গতকাল রোববার নিজস্ব সভাকক্ষে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে বিজিএমইএর উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় -সংগ্রাম
৫ জুন ২০১৭, সোমবার, ৪:০৬

প্রস্তাবিত বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব নয় -বিজিএমইএ

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলে মনে করছেন না তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ বাজেটকে তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব বলতে পারছি না। অর্থমন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের দাবি রক্ষা করেন, তখন বলতে পারব, এই বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব।
গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ সম্মেলনকক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটবিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নান কোচি, ফারুক হাসান,প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রমুখ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের করপোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া এ শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইউরোর দরপতন, বেক্সিট ও গ্যাস সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এই খাতে উৎপাদন ব্যয় ১৮ শতাংশ বেড়েছে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য সব নীতি কৌশল পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আমরা আশানুরূপ ফল পাইনি। গত ১০ মাসে নতুন বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর এই প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল। এক্ষেত্রে নতুন বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধিতে পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানাচ্ছি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাকখাতের সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২ বছরের জন্য সম্পূর্ণভাবে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, উৎসে কর প্রত্যাহার বা কমানো কোনটিই করা হয়নি। বরং বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ কর হার শূণ্য দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। যা এই শিল্পের বিকাশে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।
এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের করপোরেট করের হার ৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি। তবে এ কর হার আরও কমানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের সুরক্ষায় আগামি ২ বছরের জন্য রপ্তানির এফওবি মূল্যের উপর প্রচলিত সুবিধাগুলোর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদানের দাবি করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি। যা শুধুমাত্র বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজেট কেবলমাত্র প্রস্তাবাকারে পেশ করা হয়েছে। যাতে বাজেটের বিষয়ে আলাপ আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করছে এমন রপ্তানি খাতকে চূড়ান্ত বাজেটে সহায়তা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।



http://www.dailysangram.com/post/286693-