৬ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার, ৭:৫৬

খুলনায় একের পর এক টার্গেট কিলিং॥ শঙ্কিত সাধারণ মানুষ

একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ে খুলনায় দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। খুলনায় হঠাৎ করেই টার্গেট কিলিং বেড়ে যাওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নানা স্তরের মানুষ। যদিও পুলিশ বলছে, এটাকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলা যাবে না। তবুও স্বস্তিতে নেই খুলনাবাসী। গেল এপ্রিলে খুলনায় পাঁচটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আর মে মাসের শেষদিকে ও জুনের শুরুতে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে তিনটি গুলীবিদ্ধ, একটি কুপিয়ে হত্যা ও একটি মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নগরীর ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি ইকবাল সরোয়ার গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলীতে নিহত হয়েছেন। নগরীর ১নং বয়রা ক্রস রোড এলাকায় ধারালো বটির কোপে শেখ মোস্তাক আলী ওরফে হোন্ডার ফকির (৬৪) কে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৬) ও ছেলে রাস্তি শেখ (২২)। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা এলাকায় আঠারোবাকি নদীর ঘাট থেকে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বস্তাবন্দী মস্তকবিহীন অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, গত বুধবার সকালে নগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের আকমানের মোড়ের পাশে খাল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) ব্যক্তির গুলীবিদ্ধ লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছিল। তার আগে, গত ২৫ মে রাত ১০টার দিকে বাড়ির সামনে ব্যক্তিগত অফিসে অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নওশের আলীসহ সন্ত্রাসীদের গুলীতে নিহত হন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু।
সূত্রমতে, আঠারোবাকি নদীতে মস্তকবিহীন এবং আড়ংঘাটা বাইপাস রোডের গুলীবিদ্ধ অজ্ঞাত লাশের পরিচয় এখনো পায়নি পুলিশ। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি ইকবাল সারোয়ারের খুনীদের এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার দেহরক্ষী হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি বলে অভিযোগ পরিবার ও বিএনপি’র। ফলে আতঙ্কিত খুলনাবাসী।
খুলনা জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. সফিউল্লাহ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুসহ ডাবল হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখন পরিষ্কার। বাকী হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বলেন, টার্গেট কিলিং হলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলা সমুচিত হবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি মূল্যায়িত হয়, একের পর এক চুরি, ডাকাতি ও দস্যুতা বৃদ্ধি পেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই সকল হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সম্ভব হবে।

http://www.dailysangram.com/post/286882-