৪ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:১০

সিলেটে বন্যায় মানবেতর জীবন

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বেশির ভাগ বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সেখানে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া বন্যায় নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পর এবার সুরমা নদীর পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এলাকায় ছুটে গেছেন শিক্ষামন্ত্রীসহ এমপিরা।

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, বন্যা আঘাত হেনেছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে। অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছেন না। এই অবস্থায় সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ অভাব-অনটনে রয়েছে। কুশিয়ারা তীরবর্তী ৭ উপজেলার লোকজন জানিয়েছেন- ২০০৪ সালের পর এবারই ভয়াবহ বন্যা হয়েছে জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্চ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর এলাকায়। ওদিকে বন্যাকবলিত এলাকায় সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তিনি বলেন- সরকার পাশে রয়েছে। বেসরকারিভাবে ভিত্তবানরা পাশে এসে দাঁড়ালে বানভাসী মানুষ সাহস পাবে। এজন্য তিনি সবাইকে বন্যার্তদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বানভাসীদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজারে দুই জন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। সিলেটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল তিনি সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ এলাকায় পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। আর মৌলভীবাজারের দায়িত্বে রয়েছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত টিমের প্রধান হিসেবে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। বানভাসীদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা দুর্গত এলাকায় খবর নিয়মিত নিচ্ছেন। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সেগুলোও অপ্রতুল। কারণ- বন্যায় সব ফসল তলিয়ে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেতা শত শত পরিবারকে দুই বেলা খাবার দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছে তাদের মুখেও তুলে দিতে হচ্ছে খাবার। সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা বানভাসীদের জন্য দেশি ও ভিত্তবান ও প্রবাসীদের নিয়ে একটি তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তার পক্ষ থেকেও বানভাসীদের সহায়তা আহ্বান জানানোর জন্য প্রবাসীদের আহ্বান করা হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকায় বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী রয়েছেন। তাদের দ্রুত বানভাসীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাহসিনা রুশদীর লুনা। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের পক্ষ থেকে বিয়ানীবাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সিলেটের জেলা প্রশাসনে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায়ও প্রবাসীসহ ভিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। ওই সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা দাবি জানিয়েছেন- সরকারের ভাণ্ডারে যে পরিমাণ ত্রাণ রয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ অতিমাত্রায় বন্যাকবলিত এলাকায় দেয়া হোক। সিলেটের প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এদিকে- সিলেটের কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকার পর এবার সুরমা তীরবর্তী এলাকাগুলোতেও পানি বাড়ছে। সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা তীরবর্তী এলাকায় অনেক স্থানে নদী তরীরবর্তী ডাইক হুমকির মুখে রয়েছে। কোথা কোথাও নদী উপচে পানি ঢুকছে গ্রামে গ্রামে। সিলেটের কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জের সুরমা তীরবর্তী এলাকার নিম্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, ওসমানীনগরে অর্ধশত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিদ্যালয়গুলোর বাথরুম ও টিউবওয়েল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো- জায়ফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুরিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দিকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামা তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইব্রাহিম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলী পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাতলপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমত পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কালনিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফকিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাগজ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিয়াম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসকলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠুলি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ মানদারুকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেবারাই সরকারি বিদ্যালয়, সাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কসরুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশত বিদ্যালয়।
ওদিকে বন্যাকবলিত ৮টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ গভীর নলকুব ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে বন্যার পানি পান করে শিশু বৃদ্ধসহ অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।
উপজেলার সাদীপুর ইউপির লামা তাজপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের শিশু পুত্র তোফায়েল আহমদ, খসরুপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তানবির, সম্মানপুর গ্রামের তছন মিয়া(৩৫) সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ভাইরাস জ্বর, সর্দি কাশি, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
বুরুঙ্গা সরকারি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সহকারী চিকিৎসক সাফায়াত হোসেন বলেন, বন্যার পর থেকে ভাইরাস জ্বর, সর্দি কাশি ও চর্মরোগ নিয়ে প্রতিদিনই অনেকেই আসছেন চিকিৎসা কেন্দ্রে। গোয়ালাবাজারের চিকিৎসক ইকবাল মাসুদ বলেন, প্রতিদিন আমি যত রোগী দেখি এর মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগই ডায়রিয়া সর্দি কাশি জ্বরসহ বিভিন্ন ভাইরাস রোগে আক্রান্ত। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার খবর পাচ্ছি।
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, রাজনগরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বিকালে উত্তরভাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি বন্যার্তদের মাঝে চিড়াগুড়, চিনি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও পানিবন্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েনের যাচ্ছেন রাজনগর-মৌলভীবাজারের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। পানিবন্দি মানুষজনের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণের দিয়ে চেয়ে আছে তারা। উপজেলা প্রশাসন থেকে অল্প কিছু শুকনো খাবার দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। হাওর কাউয়াদীঘি ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চার ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে উপজেলার এসব গ্রামগুলো তলিয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় উপজেলার ৮টিরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ফতেহপুর, পাঁচগাঁও, উত্তরভাগ ইউনিয়নের ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি কমে গেছে। গতকাল বিকালে উত্তরভাগ ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষদের মাঝে নৌকায় করে ত্রাণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, উত্তরভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ শহিদুজ্জামান ছালিক, ইউপি সদস্য জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করার ঢাকা থেকে এসেছি। আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না। আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশে সবসময় আছে আগামীতেও থাকবে। তিনি মৌলভীবাজারের জুড়ী-কুলাউড়া-বড়লেখা উপজেলার বন্যায় কবলিত বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বন্যার্তদের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও মৌলভীবাজার-১(জুড়ী-বড়লেখা) আসনের এমপি আলহাজ শাহাব উদ্দিন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ছাতকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় প্লাাবিত হয়েছে। রোববার রাত থেকে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সুরমা, পিয়াইন, চেলাসহ উপজেলার সকল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে জাউয়া, ভাতগাঁও, সিংচাপইড়, কালারুকা, চর-মহলা, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজালাবাদ, দোলারবাজার, নোয়ারাই ও ছাতক সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ইসলামপুর ইউনিয়নের মানুষ। বন্যার পানিতে যাতায়াত ব্যবস্থা বিঘ্নিত হলে এ ইউনিয়নের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হেকিম। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অনেক স্থানে বন্ধ হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এখানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান বিলাল আহমদ জানান, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের কয়েকটি রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকটি মৎস্য খামারের মাছ। নোয়ারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আবদুল খালিক রাজা, সিংচাইড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেল, জাউয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন জানান, এ তিনটি ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটে বন্যার পানি প্রবেশ করায় কাঁচা রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিয়নের সকল এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে.এম. বদরুল হক জানান, বর্তমানে মাঠে ফসল নেই তবে চারা বপনের সময় এখন চলছে। সঠিক সময়ে চারা বপন করতে না পারলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উলাহ খান আকস্মিক বন্যার কথা জানিয়ে বলেন উপজেলা প্রশাসন এজন্য সকল প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বন্যার ভয়াবহতা মোকাবেলায় এখানে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=72448&cat=2/