১০ জুন ২০১৭, শনিবার, ৮:৫৫

নিত্যপণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী

রমযান শুরুর দুই মাস আগে থেকে বাজারে প্রায় সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখনো নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। গত সপ্তাহে সংসদে বাজেট উপস্থাপন করার পর বিদেশি রসুনের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের বাজারে দেশি রসুনের দাম কিছুটা কমলেও বিদেশি রসুনের দাম এখনো আকাশচুম্বী। তবে সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম এখনো নাগালের বাইরে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম মানভেদে কেজি প্রতি ৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া দেশি রসুন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজি প্রতি ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুনের দাম ছিল ২০০ টাকা।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় দেশি রসুনের দাম ১৩০ টাকা এবং আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে ৩২০-৩৬০ টাকা দেখানো হচ্ছে। এছাড়া চিনি ৭২-৭৫ টাকা; ছোলা ৯৫ টাকা; মুগ ডলা ১১০-১৩৫ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাজারে এসব দামের ব্যাপক পার্থক্য দেখা গেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চিনি ৭৬-৭৮ টাকা; ছোলা ৯০ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ৫ লিটারের ভোজ্য তেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা; প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা; চীনের আদা ১২০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অনেকটা বাড়তি দামেই স্থিতিশীল চালের বাজার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, পারিজা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২-৫৪ টাকা, বিআর২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪১ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০(পুরাতন), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো কেজি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, শশা ৪৫-৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা, প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
এছাড়া হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৫৮০-৬০০ টাকা; হাড়সহ গরুর গোশত ৪৯০-৫২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৩০-৭৫০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

http://www.dailysangram.com/post/287479-