারিয়ে নিস্ব হবে। যা অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা করার জন্য আমানতের সুদহার বেশি রাখতে হবে। যদিও মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব নীতিমালার আলোকে ঋণ ও আমানতে সুদহার নির্ধারণ করতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এদিকে মাত্রাতিরিক্ত সুদহার কমানোর ফলে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় ব্যাংকগুলোকে আমানতের সুদহার না কমাতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঋণের সুদহারের তুলনায় আমানতের সুদহার বেশি কমানোর ফলে মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সঞ্চয়ের বদলে অপচয়মূলক ভোগ ও অন্যান্য অনুৎপাদনশীল কাজে ব্যবহারের প্রবণতার ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে আমানতের মুনাফার হার কমানোর প্রবণতা রোধের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ঋণের সুদহার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু তা কোনোভাবেই আমানতের সুদহার কমিয়ে নয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান ( স্প্রেড) কমিয়ে পাঁচ শতাংশীয় পয়েন্টের মধ্যে রাখতে বলা হলেও এখনও এ নির্দেশনা মানছে না ১৩টি ব্যাংক। মে শেষে পাঁচটি বিদেশি ব্যাংক ও আটটি বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড পাঁচ শতাংশীয় পয়েন্টের বেশি রয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সবগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড নির্ধারিত সীমার মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা তারল্যের পরিমাণ ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ আমানত হিসাবে (সিআরআর ও এসএলআর) এবং অন্যান্য খাতে জমা রাখার কথা কমপক্ষে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এই হিসাবে অতিরিক্ত রয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে পড়ে থাকা মোট তারল্যের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা সরকারি বিল বা বন্ডে বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকগুলো। এসব অর্থের কিছু অংশ সরকার ঋণ হিসাবে নিয়েছে। কিছু অংশ মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতির অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে তুলে নিয়ে ভল্টে রেখে দিয়েছে। এর বিপরীতে কোনো আয় না হলেও ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত সুদ দিতে হচ্ছে। কেননা অলস টাকা ব্যাংকের ভল্টে পড়ে থাকলে সেগুলো বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে যেতে পারে বা অনুৎপাদনশীল খাতে গিয়ে দেশের মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়ে দিতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ধরনের ব্যবস্থাপনাকে অর্থনীতিবিদরা অলস টাকার ব্যয়বহুল ব্যবস্থাপনা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে সাড়ে প্রায় ১১ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ হার বেড়েছিল পৌনে ১০ শতাংশ। ওই এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ বেড়েছে সোয়া ১০ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপ্রবাহ বাড়ে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ। ওই সময়ে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৩ শতাংশ কমেছে, সমহারে বেড়েছে বেসরকারি খাতে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, আগের ঋণকে নবায়ন করে সেগুলোকে নতুন ঋণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া এই খাতে ঋণের একটি বড় অংশ দুর্নীতির মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। যা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়লেও তা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না।

একই সময়ে ঋণের চেয়ে আমানত বেড়েছে প্রায় দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর মুনাফা থেকে মূলধন বৃদ্ধি পাওয়া ও রিজার্ভ ফান্ড থেকেও বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে বিনিয়োগের মাত্রা আরও না বাড়ালে অলস টাকার প্রবাহ কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র গবেষণা পরিচালক ড. জায়েদ বখত বলেন, বিনিয়োগের গতি বাড়ছে। তবে যেভাবে বাড়ার কথা সেভাবে বাড়ছে না। এ কারণে ব্যাংকগুলোতে কিছুটা অলস টাকা রয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরে অনেক বড় বড় প্রকল্প আসছে। এগুলো বাস্তবায়ন শুরু হলে ব্যাংকিং খাতে ঋণের চাহিদা বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরের জুলাই মার্চ সময়ে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে। তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে নিজেদের কাছে রাখতে শুরু করেছেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ওই সময়ে ব্যাংকবহির্ভূত মুদ্রার পরিমাণ বাড়ে প্রায় ৯ শতাংশ। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বর্তমান ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের আস্থাহীনতা থেকেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সেগুলো নিজেদের কাছে রাখছেন। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে মেয়াদি আমানত বেড়েছে খুবই কম। কিন্তু চলতি আমানতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো থেকে যেসব ঋণ উদ্যোক্তারা নিচ্ছেন তারা সেগুলো তাদের চলতি হিসাবে রেখে দিচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ঋণপ্রবাহ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া অনেকে অন্যত্র টাকা বিনিয়োগ করতে না পেরে সেগুলো চলতি হিসাবে রেখে দিয়েছেন। গত অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত চলতি হারে আমানত বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে বেড়েছিল সোয়া ৩ শতাংশ। মেয়াদি হিসাবে আমানত ১০ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ হয়েছে।

http://www.dailysangram.com/post/291006