৩ জুলাই ২০১৭, সোমবার, ১২:৪৩

রাজশাহীতে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

এএসআই মাহবুবের ফোন রেকর্ডিংয়ে তোলপাড়

রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহবুবের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের সময় সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে বিপুল টাকার বাণিজ্য করেছেন তিনি। পবার হরিপুর ও সোনাইকান্দি এলাকায় কয়েকটি পরিবার এমনই হয়রানির শিকার হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহীর সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তুলে ধরে আনোয়ার হোসেন নামের এক ভুক্তভোগীর পরিবার। এ সময় আনোয়ারের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপের অডিও রেকর্ডিং সাংবাদিকদের কাছে তুলে দেন তারা। এ ফোন রেকর্ডিংয়ের ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।


তারা অভিযোগ করে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে নানা অসদুপায় অবলম্বন করে এবং মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন রাজশাহী জেলা ডিবির কিছু অসাধু কর্মকর্তা। ঈদের আগে টাকা আদায় না হলেও সে অর্থ হাসিলের জন্য মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ফোনে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এতে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

ঈদের তিন দিন আগে পবার সোনাইকান্দি এলাকার আনোয়ার হোসেন টমাসের কাছ থেকে রাজশাহী জেলা ডিবির এএসআই মাহবুব ফোনে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে মামলা দিয়ে আটক করা হবে বলেও ভয় দেখান। মামলার ভয়ে টমাস ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন।

এদিকে ঈদ শেষে ৩০ জুন বিকাল ৫টায় আনোয়ার হোসেন টমাসের বাড়িতে গিয়ে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিবরিয়া তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসেন। বিকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে পায়। সেখানে জানানো হয়, টাকা না দেয়া হলে টমাসকে নির্যাতন করা হবে। পরে টমাসের চাচাত ভাই জালাল সে রাতেই ২০ হাজার টাকা দিয়ে রফাদফা করেন।

এছাড়া এএসআই মাহবুব ঈদের সময় ওই এলাকার মামুন ও মানিকের কাছ থেকে ফোনে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মাহবুব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এক ব্যক্তিকে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপরে ফেনসিডিলের মূল মালিকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আটক ওই ব্যক্তি টমাসের নাম উল্লেখ করে। এরপরই তার নামে মামলা হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই টমাস এ ধরনের চাঁদাবাজির কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানান, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে

http://www.jugantor.com/news/2017/07/03/136262/