২৯ জুন ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৫

ঈদের ছুটিতে ব্যারিস্টার মওদুদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো রাজউক

ঈদের ছুটিতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিলো রাজউক। এর আগে গত ৭ জুন গুলশান ২-এর ১৫৯ নম্বর বাড়িটি খালি করে রাজউক। মালামাল রাজউকের ট্রাকে করে ব্যারিস্টার মওদুদের স্ত্রীর বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিলেন। অবশ্য আপিল বিভাগের রায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ হেরে যাওয়ার পরই রাজউক বাড়ি ভেঙেছে বলে দাবি করেছেন রাজধানীর উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

গুলশানের বাড়িটি ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাজউক তাকে ওই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করায় উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন তিনি। রিটে রাজউকের চেয়ারম্যান, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের গুলশান জোনের ডিসিসহ ৬ জনকে বিবাদি করা হয়। তবে রাজউকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়িটির ব্যাপারে উচ্চ আদালতের রায়ের পরই আমরা অধিগ্রহণ করেছি।
রিটের আংশিক শুনানি শেষে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত রিটের শুনানি মুলতবি করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো: আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। মওদুদের পে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের এক বিঘা ১৩ কাঠা ১৪ ছটাক জমির ওপর গুলশানের ওই বাড়ি অবৈধভাবে দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় ব্যারিস্টার মওদুদ ও তার ভাই মঞ্জুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

পরে ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক অভিযোগ আমলে নেন। আদালত এই মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। শুনানি শেষে গত বছর ২৩ জুন হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মওদুদ আহমদ আপিলের আবেদন করলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে দুদকের রিভিউ আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পান মওদুদ ও তার ভাই।

এর আগে ওই সম্পত্তি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন (নাম জারি) করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে ওই সম্পত্তি নামজারির নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপ) ও সরকারপ আলাদাভাবে লিভ টু আপিল করে, ২০১৪ সালে শুনানির জন্য ওঠে। পরে আদালতের অনুমতি সাপেে সরকার ও রাজউক দু’টি নিয়মিত আপিল করে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/231572